Skip to main content

যা দেখছি


(বলা যাক প্রাক্- স্বাধীনতা দিবসের খেদ। উচ্ছ্বাস, আবেগটা সরালে যাকে কালো প্রশ্ন চিহ্নের মত বুকের কোণে বিঁধে থাকতে দেখি......)

দেখার সাথে


কোন দিকেতে তাকাই তোমার?

নাক-চোখ-ঠোঁট-হাত-পা?

না তো না
না গো না

তুমি আসলে দেখার সাথে
কি আসে আর?

আসে আসে আসে
জানি জানি জানি,
আসে জন্মান্তরের ব্যাথা!

তোমায় যেন পেয়েছি হাজারবার
তবু যেন হারিয়েছি তার বেশি
স্মৃতির আঁচড়ে চিনচিনে সে কথা।

বিষাদ


 
বিষাদ ততটাই গভীর হবে
যতটা তুমি চাও

বিষাদ ততটাই দীর্ঘ হবে
যতটা তুমি চাও

খুব গভীরে নেমো না
খুব দূর পথ হেঁটো না

বিষাদের মোহ
বিষাদের চেয়েও ভয়ংকর


(ছবিঃ সুমন দাস)

সবার শেষে


সবার শেষে একজন মানুষই দাঁড়িয়ে থাকে,
বিধ্বস্ত, শ্রান্ত,
তবু সামনের দিকে তাকিয়ে।

সবার শেষে কিছু বিশ্বাসের আত্মা আবার দেহ খোঁজে,
নতুন ধর্মে, নতুন মতে।

সবার শেষে কিছু নিহত ভালোবাসা তুষারপাত হয়ে ঝরে
নিঃসঙ্গতার অরণ্যে।

সবার শেষে কিছু কান্নার আওয়াজ সঙ্গীতের মূর্ছনা হয়ে ফেরে
কাল থেকে মহাকালে।

শিক্ষা


অধ্যাপক মহাশয়
তাঁর সম্ভাবনাময় ছাত্র-ছাত্রীদের
যখন গাছটার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন

অশিক্ষিত মালীটা
দাঁড়িয়ে ছিল একটু তফাতে
ওনারা চলে গেলেই
গাছটায় জল দেবে বলে

আবর্ত


শত্রুপক্ষ কেউ নেই
যাঁরা আছেন তাঁরা
               বিপরীতপক্ষ

আর আছেন কেউ কেউ মাঝে
               নিরপেক্ষ

এরই মধ্যে!


এই মাত্র যে গুছিয়ে গেলাম!
কি হল সব?
এরই মধ্যে ছড়িয়ে গেল?

এমনই হয়
রোজই হয়
রোজই ভাবি, আর না
থাক যা কিছু
যেমন আছে পড়ে।

হয় না যে,
আবার আসি
অহংকারে
গুছিয়ে নিতে 
সব কিছু ফের
নিজের মত করে।

অসময়ে


বাতাস আগুন জ্বালে না
দু'হাত আলোর মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে
আলো হাতে ধরা দেয় না
চোখদুটোতে কালো কাজল
চোখের জলে ধুয়েও ধুলে না
ভিজে পায়ে ধুলো পথে হেঁটে
পথের ধুলো আনলে ঘরে
সারাটা দিন আগলটাকে
আঁচলে বেঁধে বেড়ালে
সরালেও না, রাখলেও না
ভোরের আকাশে শুকতারা,
সন্ধ্যাতারাকে চিনবে বলে
সারাটা দিন সূর্য্যকে গায়ে মাখলে না

আসল উৎসব

এই প্রথম শান্তিনিকেতনের কোনো উৎসবে থাকার সুযোগ ঘটল, বা সৌভাগ্য হল বলা যায়। বৃক্ষরোপণ উৎসব। সার দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা 'মরু বিজয়ের কেতন উড়াও' গানের সাথে সাথে নাচের মাঝে বৃক্ষকে মহাসমারোহে আহ্বান করে নিয়ে আসল। 

না, আমি কোনো উৎসবের বর্ণনা দেব বলে লিখছিনা। উৎসব অনেক দেখেছি। অংশ নিয়েছি, হই হুল্লোড় করেছি। 

Subscribe to