Skip to main content

জয় হোক

ভাষার জঙ্গলে বিভ্রান্ত বুদ্ধি
   বসল চিরবহমান হৃদি-নদীর তীরে
 শ্রান্ত মন শান্ত হল
     ভিতরে কে গায়?
         সমস্ত প্রাণ উজাড় করে নামল জলে
    তখন সান্ধ্যসূর্য সদ্য নেমেছে ঝোঁপের আড়ালে
     তিরতির করে কাঁপছে ঝাউপাতার ঝালর

পুরোনো বেণারসীর গায়ে

পুরোনো বেণারসীর গায়ে এখন শুধু ন্যাপথলিনের গন্ধ
চেনা কথাগুলোর শূন্য নীড়ে
  মড়া কাঠখড় ছড়ানো
    সিঁড়ির দরজাও বহুকাল আছে বন্ধ

মৃত শরীরই কঠিন শুধু না

মৃত শরীরই কঠিন শুধু না, মৃত মনও কঠিন হয়
জীবন জলের মত নমনীয়,
   যার স্রোতে পাথরও দ্বিখন্ডিত হয়

তুমি সুন্দর

তুমি সুন্দর
তোমার দিকে তাকালে আমি সুন্দর

তাই ঝাঁপাই না
তাকিয়ে থাকি
   তাকিয়েই থাকি

হঠাৎ হারিয়ে যেতে

হঠাৎ হারিয়ে যেতে অনেকেই তো চায়
ফেরার চাবিটা কেউ কেউ-ই ফেলে রেখে যায়

হ্যাপি মাদার্স ডে নয় তো

আজ হ্যাপি মাদার্স ডে নয় তো আমার
মিথ্যা কথা ওসব তোমার,
  সে কি ছিল মাটির দূর্গা?
  যে একবার তারে দিয়ে বিসর্জন
    বলব, আসছে বছর আসছে আবার!

সুরের আলো

সকাল থেকে সুরের আলো
   শুদ্ধ গন্ধে গা ভাসানো
গঙ্গার স্রোতে দু'পারের ডাক
   জলের স্রোতে কাল গলানো

বুকের মধ্যে ছলছল জল
  সবই কেমন আপন যেন
  ফুচকার মত বুক ফাটিয়ে
     সর্বগ্রাসী প্রেম ঢোকানো

২৫ শে বৈশাখ

আজ কি কিছু বলার দিন? আমি বুঝে উঠতে পারি না। একবার ভাবি না, আজ চুপ থাকার দিন। যা কিছু তিনি সারাটা জীবন জুড়ে বলে গেছেন, সেই মনন সাগরে স্নান করার দিন। সাঁতার কাটার দিন। রোজই আসি। তবে আজ সারাদিনই সেই সাগরের সাথে কাটানোর দিন। আজ অন্য কোনো কথা নয়। আজ শুধু তিনি।

প্রতীক্ষা

তোমার কোনো বাস্তব বোধ নেই।"
ঝিলিক কথাটা বলে ঝাঁট দিতে দিতে আড়চোখে একবার শুভায়ুকে দেখে নিল। শুভায়ু খবরের কাগজে ডুবে। মাথাটা না তুলেই বলল, হুঁ।
"কাল মুন্নীর স্কুল থেকে চিঠি দিয়েছে, ওদের এবারের সামার ভ্যাকেশানের ডেটটা কি কারণে যেন এগিয়ে এসেছে। রিজার্ভেশান করেছ?"
শুভায়ু চোখ তুলে বলল, বলোনি তো!
ঝিলিক ঝাঁঝিয়ে উঠল, বলিনি মানে? পরশু থেকে এই নিয়ে তিনবার বললাম।

Subscribe to