কারোর অপেক্ষায় না
কারোর অপেক্ষায় না
বরং নিজেকে পাল্টে নাও
তবে বন্ধ রাস্তা আপনিই খুলবে
যদি সত্যিই এগোতে চাও
প্রতিটা সূর্যাস্তের সাথে
বাসি অভিমানগুলো
বাসি অভিমানগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি কোরো না আর
বাইরে বেরিয়ে এসো
দেখো বাগানে নতুন কুঁড়ি এসেছে
আর দেখো, ধ্রুবতারাটাও একই জায়গায় আছে
শীতলতা
উদ্বিগ্ন ছায়ার শীতলতা
জ্বলন্ত দশদিক
ক্লান্ত কাকের ডাক
আকাশে মরীচিকার খোঁজ
একক সুর
অন্দরমহলে কটা চেয়ার পাতা
এদিক ওদিক ছড়ানো ছেটানো
(হয়তো বা সাজানো)
কয়েকটা সোফা
মাটিতে মাদুর পাতা
ধুলো পড়েছে স্তরে স্তরে
সোফাতে, চেয়ারে, মাদুরে
কেউ বসেনা আজকাল
শীতল সুখে
বারুদ
নিজে জ্বলেই জ্বালানো যায়
শুধুমুধু বারুদের দোকান সাজিয়ে কি হবে?
যে আসবে কিনতে,
সে চারদিকের অন্ধকারে বিভ্রান্ত হবে
আলোকে করবে অবিশ্বাস
দুর্ভাগ্য এই, আজ বারুদ বিক্রেতাই চারিদিকে
কেউই পুড়তে চায় না
চায় অন্যকে জ্বালিয়ে সে আগুনে তাপ পোয়াতে
কালবৈশাখী
আশ্চর্য হওয়ার তো কিছু হয়নি, বলে রণিতা পাশের ঘরে চলে গেল শাড়ি ছাড়তে। রণিতার মা কিছুক্ষণ ছাদ থেকে আনা শুকনো কাপড়গুলো কোলে নিয়ে সোফাটায় বসে রইলেন। জানলা দিয়ে সামনের বড় রাস্তাটা দেখা যায়। দুপুর তিনটে, বৈশাখের কাঠফাটা রোদ। রাস্তাটা শুনশান।
আর ডেকো না
নিজের মানুষ
কাছের মানুষ আছে ক'জন
নিজের মানুষ নেই
নিজের মানুষ খুঁজতে গিয়ে
তোমায় পেলাম সেই
মনের মানুষ হয়ে এলে
নিজের মানুষ যে গো
ও মন ছাড় রে এবার দুনিয়াদারি
ভিতর ঘরটা গোছা না গো