তোতলা বিবেক
বোবা না, তোতলা ছিল। ...
জাগা ঘুম
একদম ঠিক
যেমন অন্যান্য সাধারণ ব্যস্ত বসন্তের বিকেলগুলো হয়,
আমি চায়ের কাপ হাতে
...
সুখ ও সত্য
সত্য বলল সঙ্গে যাবে যদি নিজের পায়ে হাঁটো।
ট্রেনে ওঠ বাবু
না। সতীশ মাথাটা ঝুঁকিয়ে বসে। নাম বত্রিশে। এখন চলছে আঠারো। এক একজন পেশেন্ট সময় নিয়ে দেখেন ডাক্তারবাবু।
"তোমাদের কাছে এসে দু'হাত পেতেছি"
না, বানানো যায় না। তবে তো তার ব্যক্তিগত জীবনের গতিবিধির উপর চোখ রাখা হবে। সে কি সার্চ
করছে, কি চ্যাট করছে, কি আঁকিবুঁকি কাটছে - এ সব তো ভীষণ ব্যক্তিগত, তাই না? ...
চায়ের ভাঁড়
ডাক শুনতে শুনতে, হাঁসেদের জলে নামা প্যাঁক প্যাঁক ডাক শুনতে শুনতে, গরুদের মাঠে চরা দেখতে
দেখতে চা খেত। ভাঁড়ে করে চা খেত।
আমিও যাব
যখন বুঝলে
আর কোনো নতুন দান দেওয়ার নেই তোমার
খেলার ছক উলটে চলে যেতে চাইলে
শব্দের মান
সে অনেক কাল আগের কথা। কোনো এক দেশে এক বিদ্বান রাজা ছিলেন। তার মত বিদ্যা আশেপাশে যোজন যোজন দূর রাজ্যের রাজাদেরও ছিল না। তিনি বিদ্যাকেই ঈশ্বর মানতেন। তাই সে রাজ্যে সব মন্দিরে শুধু বর্ণমালালিপি পূজিত হত। সরস্বতীপুজো ছাড়া অন্য পুজোও ছিল নিষিদ্ধ।
আম্রমুকুল সৌগন্ধে
বোধের আবিষ্কার
আপনারা পাগল!!
রঞ্জিতা গ্লাসের আওয়াজ শুনে চোখ খুলে তাকালো। বিপ্র জল খাচ্ছে। হাতটা কাঁপছে। ঘরে জিরো পাওয়ারের নীল হালকা একটা আলো। বিপ্র শর্টস পরে আছে। খালি গা। শর্টসে একটা ভাল্লুকের মুখ। সাদা ভাল্লুক।
প্রতিধ্বনি
স্রোত কিছু বলবে না। ...
হঠাৎ করে কি হয়ে গেল
পলাশ বিছানো রাস্তা
এত পলাশ
এত পলাশ
এত পলাশ
বোকা নকল সুপারম্যান
সবাই চায় তার জীবনে একজন সুপারম্যান আসুক, যে তার পাশে দাঁড়িয়ে তার সব সমস্যার সমাধান করে দেবে।
মায়ের আঁচলের উষ্ণতা বাঁচবে অমরতায়
শিশিরভেজা ঘাস
ধুয়ে গেল বৃষ্টিজলে
বাচ্চাটা ফিরছে
বাঁশি হাতে
মেলা থেকে ...
মেয়েদের মত করে হাঁটিস না
আমি আসি...
মাঠে বসা ছাড়া বিরুদ্ধ ভটচাযের আর উপায় ছিল না আসলে। বাড়ির চাবি ভুল করে শ্বশুরবাড়ি ফেলে এসেছেন। কাঁকিনাড়া থেকে বড় ছেলে চাবি নিয়ে আসছে। কিন্তু মদনপুর পৌঁছাতে সময় তো লাগবে। অগত্যা, ধানক্ষেতেই বসে পড়লেন।
থামিয়ে দিও
থামিয়ে দিও
ভয় যদি তোমার আগে আগে হাঁটে
থামিয়ে দিও
চলো কবাডি খেলি
মিঠেরোদে গা এলিয়ে বসে থাকতে থাকতে টুক করে মারা গেল নরহরি।
তুফান পেলে বাঁচি
গোঁসাই, যাকেই বসাই সেই খামচি দিয়ে যায়।
লড়াই চলুক
শুধু সব কিছুর শেষে যেন মানুষের আত্মসম্মানটাই জয়ী হয়। সেটুকু বেঁচে থাকলেই সে বাকিটা আবার তৈরি করে নিতে পারবে। ...
