এমনই থাক
এক আকাশ নিঃশব্দতা হঠাৎ হাতের মুঠো ছুঁয়ে গেল
মুঠো কুঁড়ির মত ফুটল নিঃশব্দে
কি আবেশে, বিবশ হয়ে
নীল ওড়না ঢেউয়ের মত স্পর্শ করল
অপরিচিত আঙিনায় পরিচিত আদর
আকাশ আর খোলা হাত পাশাপাশিই থাক
মুঠোর বাঁধন অতীত এখন
ক্ষণ
খানিকক্ষণ তোমার জন্য অপেক্ষা করব
তারপর আরো খানিকক্ষণ অপেক্ষা করব
তারপর আরো খানিকক্ষণ
আরো খানিকক্ষণ
ওরা বলবে - এ তো হল অনেকক্ষণ!
আমি বলব, ব্যস, আর খানিকক্ষণ
দুটো কোর্ট
একটা দাগ
দুটো দাগ
নীল দাগ
typing....
দুটো কোর্ট।
ঠকাস। ঠকাস।
উদ্বিগ্ন চোখ, স্ক্রিণের কোনায়।
ফুরিয়ে আসা ব্যাটারির লাল নিশান।
typing....
সত্য রইল চুপ করে
মোহ বলল, যাব না।
সত্য রইল চুপ করে।
মোহ বলল, এই দেখো আমার ঐশ্বর্য,
বলেই সে ছায়ামূর্তি ধরে প্রাসাদ, ধন-দৌলত বানিয়ে ফেলল কয়েক লহমায়।
সত্য রইল চুপ করে।
মোহ চীৎকার করল।
গান গাইল। নাচল।
বিদ্রুপ করল। শ্লেষোক্তি করল।
সত্য রইল চুপ করে।
মারা গেছে জানেন?
মারা গেছে জানেন?
কে?
নাম দিয়ে কি দরকার
বয়েস? লিঙ্গ?
৬৪, মহিলা
রোগ?
রোগ না। ধর্ষিত প্রতিবাদী যোনিতে চারটে লিঙ্গের সাথে নাকি লোহার রড, ভাঙা বোতল, গাছের গুঁড়ি ঢুকে গিয়েছিল।
ওমা কেন?
কিছু মদ্যপের লীলাখেলায় প্রতিবাদ করেছিল। একা মেয়েমানুষ, তায় আবার প্রতিবাদ! আজব না?
নিজেকে বাঁচান ঈশ্বর
আপনি আমার একটা একটা ভালোবাসার মুখে নুন দিয়েছেন শান্ত মস্তিষ্কে
ঈশ্বর
আপনি আমার প্রতিবেশীর আর আমার বাড়ির মাঝে পাঁচিল তুলেছেন
ঈশ্বর
আপনি জীবাণুর মত সংক্রামিত হয়ে অগুনতি মস্তিষ্কের পুষ্টিরসকে চুষে চুষে খেয়ে চলেছেন
ঈশ্বর
বাকি সব বোগাস
হাওড়া স্টেশান ছেড়ে ট্রেনটা যখন বেরোয় রাত্তিরবেলা কি সন্ধ্যেবেলা, ওই হলুদ হলুদ, কমলা কমলা আলোগুলো দেখলে আমার ভীষণ মন খারাপ করত ছোটোবেলায়।
এখন করে না।
চেকমেট
চলাচলের রাস্তা
পরিচিত তো দুই হাতের কড় পেরিয়েও অনেক
আহ্নিকগতি বার্ষিকগতিতে
বাজেট-উৎসব-হাসপাতাল-প্রেম-ঈর্ষা
সবই খাপেখাপে
দুরত্ব
১
==
তুমি বললে তাই অভ্যাস করলাম
তুমি বললে তাই অভ্যাস ছাড়লাম
আবার নতুন কিছু বলো
অভ্যাস ধরা-ছাড়ার অভ্যাস হল যে!
আমি জানি
উঠে আসছিলাম
সবার অলক্ষ্যেই
ভাবছিলাম খেয়াল করোনি হয়ত
দরজা অবধি এসে মনে হল
ডাকলে?