Skip to main content

সে অতি বিষম বস্তু

স্নেহ অতি বিষম বস্তু। স্নেহবস্তু যত সুক্ষ্ম তাকে নিয়ে সমস্যাও তত গুরুতর। যেমন ধরুন LDL এর কথা, যেই না রক্ত পরীক্ষায় এল যে সেই সুক্ষ্ম স্নেহ আপনার রক্তে ঘোরাফেরা করে বেড়াচ্ছে তখন আর নিশ্চিন্তে থাকার জো রইল না। যখন তখন যেখানে সেখানে জমে এক বিদিকিচ্ছিরি কাণ্ড ঘটিয়ে বসাবে। চিকিৎসকের স্নেহদৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন। ঘরে

জেগে থাকো

সমস্তটুকু আড়ালেই ছিল
আমিও ছিলাম


যেদিন সবটুকু বাইরে এল
আমিও নিজেকে নিয়ে বাইরে এলাম 

বাইরে সেদিন কিসের যেন মেলা
বাইরে সেদিন কিসের যেন উৎসব

ক্রমশ হাত ছেড়ে গেল
রেশ কেটে গেল
সুখ ভ্রান্তিতে মিশে গেল

ঘুম যখন ভাঙল
ভাঙা মেলার ফিরে যাওয়া
উৎসব শেষের অবসন্নতা 

চাতুরী

কোনো অনুকম্পায় না
বড় কাঙালপনায় আমার শালটা 
    তোমায় গায়ে জড়াতে দিয়েছিলাম

মহত্ব না,
 এ চাতুরী
     শুধু সুবাসটুকু চুরির আছিলায়
        ভাগ্য বরাদ্দ সময় পেরিয়ে
             আরেকটু কাছে চেয়েছিলাম

দুই সত্য

সংসারে দুটো সত্য আছে। 

একটা সত্যকে যুক্তি চেনে। তার দৃষ্টি আর কতটুকু? গভীর অন্ধকারে স্ট্রিট লাইটের অহংকার যতটুকু।

আরেক সত্যকে চেনে হৃদয় 
যখন মুমূর্ষু রুগীর চোখে রেখে সকরুণ আশ্বাস
চিকিৎসক বলেন, এই তো সেরে উঠলেন বলে
                কোনো সংশয়ের নেই যে অবকাশ

ভাপা পিঠে

- পা থাকলেই কি লাথি মারা লাগে বোকা?

- না, লাগে না?

- বুদ্ধিমানের লাগে না, বোকাদের লাগে। 

- আমি কি বোকা তবে?

- তুই বল...

- আর চা নেবে?

সেদিন রাত

সেইদিন রাত, কি অন্ধকার

"যেন অন্ধকার ছাড়া রাত হয়!"

সেইদিন রাত কুয়াশা জড়ানো
  তারা ভরানো
      কি শীতল, কি যে শীত

"পৌষের রাতে সেদিন যেন প্রথম পড়ল শীত!" 

সেইদিন রাতে স্ট্রিট লাইট জ্বলছিল

"যেন দিনের আলোয় স্ট্রিট লাইটগুলো জ্বলে থাকে"

সেইদিন রাতে হাস্পাতাল কি নিঃশব্দ নির্জন 

অপরাধবোধ

মাথার মধ্যে কোনো বোধ না
এক অজানা অপরাধবোধ কাজ করে

কোথায় যেন কি একটা ভুল হচ্ছে
বারবার হচ্ছে
তবু কেউ থেমে যাচ্ছি না
শুধরে নিতে চাইছি না

অন্যমনস্কতায় কারা যেন এসে দাঁড়ায়
ছায়ার মত হাঁটতে থাকে পাশে
অদৃশ্য অভিমান
    উষ্ণ শ্বাসের মত ছুঁয়ে বলে
          "এলে না তো"

সামাজিক প্রথা

দুপুরের রোদ এসে ছাদে পড়েছে। সঙ্গে শীতের হাওয়া। ব্রাহ্মণ উচ্চারণ করছেন, মধুবাতা ঋতায়তে মধু ক্ষরন্তি সিন্ধবঃ... রবীন্দ্রনাথ অনুবাদ করে দিচ্ছেন…

পিব রে... পিব রে...

ভীষণ অস্থিরতার মধ্যে রাগটা শেষ করতে হল। রাগ ‘জয়জয়ন্তী’। রাগটা ফুটল না। কোমল গান্ধারে সুরটা ঠিক লাগল না। কোমল গান্ধারে হৃদয়টা যেন পাহাড়ের চূড়ায় এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে সব অনুভূতি গলে গলে নদী হয়। আজ হাতড়ে হাতড়ে সে চূড়া অবধি ওঠাই গেল না। কে যেন নীচের দিকে পা টেনে থাকল।

Subscribe to