- আপনি প্রচুর বেড়ান, না? ( বয়েস পঁয়ত্রিশের নীচেই হবে, মহিলা, লেখকের সামনের চেয়ারে বসে, ছাত্রের মা)
- ওই একটু আধটু
- উনিও খুব বেড়ান জানেন তো...ভীষ....ণ নেশা...( মুখটা ঊর্ধ্বমুখে ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে উঠে গেল, ঠোঁটটা আগেকার দিনের পাঁচ পয়সার মত হাঁ হয়ে রইল)
- বাহ্, ভালো তো
- আর বলবেন না, সমুদ্রের ওদিকে তো ট্রেকিং এ যায়ই, আবার পাহাড়েও যায়..শুধু ট্রেকিং ট্রেকিং আর ট্রেকিং...( ডান দিক থেকে বাঁ দিক, আবার বাঁ দিক থেকে ডানদিক নাচের মুদ্রায়, রাবীন্দ্রিক নৃত্যভঙ্গী)
- ( প্রবলভাবে দাঁত আর মাড়ি চেপে রাখার চেষ্টা)
- ওই যে রোটাং পাস ('পাশ' পড়ুন) আছে না? ( অপূর্ব হাসি!, ইনোসেন্ট, কনফিডেন্ট), তার পাশ দিয়েই তো যায়, কুলু মানালি? খালি খালি কুলুউউউ...আর মানালি...ট্রেকিং...আর ট্রেকিং..
লেখক আসন্ন তিতলির ভয়াবহতা নিয়ে মনে মনে ভাবনা বদলানোর চেষ্টায় ব্যস্ত...চোয়াল ব্যথা করছে...পেটের পেশীগুলো আর চাপা যাচ্ছে না....
শেষ উক্তি...
এবার পূজোয় হল না, সামনেরবার শিলং সিমলাটা ঘুরে নেব...ও দীঘা থেকে ট্রেকিংটা করে আসুক এবার!
লেখকের মনে সেই অদেখা ব্যক্তির দীঘায় ট্রেকিং এর কল্পনা..স্বদারা..না পরদারা!!
অসভ্য...লেখক মন শুদ্ধ করো....