Skip to main content

গো-সঙ্গ

 ব্যায়াম করা যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, এই নিয়ে কোনো সন্দেহ কোনোদিন ছিল না পরাশর কবিরাজের। কিন্তু মুশকিল হল আজকাল ব্যায়াম করতে গেলেই ঘুম পায়। আর ঘুম পেলেই স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে ঘুম ভেঙে যায়, বেজায় খিদে পায়, বেশি খেয়ে ফেলেন, আর ওজন বেড়ে যায়। 

আপনি প্রচুর বেড়ান, না?

- আপনি প্রচুর বেড়ান, না? ( বয়েস পঁয়ত্রিশের নীচেই হবে, মহিলা, লেখকের সামনের চেয়ারে বসে, ছাত্রের মা)
- ওই একটু আধটু
- উনিও খুব বেড়ান জানেন তো...ভীষ....ণ নেশা...( মুখটা ঊর্ধ্বমুখে ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে উঠে গেল, ঠোঁটটা আগেকার দিনের পাঁচ পয়সার মত হাঁ হয়ে রইল) 
- বাহ্, ভালো তো

ওদিকে যেমন হয়

        আর সামাজিক চিন্তা করবেন না। তাই মহেশ্বরবাবু ঠিক করেছেন কয়েকটা দিন কোনো ভূতুড়ে বাড়িতেই কাটিয়ে আসবেন। অনেক খোঁজপাতি করে শেষে রাণাঘাটের থেকে চোদ্দো মাইল দূরে হাড়জোড়া গ্রামের কোনায় একটা ভূতুড়ে বাড়ির সন্ধান পেলেন। একদিন বেলায় চাট্টি ডালভাত খেয়ে, একটা ট্রল

যেখানে দেখিবে ব্রিজ


যেখানে দেখিবে ব্রিজ, 
নাড়াইয়া দেখো ভিত
পড়িলে পড়িতে পারে 
    যখন তখন

আমি এক হাতে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে


হল কি, আমি এক হাতে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে, খাবার টেবিলে বসে, আরেক হাতে তারিয়ে তারিয়ে আমের আঁটি চুষছিলাম। পুরো সাদা হয়ে আঁটিটার রঙ প্রায় আমার মোবাইলটার মতই হয়ে এসেছে। এমন সময় বাবা জিজ্ঞাসা করলেন, "হ্যাঁরে আজ পাম্প চালানো হয়েছিল?" আমি খানিক অন্যমনস্ক হয়ে পড়লাম, চালিয়ে ছিলাম কি? ভাবতে ভাবতে আঁটিটা কিরকম বিস্বাদ ঠেকল...ওমা! তাকিয়ে দেখি আমি তো আঁটি না, মোবাইলটা চুষে দিয়েছি...

পাস-ওয়ার্ড

চেয়ার ফাঁকা রাখলে তাতে নাকি মাঝরাতে ভুত এসে বসে। প্রদোষ ফেসবুকে পড়েছে। তাই মাঝরাতে ল্যাপটপটা চেয়ারে রেখে শোয়। সেদিনও শুয়েছে। মাঝরাতে হঠাৎ শোনে তার ঠাকুমার গলা, "পাসওয়ার্ডটা কিরে?" প্রদোষ ঘুমের ঘোরেই বলে দেয়, 'অঞ্জনা জানু'।
...

মহাদেব

        সেই গল্পটা মনে আছে? আমার আজ সকালে ফের মনে পড়ল। 
        মহাদেব তো ধ্যানে। ওঠেই না, ওঠেই না। এদিকে মহাদেব ধ্যান থেকে না উঠলে তাঁর বে হবে কি করে? আর বিয়ে যদি না হয়, পুত্তুর যদি না জম্মায় অসুর বধ হবে কি করে? দেবতারা তো মহা ফাঁপরে! 
...

দাবা

ইনি সুবিবেচক হিসাবে পরিচিত ছিলেনই। ইদানীং একটি ঘটনায় ইনি যে কত উচ্চ উদার হৃদয়বান পুরুষ তার প্রমাণ পাওয়া গেল। সংসারে এরূপ উদাহরণ সত্যিই বিরল। 
        ইনি তাহার কাকার (Sagar Sil) ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন একটি অজ্ঞাত বস্তু খাটে শোভা পাইতেছে। অজ্ঞানতা উন্নতির অন্তরায়, ইনি বিশ্বাস করেন। সেই হেতু জিজ্ঞাসা করিলেন কাকাকে, ইহা কি বস্তু? কাকা উত্তর করলেন, এটি দাবা।
...

ভক্ত

তো হল কি তিনি খুব ভক্ত মানুষ। অনেকটা পথ হাঁটছেন। শরীর আর দিচ্ছে না। বেজায় ক্লান্ত। রামকে কাতর হয়ে মনে মনে প্রার্থনা জানাচ্ছেন, হে রাম, হে প্রভু, আমায় একটা ঘোড়া পাইয়ে দাও, আর তো হাঁটতে পারছি না। 
        খানিক পর দেখা যায় রাস্তার উপর সত্যিই একটা ঘোড়া। ভক্ত উৎফুল্ল হয়ে "জয় প্রভু, জয় রামজীকী" বলে চড়ে বসে। ও বাব্বা! খানিকটা পথ যেতে না যেতেই ঘোড়াটার পা গেল মচকে। ঘোড়া আর চলতে পারে না। ওদিকে দয়ালু, শ্রান্ত ভক্তও অমন অসুস্থ ঘোড়াকে মাঝপথে একলা ফেলে আসতে পারে না।

বিষয়ীর দেবস্বপ্ন

লুচ্চকবাবু কালরাতে স্বপ্ন দেখে কেঁদেছেন। কেউ জিজ্ঞাসা করলেই ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে দেখাচ্ছেন। কথা বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসক এসে বলেছেন ঘুমের ঘোরে তীব্র মানসিক আঘাত পেয়ে শিরা-ধমনী-স্নায়ু গিট্টু পাকিয়ে গেছে।
        লুচ্চকবাবু আর কয়েক ঘন্টা টিকলেন। যতক্ষণ টিকলেন ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে, 'উঁ উঁ' করে কিছু বলতে চাইলেন। ওনার স্ত্রী, দশ ছেলে, দশ ছেলের বউ, চল্লিশটা নাতি-নাতনি, পাঁচশো দাসদাসী ভাবলে, কত্তাবাবার ঈশ্বরদর্শন হয়েছে।
...
Subscribe to রম্যরচনা