টুল আনছি, আয়
ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে। শীতটা জাঁকিয়ে। আলোটা অফ করে বাথরুমের লাইটটা অন রেখেই বিছানায় এলাম। নতুন জায়গা। একটু অস্বস্তি হচ্ছেই। কৃষ্ণনগরের এই দিকটা প্রত্যন্ত গ্রাম। চারদিক বেশ ফাঁকা ফাঁকা। মাসিদের নতুন বাড়ি এটা। ওরা দুদিন পর আসবে। পুরী গেছে।
আমার সান্টা
ছোটোবেলায় আমি সান্টার গল্প শুনেছি। কিন্তু সে গল্প বলেই শুনেছি। যেমন প্রাণভোমরা রাক্ষসীর বুকে থাকে তেমন। যেমন লালকমল, নীলকমলের জন্য কোনোদিন অপেক্ষায় থাকিনি, তেমনই সান্টার জন্য কোনোদিন অপেক্ষায় থাকিনি। আজ অনেক বাচ্চাকে দেখি তারা রাতের ঘুমে, নির্দিষ্ট দিনে সান্টা
উনি বললেন, এই ঘড়িটা দুবাই থেকে আনানো
...
কে ওটা রে?
বাড়ির সবাই কাজে বেরিয়ে গেলে মেয়েটা বড় এক গ্লাস চা নিয়ে বসে। সম্পূর্ণ একা এই সময়টায়। ঘড়ির আওয়াজ, ফ্যানের আওয়াজ, ফ্রিজের আওয়াজ, আর মাঝে মাঝে তার দীর্ঘশ্বাসের শব্দ, কাশির শব্দ। মেয়েটা অপেক্ষা করে। কেউ আসুক সে চায় না। কিন্তু অপেক্ষা করতে ভালো লাগে। স্পষ্ট কারোর মু
মানের হ্যাপা
একটা সময় মন পাকতে শুরু করে সংসারে। পাকা রঙ যা ধরে সে শুধু যে তার নিজের ব্যক্তিত্ব মিশে, তা ঠিক নয়, চারিপাশের মানুষের অবদানই বেশি।
বাজার
...
সকালের প্রথম রোদ
সকালের প্রথম রোদ এসে
সবুজ পাতাকে জড়িয়ে ধরল
বলল, আমি এলাম
সবুজ পাতা বলল, সারারাত যে অপেক্ষায় ছিলাম
বিকালের যাই যাই করা রোদ, ম্লান মুখে
সবুজ পাতাকে ছুঁয়ে বলল, এলাম
সবুজ পাতা বলল, সারারাত জেনো অপেক্ষায় রইলাম
আব্বাজান
একটা গোলাপী শাড়ি। মাথায় দুটো ক্লিপ। অনেক দিন হেলায় পড়ে থাকা, ঝড়ে ভাঙা গাছের ডালের মত শরীর। জোর বলতে --- গলা আর চোখ। বিরক্তিকর ফ্যাসফ্যাসে গলা, দৃষ্টি তীক্ষ্ণ জ্বালা ধরানো দৃষ্টি।
থামবে কি?
তানপুরাটার শব্দ থেমে গেল
একটা মৌমাছি গুনগুন করতে করতে
তানপুরার খোলের উপর বসল
তখন সব আলো নিভে গেছে
ঝাড়বাতিটা মাকড়সার মত দেওয়ালে ঝুলে
বোবার মত
পেট ঠুসে খাওয়ার পর
পেট ঠুসে খাওয়ার পর শরীরটা আইঢাই করছে। অনেকক্ষণ এ ঘর সে ঘর বারান্দা উঠান পায়চারি করার পরও না উঠছে ঢেকুর আর না তো....পেটটা দম মেরে আছে।