Skip to main content

নাম কথা

জবা টগর রজনীগন্ধা ইত্যাদি
     মাত্র কয়েকটা ফুলই চিনি
   দেখেছি হয় তো আরো অনেক রকম ফুল।
  নাম জানি না।
    তাতে কি আর এসে যায় বলো?
          ফুল তো ফুলই।
        যেমন তোমার কথা।

গভীর ক'টা শব্দ

গভীর ক'টা শব্দ
  বুকে নোঙর গেঁথে ছিল
সন্ধ্যাকাশ মন রাঙিয়ে
     তারে ভাসিয়ে দিয়ে গেল

(ছবিঃ প্রীতম পাল)

অকাল সন্ধ্যে


মেঘলা আকাশ। উদ্বেল দীঘির কালো জল। বৃষ্টি ধোয়া গাছের পাতার থেকে এক বিন্দু জল পড়ল দীঘির বুকে - টুপ্। মিলিয়ে গেল। জলের বুকে মেঘের ছায়া।
পাড়ে বসে যে মেয়েটা, সে এ পাড়ায় সদ্য বিয়ে হয়ে এসেছে। এই দুপুরে সে একা বসে ঘাটের সিঁড়িতে। কেউ নেই চারধারে। ফাঁকা জনপথ। ওর কি মন খারাপ? নাকি নতুন সব কিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়া লড়াইয়ের ফাঁকে একটু অবকাশ।

বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকী

সকালে বাবার ঘরে ঢুকতেই বাবা মুখটা ঘুরিয়ে নিলেন। সে ক্ষণিক দৃষ্টিতেই বুঝলাম বাবার চোখে জল। মনে পড়ল, আজ 6th জুন। বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকী। জিজ্ঞাসা করলাম না কিছু। ফিরে আসলাম নিজের ঘরে।

অপেক্ষায়

অপেক্ষায়
আশঙ্কার পায়চারি
      মনের দালানে উঠানে


(ছবিঃ সমীরন নন্দী)

ফেসবুকের নোটিফিকেশান

ফেসবুকের নোটিফিকেশান চাকতির বুক লাল করে মাঝে মাঝেই আসে খেলার আমন্ত্রণ। ক্যান্ডি ক্রাশ ইত্যাদি নামক অসাধারণ, স্বাস্থ্যকর, উপাদেয়, পুষ্টিকর সব খেলার আমন্ত্রণ। আসুক আপত্তি নেই। আমি এক অতি তুচ্ছ, নগন্য মানুষ (এই ধরণের কথাগুলো দুপ্রকারের লোক বলে থাকে। এক, আত্মজ্ঞানী মহাপুরুষ আর দুই, হাড়বজ্জাৎ মিচকে শয়তানগুলো। আমি যে দ্বিতীয়পক্ষের এই নিয়ে কোনো সংশয় না রাখাই ভাল)। আমায় অবিশ্যি খানিক পেঁচোয় পাওয়া মানুষ

তুচ্ছ

ধানের খোসা ছাড়িয়ে চাল পুঁতলে মাটিতে
        গাছ হবে নাকি চালেই
খোসাটা অপ্রয়োজনীয় ভীষণ - অতিরিক্ত!

গাছ হল না।

 রাগে ফেটে পড়লে ধূর্ত মাটির উপর
      অকৃতজ্ঞ হল চাল

চক্র

সাইকেলের চাকা। টোটোর চাকা। বাইকের চাকা। বাসের চাকা।
রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছি বন্ধুর আসার অপেক্ষায়। সামনে হুসহুস করে চাকার দল ছুটে চলে যাচ্ছে। তার উপরে মানুষ। ব্যস্ত মানুষ, চিন্তিত মানুষ, খোশমেজাজি মানুষ, দুঃখী মানুষ। রোগা মানুষ, মোটা মানুষ। গরীব মানুষ, ধনী মানুষ, মধ্যবিত্ত মানুষ।

আশ্চর্য উপাখ্যান

আশ্চর্য উপাখ্যান
সব পাতাগুলোই খোলা
সব সংলাপগুলোই বলা
দিগন্তের মঞ্চ বালির বুকে বাঁধা
  বসে থাকো, চোখ রাখো, কান পাতো
এ অনন্ত পালা

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

তোমার নীরব বাঙ্ময়তা

তোমার নীরব বাঙ্ময়তা,
আমার নৈঃশব্দ্যপ্রাচীরের কানে কানে,
কথা বলে যায় কত---
আমার ভীরু, অস্ফুট
ভাষা যে ঠিকানাহীন--
তুমি ধারণ করোনি তাকে আপন সত্ত্বামাঝে---
তুমি হরিণছন্দে এসো--
আমার অশ্রুমুকুল চয়নে,
এসো আমার হৃদনূপুরের ভাবনাব্যাকুল গুঞ্জনে--
আমার আঁধার নয়ন আলোকিত হোক
তোমার নীরব আনন্দস্বপনে।

Subscribe to