Skip to main content

মোহর

লোকটা বেলচা করে ময়লা তুলছিল। ময়লার গাড়ি এসেছে সকালবেলা। বিশ্রী বোটকা গন্ধ। শহরের ময়লা মানুষের তৈরি ময়লা। লোকটার আগে কৌতুহল ছিল। এখন নেই। ময়লার রকমেরও সীমা আছে। কিন্তু মাত্রা নেই পরিমাণের। লোকটা উদাস। বেলচা চলছে নিয়মমাফিক ঘচাঘচ। 

আগন্তুক

আগন্তুক 
তুমি গান থামিও না

সব বাঁকা হাসি 
ম্লান হয়ে আসে ধার হারিয়ে

পাতা হাত
গুটিয়ে আসার শক্তি পায়
          শূন্য হয়েও

তৃষ্ণা

রাস্তার শেষে কোনো গন্তব্য রাখিনি
    দিগন্তরেখাকে রেখেছি

আধপোড়া সলতের বুকে
    ভোরের তৃষ্ণাই দেখেছি

অ-ভেদ

চাঁদ জানে না
 কবে সে ঈদের

পথ জানে না
 আজ সে জগন্নাথের

ঈদের চাঁদের আলোয়
    স্নাত হয় জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ো

আত্মদানে

বিনা অভিযোগে পুড়লাম
   অবহেলায়, স্বেচ্ছায়

সমস্ত ছাই হল
তবু সবটুকু ছাইও যখন তোমার দিকেই উড়তে চাইল, 
      তখন

অমলিন রবীন্দ্রনাথ

অপমানিত হওয়ার অভিজ্ঞতা সংসারে নেই এক পাগল আর শিশু বই কে আছে?

১লা আষাঢ়

তবু চলতে ফিরতে কেন জানি ক্যালেণ্ডারে চোখ। বাংলা দিনপঞ্জিকা তো নেই, ইংরাজী ক্যালেণ্ডারেই চোখ। ইংরাজি সংখ্যার নীচে ক্ষুদে ক্ষুদে অক্ষরে লেখা - ১ আষাঢ়। 

উদাসীন

স্টেশান আবার ট্রেনের অপেক্ষায় কবে থাকল?
নাকি বাসস্ট্যান্ড থাকে বাসের অপেক্ষায়?

অপেক্ষায় তো থাকে যাত্রীরা, যাদের যাওয়ার আছে 
   কোথাও না কোথাও, দরকারে- অদরকারে

অসহায়তা

আমার কিছু কিছু অসহায়তা তো
    আমি নিজেই বুঝি না
        তোমায় বোঝাব কি করে?

Subscribe to