সজ্ঞানে তো জানি পাহাড় আর জঙ্গল ভালোবাসি। বিশেষ করে জঙ্গল। কিন্তু স্বপ্নে যেখানে সেখানে সমুদ্র কেন দেখি? পাশের বাড়ির পিছনেই যেন বালুতট, তারপর সমুদ্র। উঠানের পেয়েরা গাছটার গোড়া ছুঁচ্ছে এসে সমুদ্রের ঢেউ। ঘুমের মধ্যে নোনা বাতাস। নিরবচ্ছিন্ন গর্জন। কেন বারবার সমুদ্র?
এই প্রশ্নটা আমি মাকে কত আবেগ নিয়ে করেছিলাম। মা তখন রান্নাঘরে। খুন্তী আর হাতের শাঁখা-পলা-চুড়ির ঠুংঠাং আওয়াজ মিলে সেই চিরকালীন কনসার্ট হচ্ছে। শীতের দিন ছিল। তবু মায়ের কপালে আর নাকের উপর বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে। আজ এই অতি সাধারণ দৃশ্যই নাগালের বাইরে কদ্দিন হল। সে কথা থাক, তো মা আমার প্রশ্নটা শুনে আড়চোখে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, তুমি গত জন্মে নুলিয়া ছিলে নিশ্চয়।
গোলাপ বাগানে ভীমরুলের কামড় খেলে যা হয়, কিম্বা ভীমসেনের কলাশ্রী রাগ চলতে চলতে হঠাৎ যদি জানলার কাছে "শিল কাটাওওওও"... করে হাঁক পাড়ে কেউ তখন যেমন হয়... আমিও তেমনি গুটিগুটি পায়ে আমার ঘরে এসে বসলাম। আমার সামনে আয়না। এমন তো কতবার হয়েছে, হাফপ্যাণ্ট পরে খালিগায়ে পুরীতে স্নানে নামতে যাচ্ছি, হঠাৎ পাশ থেকে কেউ ডেকে বলল, তুমি বাপু স্নান করাতে কত নাও..
যা হোক কতটুকুই বা মানুষের হাতে থাকে...