Skip to main content

বৃন্ত ও কয়েকটা ঘটমান ঘটনা

যদি বৃন্তের সৌন্দর্য না বুঝি তবে পাপড়ির সৌন্দর্যকে বুঝি কি করে? ফুল মানে কি কেবল পাপড়ির রঙ, রূপ, সজ্জা? 

     ওই যে মালা গাঁথা হচ্ছে, বৃন্তের বুকের মধ্যে সূঁচ বিঁধিয়ে বিঁধিয়ে, সুতো পরিয়ে। বৃন্ত নির্বিকার। বৃন্ত জানে মালা গাঁথতে হলে এ তাকে সহ্য করতেই হবে, পাপড়ি সহ্য করতে পারবে না, ছিঁড়ে যাবে সে! 

জন্মদিনে

ঘটনাটা বলব ভাবিনি কোনোদিন। কিন্তু বলাটা দরকার। নইলে নিজের কাছে অপরাধী থেকে যেতে হবে। আর বিপুল, মানে আমার ছোটোবেলার বন্ধু, ও নিজে থেকেই বলল, বলে দিতে। কারণ ঘটনাটার সঙ্গে ও নিজেই জড়িয়ে। 

সে আর আরশোলা 

লোকটা যেখানে যেত পকেটে করে আরশোলাটাকে নিয়ে যেত। আরশোলাটার বাঁদিকের দুটো ডানাই ভাঙা। ডান দিকের দুটো পা-ও ছিল না। ফলে না ভালো করে উড়তে পারত, না তো ভালো করে হাঁটতে পারত। সে লোকটার বুক পকেটে, প্যাণ্টের পকেটে করে ঘুরে বেড়াত। লোকটা আরশোলাটার নাম রেখেছিল গুমশুম। 

হাম্বা হাম্ বা!

তুমি সান্ত্বনা পেতে চাও? যে কোনো কিছুর সহজ ব্যাখ্যা পেতে চাও? জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজতে চাও? জীবনের অর্থ পেতে চাও?

কিছু স্মৃতি

কিছু সম্পর্ক স্মৃতি এখন

 

চুপ থেকো

 

নইলে ওলোট-পালোট হয়ে যাব

 

কিছু স্মৃতি

 

বড় অভিমানী, জখম

 

 

(ছবি Joydeep Ghosh)
 

মহিষাসুর

মন্দিরের ছাদে একটা শালিক বসেছিল। যেই না উড়ে গেল, গণেশ বলল, হুস্! চলে গেল।

তেঁতুলগোলা জল

মোড়েই বসতো সে। বসতো কোথায়? দাঁড়িয়ে থাকতো। সেই উনিশ বছর থেকে। বাপ মরে গেল টাইফয়েডে। সেই থেকে! এখন তার তিরিশ ছুঁইছুঁই।

যোগ্যতম কে?

সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে বোঝা যায় না অনেক কিছু। না, আমি উচ্চস্তরের পড়াশোনার কথা বলছি না। আমি সমাজের কথা বলছি। আমাদের কথা বলছি।

পড়োনি বুঝি!

অন্ধকারে আলো জ্বালতে সাহস লাগে। অন্ধকারে আলো জ্বালা তো শুধু নয়, আছে আলোকে বাঁচিয়ে রাখার দায়! 

তাই, আলোর মধ্যে আলো জ্বেলে আছি বসে। নিভে যায় যদি, কেউ জানবে না। নিন্দে হবে না। বিদ্রুপ নেই, রূঢ়কথাও কেউ বলবে না। 

কিন্তু অন্ধকারে নিভে যায় যদি আলো! কি গভীর হবে অন্ধকার আরো! কি ব্যঙ্গ, কি বিদ্রুপ, কি নিন্দা, কি তামাশা! থাক থাক, এত বড় দায় কে নেবে ভাই! 

Subscribe to