সৌরভ ভট্টাচার্য
31 March 2018
চেয়ার ফাঁকা রাখলে তাতে নাকি মাঝরাতে ভুত এসে বসে। প্রদোষ ফেসবুকে পড়েছে। তাই মাঝরাতে ল্যাপটপটা চেয়ারে রেখে শোয়। সেদিনও শুয়েছে। মাঝরাতে হঠাৎ শোনে তার ঠাকুমার গলা, "পাসওয়ার্ডটা কিরে?" প্রদোষ ঘুমের ঘোরেই বলে দেয়, 'অঞ্জনা জানু'।
ভোরবেলায় অঞ্জনার ফোন। "তোমার ঠাকুমার ছবি লাগিয়েছ কেন ডিপিতে? কি বিশ্রী দেখাচ্ছে!"
প্রদোষ ঘাবড়ে গিয়ে কিছু বলতে যাবে, এমন সময় কাল রাতের কথা মনে পড়ে যায়। দেওয়ালে ঝোলানো ঠাকুমার ছবির দিকে তাকায়। পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নাম রাখে 'তারকনাথ', তার ঠাকুর্দার নাম। ঠাকুমা এটা লিখবে না, লিখতে নেই।
অঞ্জনা'র পরেরদিন আবার ফোন, "উফ্ফফ..., কি করছ? ঠাকুর্দার ছবি কেন আবার, তুমি কি রাত্রে বেশিই গিলছ?"
প্রদোষ ঘাবড়ে গিয়ে কিছু বলতে যাবে, এমন সময় কাল রাতের কথা মনে পড়ে যায়। দেওয়ালে ঝোলানো ঠাকুমার ছবির দিকে তাকায়। পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নাম রাখে 'তারকনাথ', তার ঠাকুর্দার নাম। ঠাকুমা এটা লিখবে না, লিখতে নেই।
অঞ্জনা'র পরেরদিন আবার ফোন, "উফ্ফফ..., কি করছ? ঠাকুর্দার ছবি কেন আবার, তুমি কি রাত্রে বেশিই গিলছ?"
প্রদোষ ল্যাপটপ বিছানায় নিয়ে শোয়। চেয়ারে একটা গীতা, একটা কোরাণ আর বাইবেল রাখে। মাঝরাতে কিছু একটা আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। দেখে সব বইগুলো মাটিতে পড়ে। 'দাস ক্যাপিটাল' চেয়ারে রাখা।
পরের দিন আবার অঞ্জনার ফোন, "তুমি মার্ক্সের ছবি দিলে কেন? জানো না বাবাকে, তোমার ফ্রেণ্ডলিস্টে আছে তো... তুমি লক্ষ্মীছেলের মত ডিপি পাল্টাও, নইলে... বাবা আসছে..."
পিছন থেকে শোনা গেল "জয় শ্রীরাম"... অঞ্জনার বাবা দিলীপবাবু।
পরের দিন আবার অঞ্জনার ফোন, "তুমি মার্ক্সের ছবি দিলে কেন? জানো না বাবাকে, তোমার ফ্রেণ্ডলিস্টে আছে তো... তুমি লক্ষ্মীছেলের মত ডিপি পাল্টাও, নইলে... বাবা আসছে..."
পিছন থেকে শোনা গেল "জয় শ্রীরাম"... অঞ্জনার বাবা দিলীপবাবু।
প্রদোষ ফেসবুকে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করল। একটা কবিতা দিল.. 'বঙ্কু চুঙ্কু মুঙ্কু / হনুমানে খেয়ে যায় টুঙ্কু'।
দিলীপবাবুর ফেসবুক হ্যাকড। তাতে একটা রিকশার ছবি।