Skip to main content

একারই


দ্বিধা ছিল 
আছে
থাকবেও

চলা ছিল
আছে
থাকবেও

রঙ হল পাকা
মুছে দিলাম 
   নির্মম

পথ একাই ছিল
একারই ছিল
আছে
থাকবেও

একটানা


প্রসঙ্গ বদলাও 
চাঁদ তারা সূর্য ঋতু 
কেউ থাকতে পারে না ঠায়ে একটানা
ভালোবাসা, সুখ, দুঃখ এরাও পারে না,
    হৃদয় পারে 
সে তো দিগন্ত 
   জাগরণ আর বিস্মরণের মাঝে দাঁড়িয়ে

অনিবার্য যেটা


বাকযুদ্ধে হেরে গেছি দু'জনেই

আমি ভাষা হারিয়েছি
সে হারিয়েছে উদ্দেশ্য

নির্বাক অপলক তাকিয়ে 
ঝুলন্ত পাহাড়ের কোলে

একটা একটা পাথর খসিয়ে যাচ্ছি খাদে
    সরে সরে দাঁড়াচ্ছি পরের পাথরটায়
নৈসর্গিক মাধুর্য মৌমাছির গুঞ্জনের মত

সেদিন যখন আকাশ জুড়ে মেঘ

সেদিন যখন আকাশ জুড়ে মেঘ
তখন আমি নিশ্চল

আমার মধ্যখানে যে একা
সেদিন সে উতলা বাতাসে চঞ্চল

তখন কোথায় তুমি?
আজ দিগন্ত ঢাকা ছায়ামল্লার তানে

একাই এসো, মৃত্যুর মত
অশ্রুকণায় সুর বাঁধা আছে
      গীতগোবিন্দ প্রাণে

(ছবিঃ সুমন)

এই তো কবিতা

পদ্মপাতার উপর এক বিন্দু জল
টলোমল

তার অবয়ব ