Skip to main content

রাধাকৃষ্ণানের নব্যভারত

কথাটা ছিল আগামী দিনের ভারতবর্ষের। রাধাকৃষ্ণান যা ভাবতে চেয়েছিলেন তা হল আগামী ভারতের চিন্তাধারা কেমন হবে তা নিয়ে। তিনি দুই ধরণের ভারতীয়দের কথা বলেছিলেন। এক, যারা গোঁড়া, যারা মনে করেন ভারতীয় ষড়দর্শনে যা লেখা হয়ে গেছে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করলেই ভারতীয় সংস্কৃতি বেঁচে যাবে;

কারাগারটা দাড়ি না, কমা


কারাগারটা দাড়ি না, কমা
বোঝো না, বুদ্ধু কোথাকার 
কিছু কুঁড়ি কারাগারেও ফোটে,
কিছু কবিতা গারদের ভিতরেও জন্মায় 
   ফুল মুচড়ালে গন্ধ ছড়ায় আরো বেশি
       জানো না, বুদ্ধু কোথাকার!

স্থবিরত্ব


ক্রমশ তুমি প্রস্তরীভূত হচ্ছ
তোমার নাক, চোখ, কান, হৃদয়, মস্তিষ্ক
      ক্রমশ পাথর হয়ে উঠছে

তুমি হাওয়ায় নড়ো না
আগুনে পোড়ো না
জলে ভেজো না অন্তঃস্থল অবধি

তুমি অনড়
তুমি অচল
বোধি পাওনি, 
    পেয়েছ স্থবিরত্ব

তুমি আকাশকে বর্ষা বলো

তুমি আকাশকে বর্ষা বলো
আমি আকাশকে বলি শরৎ

আকাশ তো রেগে যায় না
তুমি রেগে যাও কেন?

চুনের দাগ

অশান্তির হাত থেকে বাঁচার জন্যেই হোক কি নিজের জন্য একটু আলাদা শ্বাস নেওয়ার জায়গা খোঁজার জন্যেই হোক, বলাই সামন্ত যখন শ্যামবাজার ছেড়ে রাণাঘাটের ওদিকে একটা গ্রামে বাড়ি করল, সবাই আশ্চর্যই হয়েছিল। বলাই সামন্ত ব্যবসায়ী।

আমি এলাম

আমি এলাম
- এসো
- তুমি কি ব্যস্ত?
- আমি ব্যস্ত থাকি না
- আমি নাস্তিক
...

অমর্ত্যবাবুর অবাঙালী জীবনীকার হলে ভালো?

আজকের 'দ্য টেলিগ্রাফ'র এডিটোরিয়ালে একটা প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক, বুদ্ধিজীবী রামচন্দ্র গুহার মন্তব্য। শেষ কথাটায় ঠেক খেলাম, কেন একজন বাঙালি অমর্ত্য সেনের জীবনীকার হতে পারবেন না? পক্ষপাত, আবেগ আর স্বজনজনিত দুর্বলতা দুষ্ট হয়ে যাবে বলে? কথাটা কোথাও একটা খারাপ লাগা আনল।

তবু জীবিতের মত ভাবি

কেন কথায় কথায় এত মৃত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গ
    কেন বারবার কবর খোঁড়া, চিতার ভস্ম হাতড়ানো

আমি তুমি দু'জনেই তো বেঁচে আছি এখনও
এসো না কথা বলি, না হয় দ্বিমত হই
     তবু জীবিতের মত ভাবি!

হাঁটছি

দুঃখ আমার সমবয়েসি নয়
আনন্দ আমার সমবয়েসি নয়
ভালোবাসা আমার সমবয়েসি নয়
ঘৃণা আমার সমবয়েসি নয়

এ আকাশ, মাটি, জল, বাতাস, আলো
  এরা কেউই আমার সমবয়েসি নয়

এ গ্রহ, তারা, নক্ষত্র, ধূমকেতু 
   এরাও নয় আমার সমবয়েসি

Subscribe to