Skip to main content

সেদিনের আকাশ ভাঙা মেঘ

জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকে বুড়ি দুটো পেঁপে বার করে পুরোহিতের হাতে দিয়ে বলল, একটু ঝোল রেঁধে খাইয়ো তো, আমায় কাল স্বপ্নে বলল পেটটা ভালো যাচ্ছে না, তোর বাগানে তো ভালোই পেঁপে হয়েছে, আমায় দুটো দিয়ে যাস না।
     পুরোহিত বলল, তোমার বাড়ি কোথায়?
     বুড়ি বলল, খড়দা...
     পুরোহিত বলল, তা তুমি নিজে রেঁধে আনলেই পারতে..

তবে দাঁড়ালোটা কি?

তবে দাঁড়ালোটা কি? ওমিক্রনে ভয় পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে কি নেই?
     সেখানের ডাক্তারেরা বলছেন, ভয় পাবেন না, আপাতত রোগের প্রকোপ তেমন কিছু না। হু বলছে, প্যানিক করবেন না, সাবধানে থাকবেন, এই বলেই তেদ্রোস কাকা আবার চশমাটা উপরে ঠেলে গম্ভীর মুখে বলল, সামনে পৃথিবীর খুব দুর্দিন। হে হে, সে বলতে কি আর তেদ্রোসকে লাগে? কথা হচ্ছে ব্যাটা কেমন জানি একটা ইনফরমেশান আতঙ্কবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা বলে তার যেন দুটো মানে হয়, এ যেন রায়গুণাকর ভরতচন্দ্রের কবিতা। "কোন গুণ নাই তার কপালে আগুন"। দুটো মানে হয় না? আমাদের বাংলার স্যারেরা ধরে ধরে বুঝিয়েছিলেন তো। কাব্য চর্চা থাক। ভাইরাস চর্চায় আসা যাক।
তো মোদ্দা কথাটা হল আপাতত যা জানা গেছে, তা হল ---

তপস্বীনী কন্যা

সংসারে সবাই তো আর অতশত কপাল করে জন্মায় না যে একটু ফুর্তি করে, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবে। না, মানে, পড়াশোনার গল্প মানেই তো সেই এক বিদ্যাসাগর মশায় স্ট্রিটলাইটের তলায় পড়েছিলেন, টিকি বেঁধে শুতেন এই সব কথা খালি। সে সব পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরোনো কালের কথা। কিন্তু এই যে একজন মানুষ, যার কিনা খোদ মাসির বিয়ে, সে কিনা হাতে মেহেন্দি লাগাতে লাগাতে পড়াশোনা করছে, সেও আবার অনলাইনে, মানে আরকি পড়াশোনা করতে করতে মেহেন্দি লাগাচ্ছে, এমনটা কে কবে দেখেছে? পায়ে আলতা, হাতে মেহেন্দি, সামনে মোবাইল স্ট্যাণ্ডে মোবাইল, মোবাইলের স্ক্রীনে দিদিমণি, চারদিকে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর হইচই, এর মধ্যে কিনা মেয়েটা পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে

জাগতে রহো

গন্তব্যে যেতে হবে। নদী উত্তাল। তায় রাতের অন্ধকার। নৌকায় ছয়জন যাত্রী।
          ইনস্টিংক্ট বলল, আমার স্থির বিশ্বাস দক্ষিণ দিকে আর চোদ্দোবার দাঁড়া টানলেই পৌঁছিয়ে যাব। আমার গাট ফিলিংস।
          ইন্টেলিজেন্স বলল, চুপ কর আহাম্মক, তোর এই গাট ফিলিংস এর ঠেলায় কতবার ডুবতে ডুবতে বেঁচেছি আমরা। আমার হিসাব বলছে দক্ষিণ দিকে আরো মাইল তিনেক গিয়ে একটা বাঁক আসবে, যা পড়েছিলাম, তারপর হয় তো পশ্চিমের শাখাটা ধরে এগোতে হবে।

রোদ স্বপ্ন

সাধারণত এরকম স্বপ্ন দেখি না। কি জানি কেন দেখলুম। ফ্রয়েড বলবে, ওই যে তুমি শোয়ার আগে রমিলা দিদির মহাভারতের কথা পড়ছিলে তাই হয় তো হবে।
          সে হবে।
          কিন্তু স্বপ্নটা হল, আমি দেখলাম, ভীষ্ম, মানে আমাদের মহাভারতের ভীষ্ম গো, স্টেশানের পাশে যে কচুরীর দোকানটা আছে না, সেই দোকানের বেঞ্চে বসে, কচুরী খাচ্ছেন, বেঞ্চে পাশেই এক গ্লাস দুধ চা রাখা।
...

আসল 'আমি'

মাঝে মাঝে ভীষণ ইমোশনাল হওয়াও
প্র্যাক্টিকাল হওয়া

খুব রাবিশ, স্টুপিড, সেন্টিমেন্টাল কথাগুলোও
ভীষণ প্র্যাক্টিকাল কখনও কখনও
...

আব্বুলিশ!

মন খারাপের চোখের দিকে তাকাতে নেই
মন খারাপ কোলে উঠে বসে 
        লোম ফোলানো বেড়ালের মত
                   বলে, আদর করো
...

বাচ্চা হচ্ছে না কেন?

এই তোদের এতদিন হল বাচ্চা হচ্ছে না কেন রে? দেখ ওদের তো তোদের পরে বিয়ে হল, তা-ই হয়ে গেল, তোদের?

            প্রশ্নটা স্বাভাবিক। কারণ আমাদের সমাজে সীমারেখার বোধটা খুব অস্পষ্ট। কোন প্রশ্ন করতে হয় আর কোন প্রশ্ন করাটা অস্বাভাবিক, সেটার বোধ আমাদের খুব একটা স্পষ্ট নয়। আমার কি জানার অধিকার নেই? নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু কৌতুহলের অধিকার নেই।
...

বিশ্বাস মানেই সুখ

সুখ একটা বিশ্বাস। বিশ্বাস করলে আছে, না করলে নেই। তুমি সুখ খুঁজবে কোথায়? এই পাড়, ওই পাড়, হালে, বৈঠায়, স্রোতে... আসলে সুখ নেই কোত্থাও। সুখ মানে বিশ্বাস।

          লটারির টিকিটগুলো সাজিয়ে, মা তারা, লোকনাথ বাবার ছবিতে ধূপ দিয়ে যে লোকটা চেয়ার পেতে বসল, সে সুখ বিক্রি করবে এখন। যে কাটবে, সে বিশ্বাস করবে, হয়তো এবার ভাগ্য ফিরবে। এই বিশ্বাসেই তার সুখ। টাকা পেলেই যে সুখী হবে, সে এখনও নিশ্চিত জানে না তো। তবু সে কিনবে। সে বেচবে সেও জানে না তার টেবিলে কার ভাগ্যের সংখ্যা রাখা। তার বিশ্বাস কেউ না কেউ পাবে। নইলে এর তার চোখের দিকে তাকাতে এলেম লাগত।
...
Subscribe to