Skip to main content

ঘোরানো সিঁড়ি

ঘোরানো সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। বাড়ির বাইরের উঠান থেকে সরাসরি চলে যাওয়া যায় দোতলায়, বাড়ির ভিতর দিয়ে না গিয়েও। প্রৌঢ়া বিধবা মহিলা দোতলায়, রাস্তার দিকের জানলার কাছে দাঁড়িয়ে। আজ দোল। রাস্তার অন্য ফুটে একটা গাড়ি সারানোর গ্যারেজ। সেখানে চলছে উত্তাল দোল খেলা।
...

ক্যানভাস

নীল আকাশের ক্যানভাসে পলাশকে দেখেছি বসন্তে

কালো মেঘের ক্যানভাসে কৃষ্ণচূড়াকে দেখেছি
বর্ষায়

রাস্তাটা পেরিয়ে

রাস্তাটা আড়াআড়ি পেরিয়ে এসো
কখনো কখনও সময়কেও ডিঙিয়ে যেতে হয়

দ্বন্দ্ব

দ্বন্দ্ব তো আছেই। ঘুম থেকে উঠে থেকে রাতে শুতে যাওয়া ইস্তক দ্বন্দ্বের বিরাম নেই। আমি চাই একটা তো মন চায় আরেকটা। আমি যেটা ঠিক বলে মানি, মন সেটার বিপরীত রাস্তায় পা বাড়িয়ে বসে। যা বুঝে গেছি হওয়ার নয়, মন সেটাকেই হইয়ে ছাড়ানোর জন্য সর্বস্ব নিলেমে তুলে দিতে প্রস্তুত। ভাবলাম হব ভালো। বাস্তবে সেরকম ভালো হয়ে ওঠা আর হল না।
...

ভোলেনি

ধুলো ভুলেছে। রাস্তা ভুলেছে।

     ভোলেনি মনের কৃষ্ণপক্ষ।

            আর মাড়িয়ে আসা কৃষ্ণচূড়া।

গোলটা কিসের?

তারাখসা তো একটা আধটা দেখলাম না,
            তবু তারার সংখ্যা কম লাগেনি কোনোদিন

অগণ্য জীবের প্রাণবায়ু দিতে দিতে বাতাস রিক্ত হয়নি
            শ্বাসরোধে মরেনি কেউ

বিস্মরণ মানে কি পুনর্জন্ম?

মনে হয় যেন রাজ্যপাট সব হারিয়ে ফেলেছি
   হাজার হাজার সৈন্য হারিয়েছি
আরো হারিয়েছি না জানি কত ঘোড়া, কত হাতি

দেওয়াল

বাড়িতে এক সময় মেঝেতে এই দিনটায় প্রচুর আবীর পড়ে থাকত এখানে সেখানে। তাতে পায়ের ছাপ যে কত! বাচ্চাদের পায়ের ছাপগুলোর উপরে পড়ছে বড়দের, কখনও বড়দের ছাপ মুছে আঁকা হচ্ছে বাচ্চাদের পায়ের ছাপ। সকালে একপ্রস্থ হয়ে গেলে সন্ধ্যেবেলা আরেক প্রস্থ। আবীর তখনও মোছা হয়নি। পরেরদিন ঝাঁট দিতে দিতে কোমর ব্যথা।
...

হয়েছে কখনও?

আবীর চুমুক দিয়ে পান করেছো কখনও?
আমি করেছি
আমার ধমনী-শিরাতে সে রঙ মিশেছে
   মস্তিষ্কের প্রতিটা স্নায়ু অবধি রাঙিয়ে ছেড়েছে যখন

Subscribe to