Skip to main content

যে মানুষটা


যে মানুষটা দেবতা হতে গিয়েছিল
ওই যে ওইখানে, পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

যে মানুষটা শয়তানী শিখতে গিয়েছিল
সে অন্ধকারে পথ হারিয়েছে, হারিয়ে গেছে

যে মানুষটা ভোরবেলায় লাঙল হাতে বেরিয়েছিল
ফিরে এসেছে, একঝুড়ি শস্য মাথায় করে এনেছে

ওই যে বাচ্চাটা দাওয়ায় বসে মুড়ি খাচ্ছে
উঠানে ছড়িয়ে কাকগুলোকে ডাকছে
ও মানুষের বাচ্চা
দেবতারও না, শয়তানেরও না

একলা একলা

বুকে কিছুটা আগুন জ্বলেছিল
পুড়ছিলাম নিঃশব্দে
আঁচটা নিভাইনি জেনেশুনেই
   শেষে শুধু ছাই পড়ে থাকবে জেনেও

নরককে নরকেই চাই

আমাকে নরকের দরজায় রেখে
নিশ্চিন্তে ফিরে যাও
আমি আমার মত স্বর্গ বানিয়ে নেব 

তোমার স্বর্গে যেতে পারবো না
সেখানে পরতে পরতে দেখি
নরকের আতঙ্ক

আমি নরককে নরকেই চাই
স্বর্গীয় আতঙ্কে না

আজ বলব তোমায়

আজ বলব, তোমায় আমি ভালবাসি
আজ বোঝাব, তোমায় কতটা ভালবাসি

কিন্তু কিভাবে?

সকাল থেকে কাগজ পেন নিয়ে
লিখব আজ জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতাটা
কোহিনুরের মত রাখব তোমার পায়ে
বলব তোমায়, বোঝবো তোমায়
আমি তোমায় কতটা চাই
কতটা ভালোবাসি

কিন্তু একি, বেলা গড়িয়ে দুপুর হল
সাদা কাগজ সাদাই পড়ে আছে!
একটা আঁচড়ও নেই!
শব্দগুলো হারালো কার কাছে?

বোঝা-বুঝি

তুমি কথা বলতে বলতে পাশ থেকে উঠে গেলে
আমায় বোঝাতে কি সব
আঁকিবুকি কথা
বোঝালেও
মানে বোঝানোর চেষ্টা করলে
শেষে বললে, বুঝেছ?
আমি মাথা নেড়ে বললাম, হ্যাঁ

কি বোঝালে বুঝিনি
বুঝলাম এটুকুই-
তুমি পাশ থেকে উঠে গেছো

আটপৌরে

তোমায় নিয়ে একটা কবিতা লিখব?

সামনে দাঁড়াও তবে

কেমন লাগল?

ভাল

আমার চোখের থেকে চোখ সরাও এবার
আমি পাতা উল্টাবো

হিসাব করব
মাসকাবারি বাজারের

তুমি?

রাত দুটো

পরদাটা একটু নড়ল
তুমি এলে?

রাত আড়াইটে

ঘরে তোমার গায়ের গন্ধ
তুমি এসেছ?

রাত তিনটে

আমার বুকের মধ্যে ছুঁচ ফুটছে
তুমি দেখতে পাচ্ছ আমায়?
আমি পাচ্ছি না তো!

ভোর চারটে

আমার গলার কাচ্ছে কান্না
চোখদুটোতে জ্বালা
তুমি চলে যাচ্ছ?
আবার!

আসবে আবার?

আমার দু'চোখ জোড়া ঘুম

সর্দিলীলা


(কীর্তনাঙ্গের প্রচলিত সুরে গেয়)
------------------------------

মরিব মরিব সখী নিশ্চয় মরিব
আমার এত সাধের অ্যান্ড্রয়েডখানা
                           কারে দিয়ে যাব

শিকড়


গায়ে কেউ কটা ফুল ছড়ালো
গলায় কেউ মালা পরিয়ে গেল
                        অতর্কিতে
ভাল লাগছিল
তারপর ফুলগুলো কুটকুট করতে লাগল সারা গায়ে
মালাটা ভারী হতে হতে 
আমার মাথাটাকে নীচে নামিয়ে আনছিল
আমারই পায়ের কাছে

জল


আমার চারিদিকে চারটে মরা নদী
আগে জল ছিল, কোনো না-দেখা পাহাড়ী ঝরণা থেকে নামত
এখন খালি নুড়ি পাথর বালি আর বালি
আমি জল চাইতে এ পাড়া ও পাড়া ঘুরেছি
কই জল?
শুকনো খাল, শুকনো দীঘি, শুকনো নদী
ওরা বলল, চলুন খুঁজি জল, যাবেন?
হাঁটতে হাঁটতে বন পাহাড় পেরিয়ে মরুভূমিতে এলাম সবাই
ওরা বলল খুঁড়বেন বালি?
বালি খুঁড়তে খুঁড়তে নীচের দিকে নামছি তো নামছি

Subscribe to কবিতা