চিঠি
চিঠি যখন আসে
সেকি পথের খবর আনে?
না তো না
না তো না
সে শুধু
তার সৃজকের কথাই আনে
একের কথা
ভেসে ভেসে
দেশে দেশে
আরেককে বলতে আসে
সে কি শুধুই কথা আনে?
না তো না
না তো না
কয়েক ছত্র তোমার জন্যে
ভ্রমের ভ্রম
১
---
বটুকবাবুর সাধ হল মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল খাবেন। যেই না সাধ হওয়া অমনি তিনি সব্জী বাজারে হাজির। লাউ, কুমড়ো, উচ্ছে, পটল কিনে, বাড়িতে পৌঁছিয়েই গিন্নীকে হাঁক ছেড়ে বললেন, খুব ভাল করে ঘ্যাঁট রাঁধো দিকিনি।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে
আজ প্রেমোৎসব উদযাপনের দিন। যে প্রেক্ষাপটেই হোক না কেন। এর বিরোধিতা করার কোনো কারণ আমার মনে আসে না। কেউ কেউ বলেন প্রেমের আবার উদযাপন দিবস হয় নাকি? সে তো সারা বছরের রোজদিনই। খুব ঠিক কথা। তা একদিন একটু বেশি করে উদযাপিত হলে ক্ষতি কি? রোজ খাই বলে কি আর নেমন্তন্ন বাড়ি যাই নে? নাকি রোজ বাড়ির ঠাকুরকে নকুলদানা দীপ ধূপ দিই বলে বড় দূর্গোৎসবে, কি অন্য ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিই নে?
মিথ্যুক তুমি ঘুমাও
যখন আমি ওর সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলাম,
ভাবলাম ওর ভাষা তো বুঝি না, তবে?
আমার অনুবাদক চলল সাথে
ও হাসল
আমার অনুবাদক লাগল না
ওর চোখের কোণা ভিজল
আমার অনুবাদক লাগল না
ও ছুঁলো
আমার অনুবাদক লাগল না
আমি সেদিন থেকে
নদী পাহাড় সমুদ্রে অনুবাদক নিই না
পায়ে ঘাসের ছোঁয়া, ফুলের গন্ধ, পাখির ডাক, বিকালের রঙ, ভোরের হাওয়া
সব বুঝি
সমর্পণ
বিন্দু বিন্দু মনের গুঁড়ো ছড়াচ্ছে সারাটা দিন জুড়ে। জড়ো করতে গেলে খেলনার মত রূপ। যার মানে নেই। একটা গাছের শুকনো ডাল, দূর থেকে ভেসে আসা মানে না বোঝা কথা, বাতাসের হাল্কা গা ছুঁয়ে যাওয়া - এ সবারই কোনো ব্যাখা নেই।
প্রেম ঘুঁটে গরু
(সে দুইত দুধ তার পোষা গরুর। বিক্রী করে চলত জীবন যাপন। হঠাৎ যৌবন খেল গোত্তা এক খরিদ্দারের বাড়ির জানলায়। দুধের হিসাব হল জলের চেয়েও তরল। খাটাল হল বৃন্দাবন। তারপর? সেই কথাই তো লিখছি)
তোমার বাড়ির দেওয়ালে ভালোবাসার ঘুঁটে দেব
সারা দেওয়াল জুড়ে। এক রত্তি ফাঁক রাখব না, দেখে নিও।
এত ঘুঁটে নিয়ে কি করবে?
আমি শুধু
আমি শুধু
তোমার সাথে কয়েক পা হাঁটতে পারি
কাঁদতে পারি ভাঙা বুকে তোমার সাথে শত সমুদ্র
তোমার সুখের দিনে তোমার বাগানে
গ্রীষ্মের দুপুরে
গোলাপের চারা লাগাতে পারি
তুমি না চাইলেও।
তবু সে ঘুরছে
মা ভাল নেই। মা অসুস্থ।
তাই অসুস্থ তার সন্তান। সন্তানেরা।
লক্ষ কোটি কোটি অগুনতি সন্তানেরা।
তবু সে ঘুরছে। প্রদক্ষিণ করে চলেছে সূর্যকে।
অসুস্থ শরীরেও। সে ভালো নেই।
অপুষ্ট সন্তানদের বুকে করে সে ঘুরছে
আমাদের তার না হলেও চলত
তাকে না হলে চলবে না আমাদের
যদি শান্তি চাও
যদি শান্তি চাও, দোষ দেখো না – বহুশ্রুত মা সারদার উক্তি বা উপদেশ। কিন্তু... - একটা 'কিন্তু' তবু খচখচ করে। সেটা কি করে সম্ভব? তবে কি উনি মৃত্যুশয্যায় একটা গোলমেলে কথা বলে গেলেন? তা কি করে হয়?
এ কথাটা বহুবার ভেবেছি। ভুল না ধরলে শুধরাব কি করে? যার যেটা ভুল সেটা তাকে বলব না? সে তো আরো বিপথে যাবে? এরকম নানান তর্ক যুক্তি মাথার মধ্যে ঘোরে।