মাটিকুমড়ো
বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। সিটে বসলাম না। আরে বাবা রাতদিন বাড়ির ভিতর বসেই তো আছি, আর কতদিন বসে থাকা যায়!
অল দ্য বেস্ট পুকাই
পুকাই বাইরে উঠানে ক্যাম্পখাটে বসে বসে মাছরাঙাটাকে দেখছে। মাছরাঙাটা বেড়ার উপর বসে রোদ পোহাচ্ছে। এক একবার পুকাইয়ের মুখের দিকে তাকাচ্ছে।
গেহেরাইয়া
এমন অভিনয় যেন বহুকাল দেখিনি। এ অবশ্য বাড়াবাড়ি কথা, তবে প্রেমে পড়লে অমন বাড়াবাড়ি মার্জনীয়।
তা দীপিকা করলটা কি? একটা চরিত্রে অভিনয় করল। কেমন চরিত্র? ইংরাজিতে 'ফ্র্যাজাইল' বলে না? ...
খালি পা
আজকাল বিক্রি-বাট্টা কম। জোয়ান বয়সের মত অত পারে না এখন। তাছাড়া এ ধানতলায় এখন
দোকানেরও অভাব নেই। বদর ১৯০ টাকা কেজি চিকেন দিলে, জগন্নাথ হয় তো দেখো দিচ্ছে ১৭০ টাকায়। ...
দুজনে অন্ধ
একজনের হাতে লাঠি
তার আঁচল ধরে
চলে আরেকজন
পিছু পিছু ...
মনে হয়
আর কোনো জন্মে আমি গাছ ছিলাম
নইলে গাছেদের সঙ্গে এত স্মৃতির
আত্মীয়তা কেন?
মন মাছি
সুধাকর সামন্ত সুখী মানুষ না। সন্ধ্যেবেলা সরষে ক্ষেতে পা ডুবিয়ে বসে আছে। প্রায়ই থাকে। লোকে বলে, সুধা অমন অন্ধকারে পা ডুবিয়ে বসে থাকো ক্ষেতে, সাপখোপে কামড়াবে, পোকামাকড় আছে।
তুমি যত হিংসা করো
তুমি তত অমানুষ হও ...
তোমার না আসার অনেক কারণ আছে
ওগো নিঠুর দরদী
ভালোবাসার ব্যথা অনেক। না ভালোবাসার ব্যথা নেই। ভালোবাসার ব্যথা মাটির গন্ধের মত। সে যেমন থেকেও নেই। কিন্তু যেই না বৃষ্টির জল এসে পড়ল, সে জেগে গেল, এও তেমন।
কোনো অন্তিম স্টেশান হয় না
এক কাপ চা খাওয়াবেন?
মুখোমুখি
আয়ুষ্মান
আমার এক বোনের পুত্র, আয়ুষ্মান। ইনি বায়না করেন না, স্টেটমেন্ট দেন। যেমন, এখন আমি বাড়ি যাব...
এখন আমি ক্যাডবেরি খাব... এখন আমি মামুর কোলে যাব... ইত্যাদি ইত্যাদি।
ধর্মবোধ
করেন কোনো আলোকপ্রাপ্ত পুরুষ; দ্বিতীয় কাজটা করেন সাধারণত কোনো উদ্দেশ্যদ্বারা চালিত মানুষ। সে উদ্দেশ্য রাজনীতি হতে পারে, জীবিকা হ
তে পারে, আরো কোনো গূঢ় স্বার্থ বা উদ্দেশ্য হতে পারে। ...
তোমার হাতে একা আমি
মরুভূমির মধ্যে দাঁড়িয়ে
এক কণা বালি হাতে করে বলেছিলাম
আমার সঙ্গে কলকাতায় চলো
...
ফিরে বলছি
মেয়েটার বাপের বাড়ি রইল না
কিন্তু বাপের বাড়ির গ্রামটা রয়ে গেল
বীরনগর ...
কিছু না করার ক্ষমতা
সান্ত্বনা চাও?
সান্ত্বনা চাও?
অনন্ত সান্ত্বনা?
কে দেবে? ...