Skip to main content

অমর্ত্যবাবুর অবাঙালী জীবনীকার হলে ভালো?

আজকের 'দ্য টেলিগ্রাফ'র এডিটোরিয়ালে একটা প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক, বুদ্ধিজীবী রামচন্দ্র গুহার মন্তব্য। শেষ কথাটায় ঠেক খেলাম, কেন একজন বাঙালি অমর্ত্য সেনের জীবনীকার হতে পারবেন না? পক্ষপাত, আবেগ আর স্বজনজনিত দুর্বলতা দুষ্ট হয়ে যাবে বলে? কথাটা কোথাও একটা খারাপ লাগা আনল।

তবু জীবিতের মত ভাবি

কেন কথায় কথায় এত মৃত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গ
    কেন বারবার কবর খোঁড়া, চিতার ভস্ম হাতড়ানো

আমি তুমি দু'জনেই তো বেঁচে আছি এখনও
এসো না কথা বলি, না হয় দ্বিমত হই
     তবু জীবিতের মত ভাবি!

হাঁটছি

দুঃখ আমার সমবয়েসি নয়
আনন্দ আমার সমবয়েসি নয়
ভালোবাসা আমার সমবয়েসি নয়
ঘৃণা আমার সমবয়েসি নয়

এ আকাশ, মাটি, জল, বাতাস, আলো
  এরা কেউই আমার সমবয়েসি নয়

এ গ্রহ, তারা, নক্ষত্র, ধূমকেতু 
   এরাও নয় আমার সমবয়েসি

ইচ্ছা মানে শর্ত নয়


পাশাপাশি দুজন মানুষ হেঁটে গেলে ভাবতাম
                    বন্ধু, কিম্বা দম্পতি, কিম্বা..

এখন জানি
     একে অন্যের শর্তও হতে পারে

চাহিয়া দেখো রসের স্রোতে রঙের খেলাখানি

        গতকাল মধ্যরাত থেকে যে শুভেচ্ছা আর ভালোবাসার স্রোতে ভেসে চলেছি, তার জন্য নিজে কতটা যোগ্য সত্যিই জানি না। নীরেন্দ্রনাথ মহাশয় একবার বলেছিলেন, জীবনে এমন অনেক অপমান দুঃখ পেয়েছি যা হয়ত কাম্য ছিল না, কিন্তু অন্যদিকে এমন অনেক সুখ, ভালোবাসা পেয়েছি, তারও আমি যোগ্য ছিলাম

আত্মদীপ


অবশেষে তোমার কান্না তোমাকেই কেঁদে নিতে হবে 
অবশেষে তোমার ধর্ম তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে 
অবশেষে তোমার সাথে তোমার ভিতরে
                         তোমাকেই ঘর বাঁধতে হবে

যানজট

যানজটের কোনো উদ্দেশ্য নেই, অর্থ নেই। তবু হয়। এরকম অনেকগুলো অর্থহীন যানজট পেরিয়ে, কিছু যানজট এড়িয়ে একটা বিস্তীর্ণ মাঠে এসে বসলাম। আকাশ আর মাটির কোনো তাড়া নেই। ওরা দুজনেই সময়কে কোলেকাঁখে করে বেড়িয়েও যেখানে সেখানে নামিয়ে রেখে যায় অবহেলে। আজও নামিয়ে গেল আমারই চোখের সামনে। সময় আমার সামনে দাঁড়াল কয়েকটা ইতস্তত শরতের মেঘ আর বর্ষার মেঘের দাবার ঘুঁটি সাজিয়ে, আকাশের মেঝেতে। কে চেকমেট হল? বর্ষা না শরৎ? 
...

কিছু কিছু প্রাপ্তির পর চুপ হয়ে যাই

        কিছু কিছু প্রাপ্তির পর চুপ হয়ে যাই। কৃতজ্ঞতায়। এর যোগ্য কিনা সে প্রশ্ন করতেও সঙ্কোচ হয়।
        সুস্মিতার আঁকা এই ছবিটার ক্ষেত্রে আরো মুগ্ধ হলাম ওনার সৃষ্টির নিপুণতায়, আন্তরিকতায়। অভিভূত হলাম। এতটা দূর আমার বাড়ি এসে নিজের হাতে ছবিটা দিলেন, এও বড় কম প্রাপ্তি নয়। জানি না কি বলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করি। প্রার্থনা করি সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন, এমনই সৃষ্টিমগ্ন থাকুন।

Subscribe to