Skip to main content

তুমি তো মহাকাল নও

ইতিহাসের কয়েকটা পাতা ছিঁড়তে চাইছ
ছেঁড়ো
সে ছেঁড়া পাতাগুলো রাখবে কোথায়?
তুমি তো মহাকাল নও!
 

পান্নালাল


        জনবহুল রাস্তা। আলোয় আলো চারদিক। দুর্গাপূজোর জামা দ্বিতীয় দফায় কালীপূজোতে বেরিয়েছে আবার। কচিকাঁচা, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী-বয়স্করা রাস্তায় --- ঠাকুর দেখতে, প্যাণ্ডেল দেখতে, আলো দেখতে, মানুষ দেখতে।

বোধ

 অনেকটা রাস্তা চলে আসার পর বুঝল পাকা রাস্তাটা ছেড়ে গেছে অনেকক্ষণ হল। একটা জঙ্গলের মধ্যে অন্যমনস্কভাবেই চলে এসেছে অনেকটা। মাটিতে বসল। যাবে কোথায়? কোনোদিকেই যাওয়ার নেই। কিন্তু দাঁড়াবার জোও তো নেই। মানুষ মনের গুণে ঘুরে মরে। আমি কিসের খোঁজে ঘুরছি তবে? ঈশ্বরের মৃত শরীর দেখে এসেছি নিজের চোখে।

কাটাকুটি খেলা চলছে


        কাটাকুটি খেলা চলছে। হঠাৎ কে একজন চীৎকার করে বলে উঠল, আমার পুট পড়েছে, পুট.. পুট.. পুট। যেই না বলা, অমনি একজন কাছা খুলে মেঝেতে ডিগবাজি খেয়ে বলতে লেগেছে, আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে। কেউ নেচে উঠে বলল, ছু কিত.. কিত.. কিত... কেউ হামাগুড়ি দিয়ে কারোর পিছনে লুকিয়ে বলল, টুকি! 

#COCO

আজ এই সিনেমাটা (#COCO) ভীষণ মনে পড়ছে। যারা দেখেছেন তারা জানেন কেন মনে পড়ছে। যারা দেখেননি তাদের জন্য বলি, একটা অপূর্ব দর্শন সিনেমাটা মাথায় এঁকেছিল। আমার পরলোকগত প্রিয় মানুষেরা সেই লোকে ততদিন জীবিত থাকে আর নির্দিষ্ট দিনে আমাদের সাথে দেখা করতে আসার অনুমতি পায় যতদিন আমরা তাদের মনে রাখি, তাদের ছবিতে তাদের পার্থিব অবয়বকে যত্নে রাখি। কি অপূর্ব সিনে

এমন দৃষ্টি

কুকুরটা একটা একটা করে সাতটা বাচ্চা জন্ম দিল
    তার গোঙানি, তার অসহায় অসহ্য চীৎকারের সাক্ষী থাকল 
        কার্তিক মাসের তারা ভরা নির্মল আকাশ 
        বাগানের কয়েকটা আধফোটা জবা, আর কয়েকটা ঘাসফুল

আগ্রা-দিল্লী-হরিদ্বার-হৃষীকেশ

পুরীর সমুদ্র প্রথম দেখে বুকের ভিতরটা 'ধক্' করে উঠেছিল। আজ বহুদিন পর সেই স্মৃতিটা উসকে উঠল তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে। আমি এই মুহূর্তে তাজমহলের সামনেই বসে। নীল সমুদ্রে একটা সাদা পালকের মত ভেসে আছে। মানুষের নিজের সৃষ্টির যে কয়েকটা গর্ব আছে অবশ্যই তার মধ্যে এক অতুলনীয় সৃষ্টি। যার অনুপ্রেরণা ভালোবাসা।

সর্দার

কিছুক্ষণ জঙ্গলে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে সর্দার ঘুমিয়ে পড়েছে। সর্দার মানে সর্দারজী নয়, ডাকাতের সর্দার। অমনি গাছ থেকে একটা ইয়াব্বড় ডাব মাথায় পড়ে সর্দার অক্কা। বেঘোরে মরলে মানুষ কি হয়? ভূত হয়। তো এই সর্দারও তাই হল। প্রথম প্রথম খুব করে শরীরের নানা গত্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে দেখল, কিন্তু হল না, পোষালো না। অগত্যা দেহের মায়া ত্যাগ করে খাঁটি ভূত হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেবে ঠিক করল।

এখনই না

        পুকুরপাড়ে হাঁসগুলোকে ছেড়ে দিয়ে পা ছড়িয়ে ছাতিম গাছটার তলায় বসল বিহান। নীল আকাশ, সাদা সাদা কয়েক টুকরো মেঘ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বিহানের শাড়ির উপর উড়ে এলো কয়েকটা কাশফুলের রোঁয়া। বিহান নিজের পায়ের দিকে তাকালো। কড়া পড়েছে, আঙুলে ফাঁকে ফাঁকে হাজাও আছে। এই শাড়িটা চার বছর আগে

আকাশ তো আছে একটাই


রাস্তার পাশে দোকান ছিল
   দোকান আছে

তার পাশে একটা পুকুর ছিল
   পুকুর আছে

সেই পুকুরের পাশে ওদের বাড়ি ছিল
   বাড়িটা আছে

Subscribe to