অথ কেশবেশ কথা
কেশ শুভ্র হইল বিদ্যালয় জীবনে।
মা কহিল একি বাছা কোথা পাব কনে।।
বলিলাম আশ্বাসিয়া এত কেন ভাবো।
সময় হইলে সে অবশ্য আসিব।।
দিন যায় কেশ পাকে মাতার বাড়ে ভয়।
সন্তান বুঝি বা তবে চিরকুমার রয়।।
কলেজ অতীত হইলে আনিয়া গার্ণিয়ার।
দুশ্চিন্তা হইতে মাতঃ পাইলেন নিস্তার।।
চলিল সে কেশ রাঙানো পর্ব নিরন্তর।
মাতঃ ভাবেন কনে এবে জুটিবে সত্ত্বর।।
কার ঘড়ি ঠিক?
কোন দেশের গল্প বলতে পারবো না। সেসব প্রশ্ন যদি কেউ করে, এমনকি উইকিপিডিয়ার ঠাকুরদার পায়েও যদি মাথা কুটে মরে তো সে তথ্য পাবে বলে মনে হয় না। তাই সেসব কথা ছেড়ে মূল গল্পটায় আসি।
১৫ই অগাস্টের কলকাতার এক টুকরো ছবি
এই ভিডিওটা আগেও দেখেছিলাম। দেখাটা সেদিন মিলে গেল ১৫ই অগাস্টের কলকাতার এক টুকরো ছবিতে। এসপ্ল্যানেডের একটা ক্রসিং দাঁড়িয়ে ছিলাম। মাইকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানের আওয়াজ ভেসে আসছে। কানে আসছে, কিন্তু মনে ঢুকছে না।
সেই মাইকেই হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত শুরু হল। বাচ্চারা গাইছে। মনটা আটকে গেল শ্রবণেন্দ্রিয়ের সাথে।
পা ভাঙেনি তো!
রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরের টুকরোর সাথে কি শত্রুতা আমার?
পায়ের নীচে এসে পড়েছিল হয়ত
(কিম্বা রেখে দিয়েছিল হয়ত কেউ, পরম যত্নে)
এত চীৎকার কেন?
পাথরই তো ছিটকিয়েছে,
পা ভাঙেনি তো!
এমনই থাক
এক আকাশ নিঃশব্দতা হঠাৎ হাতের মুঠো ছুঁয়ে গেল
মুঠো কুঁড়ির মত ফুটল নিঃশব্দে
কি আবেশে, বিবশ হয়ে
নীল ওড়না ঢেউয়ের মত স্পর্শ করল
অপরিচিত আঙিনায় পরিচিত আদর
আকাশ আর খোলা হাত পাশাপাশিই থাক
মুঠোর বাঁধন অতীত এখন
বাতাস তো অনুভব
বাতাস তো অনুভব
ব্যথাও
বাতাস সজল আজ
ব্যথাও
যে স্বাধীনতা ভাবছি
আমাদের ছোটোবেলায় Turning Point বলে একটা অনুষ্ঠান দূরদর্শনে হত। Yash Paul সৌম্যকান্তি চেহারা, খুব কাছের একজন দরদী শিক্ষকের মতন বিজ্ঞানের নানা অজানা বিষয়ে আলোপাত করতেন।
চব্বিশে জুলাই মারা গেলেন। বিশেষ কেউ জানতে পারল না। কারণ, ১) তিনি কোন ধর্মগুরু নন, ২) তিনি রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিত্ব নন এবং ৩) অবশ্যই বিনোদন জগতের জনপ্রিয় কেউ নন।
ক্ষণ
খানিকক্ষণ তোমার জন্য অপেক্ষা করব
তারপর আরো খানিকক্ষণ অপেক্ষা করব
তারপর আরো খানিকক্ষণ
আরো খানিকক্ষণ
ওরা বলবে - এ তো হল অনেকক্ষণ!
আমি বলব, ব্যস, আর খানিকক্ষণ
নিজের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করতে পারে!
কজন মানুষ আত্মহত্যার প্রাক্কালে এত স্থির, দৃঢ় সঙ্কল্পের সাথে নিজের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করতে পারে! যদি নিরপেক্ষ আর প্রাক ধ্যান-ধারণা মুক্ত হয়ে শুনি, তবে শেষের কথাগুলো ভাবিয়ে তুলবার। সত্যিই বেঁচে থাকার অর্থ কি?
সসপ্যান
রীতার মাথাটায় একটা ঝাঁকুনি লাগছিল। মাথার ভিতরটা এখনো ঝিমঝিম করছে। চোখ খুলতে ইচ্ছা করছে না। গা'টা পাক দিচ্ছে। আশেপাশে রিকশা, স্কুটার, সাইকেলের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বুঝতে পারল। ধীরে ধীরে চোখ মেলতেই বুঝল, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। স্ট্রীটলাইটগুলোর আলোগুলো কেমন তেরছা হয়ে তার চোখে লাগছে। তাকে ধরে কে বসে আছে?