কেউ যদি কথা না বলে
কেউ যদি কথা না বলে
তবে দীর্ঘশ্বাসের নিম্নচাপ জমে
হঠাৎ একদিন
ওঠে ঝড়
অন্ধরা দেখতে শুরু করে
পঙ্গুরা হাঁটতে শুরু করে
বোবারা স্বরবর্ণে শ্বাস ভরে
ঠেলা দেয় ব্যঞ্জনবর্ণে
কালের চাকা ঘোরে
কেউ যদি কথা না বলে
তবে কাল সাগরে নিম্নচাপ জমে
আর্জি
রাজারাম বসে দরবারে। হঠাৎ খবর এলো একদল মানুষ এসেছে মর্ত্যলোক থেকে। রাজারাম ডেকে পাঠালেন। নতুন প্রাসা
নতুন রঙের গন্ধে ম ম করছে চারিদিক। দামী দামী পাথর এসেছে দেশ বিদেশ থেকে।
মানুষের মনের কত লক্ষ জন্মদিন হয়?
স্টেশানে সি অফ করতে গিয়ে লোকটা বুঝল, আসলে সে তাকে বোঝেইনি কোনোদিন। অচেনা লোককে কেউ সি অফ করে?
ট্রেনটা চলে যাওয়ার পর এক প্যাকেট চিপ্স আর একটা কোলড্রিংক্সের বোতল নিয়ে ফাঁকা প্লাটফর্মে বসে পড়ল। পরের ট্রেন আসার আগে তো নতুন কোনো যাত্রী নেই।
ভুল্টুর তর্পণ
মানে একটা মানুষ একটু শান্তিতে তর্পণও করতে পারবে না? ভুল্টু জোয়ারের জলে পা ডুবিয়ে হাতে কুশ, গঙ্গার জল আর তিল নিয়ে সবে পুরুত মশায়ের নকল করে প্রথম শব্দটা উচ্চারণ করেছে কি করেনি, অমনি মাথায় গাঁট্টা... বলে, এই ব্যাটা আমাদের গোত্র ভুল বলছিস কেন?
তাই রে, তাই রে, তাই রে না
কি গাড়ি?
কেমন জোর?
চাপা দিল? চালিয়ে দিল?
আরে বাহ, আরে বাহ
কি কলিজা, কি কলিজা
পিষে দিল?
এক্কেবারে হাড়গোড় সব গুঁড়িয়ে দিল?
আরে বাহ, আরে বাহ
চাকায় নাকি রক্ত লেগে?
রাস্তা নাকি রক্তে ভিজে?
হয়ে ওঠা
মানুষের সঙ্কীর্ণতার বিশ্বে কোথাও কোনোদিন পাকাপাকি জায়গা হয় না, এটা মানুষ বুঝতে কতদিন সময় নেয় কে জানে। এটা বুঝে গেলেই যে কত ঝক্কি, কত চালাকি আপনি খসে পড়ে, সে যদি আগে জানতে পারে তবে সংসারে রাতদিন সে নিজের পায়ে নিজে এভাবে কুড়ুল মেরে চলতে পারে না।
রাগলে পরে
হঠাৎ তিনি এমন গেলেন ক্ষেপে
যদিও ক্ষেপার কারণ ছিল মস্ত
যেন পাগলা হাতি ঢুকেছে জঙ্গলে
গাছপালা সব হয়ে আছে তটস্থ
রাগলে বাড়ে রক্তচাপ মেলা
অ্যাড্রিনালিন হরমোন বলে, হুররে
বুদ্ধিবিবেক হঠাৎ লোডশেডিং
চিত্ত বলে, ওরে কে কোথা আছিস রে!
সার্ভিস চার্জ
ভুল্টু ঈশ্বরের কাছে বেগো প্রার্থনা করল, ডাকাডাকি করল, খাওয়াদাওয়া ছাড়ল, কান্নাকাটি করল, মায় চিল্লেমেল্লিও করল। তো ঘোর কলি হতেও ঈশ্বর দেখা দিলেন।
ভুল্টু বলল, এতদিন ধরে ডাকছি, আপনার কোনো পাত্তাই নেই, এদিকে লাইফটা হেল হয়ে যাচ্ছে... ছেলেমেয়েগুলো অমানুষ, চাকরিতে শান্তি নেই, আপনি কিছু একটা করুন….
প্রাণের সলিলে জীবনের ছায়া
(তখন বৌদ্ধদের একে একে পরাজিত করে ফেলছেন কুমারিল ভট্ট। রচিত হচ্ছে ভারতীয় আস্তিক দর্শনের এক নতুন অধ্যায় - পূর্ব মীমাংসা। কিন্তু সে নিয়ে শুরু হলেও এ গল্প শুধুই গল্প। মানুষের হৃদয়ের কি কোনো দর্শন হয়? তার কি কোনো ব্যাখ্যা, ইতিহাস হয়? সে চিরকাল আদিম, অকৃত্রিম। এ গল্প শুধু সেই সময়টুকুতেই জন্মেছে, প্রেক্ষাপট হিসাবে। বাকি তো মানুষের গল্প, দর্শনের ভাষায় নয়, মানবী ভাষায়।)
অহিংসা
ভালোবাসায় অহিংসা মানে
ঈর্ষা না করে
ভয় না পেয়ে
একটু মনে রাখা
ভালোবাসা হারিয়ে যায় না,
ভালোবাসার মানুষটা হাত ছেড়ে গেলেও,
দ্বিধাহীন হৃদয় নিয়ে তবু বলতে পারা -
ভালো হোক