Skip to main content
Select All

বড় অভিমানী

পাতা ঝরা নেড়া গাছটার
একদম মগডালে

সাড়া দাও

গোঁসাই বাগানে বসে। ফুলের বাগান। একতারায় সুর ওঠে। গোঁসাই ডোবে, মাঝে মাঝে চোখ খুলে তাকায়। চারদিকে দেখে। আবার ডোবে।

পাখিটা মরে না

পার্থক্য শুরু হয় পেন্সিল বক্স আর টিফিন বক্সের মান থেকে। তারপর টিফিন বক্সের ভিতর খাদ্যের মান, প্রকারভেদ থেকে। তারপর ইউনিফর্ম হলে কাপড়ের মান থেকে। সাইকেলের মান থেকে, বেল্টের মান থেকে।

এ শূন্যতাই থাকুক

"মা নেই", ব্যস, এই দুটোই শব্দ। তিনটে অক্ষর। কি অসীম শূন্যতা। প্রায় ন বছর, এই দুটো শব্দ সব কিছু বদলে বদলে দিচ্ছে। রোজ অল্প অল্প করে সব কিছু বদলে দিচ্ছে। দিনের আলোর রঙ, রাতের আকাশের স্নিগ্ধতা, ভাতের গন্ধের তৃপ্তি, ধুপের গন্ধের আরাম, রাতের বিছানায় মাথার বালিশের শান্তি - সব বদলে দিয়েছে। হাসির মুক্তোগুলো মেকি। কান্

শব্দ সুখ

শব্দ দিয়ে সত্যি কথাও বলা যায়, শব্দ দিয়ে মিথ্যা কথাও বলা যায়।

শব্দ সে কথা বুঝতে পারে। তাই কখনও কখনও একটা শব্দ তার পাশে বসা শব্দকে দেখে লজ্জায় দূরত্ব তৈরি করে। তার পাশে তার বসার কথা ছিল না তো! সে লজ্জা পাবে না! সেই অস্বস্তিকর দূরত্বকে অনুভব করতে পারে মন।

যেন ইংরাজিতে কালকূট

উইলিয়াম ডালরিম্পলের লেখা একটা বই কয়েক মাস আগে পড়েছিলাম - নাইন লাইভস্। নয়জন মানুষের উপর লেখা বেশ সুখপাঠ্য গভীর দরদী একটা বই। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের ন’টা জীবন। প্রত্যেকেই জীবনটা কিনারা বরাবর হাঁটছেন বা হেঁটেছেন তাদের বিশ্বাস, বিচিত্র রীতি ইত্যাদির উপর গভীর আন্তরিক আস্থা রেখে। ডালরিম্পল কারোর আস্থাকে সংশয়ের চোখে দেখছেন না, বিদ্রুপ করছেন না। তিনি তাদের সবার সামনে একটা জীবন জিজ্ঞাসা নিয়ে এসে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি মৃত্যুমুখী দেবদাসীই হোন, কি জৈনধর্মাবলম্বী সন্ন্যাসিনীই হোন যিনি অন্নজল ত্যাগ করে ধীরে ধীরে মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছেন, কি বাংলার অন্ধ কানাইদাস বাউলই হোন।

ঝড়

এই তো আবার ঝড় আসবে। সমস্ত ধাতব তারের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হবে দুর্ঘটনা এড়াতে। ঘরের মধ্যে গুটি গুটি পায়ে হাঁটু মুড়ে বসবে আদিমযুগের গুহার অন্ধকার। আমরা তাড়াহুড়ো করে মোমবাতি, হ্যারিকেন, লম্ফ জোগাড় করে যতটা পারি আলো জ্বালাব। মোবাইলের চার্জ বুঝেশুনে খরচ করব, যদি আজ কারেন্ট না আসে! তখনও বাইরে ঝড়। ছাদে ওঠা যাবে না, যদি কোনো উড়ন্ত টিনের চালা বা গাছের ডাল উড়ে আসে। বৃষ্টিও শুরু হল যে! বৃষ্টির ছাঁটে, হঠাৎ ঠাণ্ডা হাওয়ায় শরীর খারাপের ভয়। ঝড়ের আঘাতে ঘরে ঢুকে পড়া কিছু বিশ্রী পোকা উড়ে বেড়াচ্ছে তখন মোমবাতির শিখা ঘিরে ঘিরে। ওরা জংলী। ওরা বিষাক্ত। ওরা অভদ্র আদিম। জলের গ্লাসে, চায়ের কাপে, ভাতের থালায় যখন তখন পড়ে যেতে পারে। খুব সাবধান। খুব সতর্ক থাকার সময়। ঘরের ভিতর আলোর চেয়ে অন্ধকারের অনুপাত বেশি। ইনভার্টার বন্ধ থাক, বাজ পড়ছে না!

আমার সকালগুলো

গত রাতের ফুরিয়ে যাওয়া মোমবাতিটা
টেবিলের উপর শ্রীহীন একদলা মোম হয়ে পড়ে
    হীনমন্যতায়, লজ্জায়, অসম্মানে 

আমি ওভাবে 
   পড়ে থাকতে চাই না

বরং তুমি ফিরে যাও
       আমার সকালগুলোকে
                 অসম্মানিত কোরো না

do you know me

Dark mind asks enlightened mind... do you know me?

Subscribe to