ফিরতে চাইব না
চোখ বন্ধ করলে
একটা পাহাড়ি পাখি
ডেকেই চলেছে মাথার মধ্যে
কুয়াশা কুয়াশা
সবুজ একটা গ্রাম
নির্জনতা
এই রাস্তাঘাট, ঘর, ছাদ
দরজা, জানলা
রান্নাঘর, বাথরুম
মোবাইল, ল্যাপটপ রেখে
বাইরে কোথাও
যেখানে আত্মপরিচয়
ক্ষয়িষ্ণু যাযাবর
মন - সময়
শ্মশানে থাকে ভোলা। লোকে বলে ভোলা ক্ষ্যাপা। বউ মরে গেল। ভোলা মিস্ত্রী ভোলা ক্ষ্যাপা হল। লোকে বলত ওরকম শান্ত লোক দুটো হয় না নাকি। ভোলার বউও তাই বলত, তুমি ওর গায়ে হেগে দাও, ধুয়ে নেবে, তোমায় কিচ্ছু বলবে না, কিন্তু রাগলে চণ্ডাল।
এমন শান্তি চাই নে
পূজারী পুজোর শেষে যজ্ঞের জ্বলন্ত কাঠ ছুঁড়ে আশীর্বাদ করেন না, শান্তির জল ছিটান। বিশ্বাসী বিশ্বাস করেন সেই শান্তির জলকণা তার শান্তি প্রাপ্তির একটি অমোঘ উপায়। এ অনুভব না করলেও, অনুমান করতে পারি। কিন্তু জ্বলন্ত যজ্ঞকাষ্ঠ ছুঁড়ে মারার পর ভক্ত যদি জ্বলন্ত ধুতিশাড়ি সামলাতে সামলাতে বলেন, আহা কি শান্তি, কি শান্তি, তখন বুদ্ধি বিভ্রান্তির চোরাবালিতে হাবুডুবু খায়।
একই রুটের বাস
তুমি আমি একই রুটের বাস। একই রাস্তায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা চলেছি। খানাখন্দ, উঁচুনীচু রাস্তা, কখনও সমান। ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে তুমি আমি পাশাপাশি, কখনও একই দিকে যাচ্ছি, কখনও তুমি যাচ্ছ আমি আসছি, কিম্বা আমি যাচ্ছি তুমি আসছ। আমাদের চালক, কন্ডাক্টর আলাদা। যাত্রীদের মত আমাদের কর্তব্যগুলো কখনও এক, কখনও আলাদা আলাদা। কোনো কর্তব্য শেষের মাথায় আমি, তুমি তখন তোমার কর্তব্য শুরু করছ। ক
একটু রোদ
বৃদ্ধা সামনের দরজার দিকে তাকিয়ে শুয়ে আছেন। একটু আগে আয়া অল্প একটু সেদ্ধভাত আর আর উচ্ছে আলুসেদ্ধ মাখা খাইয়ে গেছে। কুলকুচোটা ভালো হয়নি। দাঁতের ফাঁকে কয়েক টুকরো উচ্ছে আটকে এখনও। তিতো তিতো লাগছে জিভ ঠেকালে। সব মিলিয়ে আটটা দাঁত টিকে আছে এখন।
রাখী
"প্রভু, আজি তোমার দক্ষিণ হাত রেখো না ঢাকি।
এসেছি তোমারে, হে নাথ, পরাতে রাখী॥
যদি বাঁধি তোমার হাতে পড়ব বাঁধা সবার সাথে,
যেখানে যে আছে কেহই রবে না বাকি॥"
দাভোলকার ও কিছু কথা
মন্থন
মানুষ আগুনকে জেনেছে
রান্না করেছে
ঘর গ্রাম জ্বালিয়েছে
মানুষ বুদ্ধিকে জেনেছে
সত্যকে পেয়েছে
মিথ্যাকে জানিয়েছে যুক্তিতে
স্লেটে
সব কিছু গুনে দেখতে চাইলে
কড় শেষ হল। খাতা শেষ হল।
গোনার ইচ্ছা শেষ হল কই?
একদিন সব গোনাগুনতি
শেষ হয়ে যাবে
দেখবে
যে গুনছে
তাকে কোনো গুনতির মধ্যেই
ফেলতে পারলে না
হয় তো বা তুমিও চেনো
সারাদিন মানুষটা যা বলে
বিশ্বাস করে না
একটা বাক্য তিনবার বলে
"ভীষণ ভালো"
"ভীষণ ভালো"
"ভীষণ ভালো"
বিশ্বাস করে না
তিনবার কেন
মানুষটা জানে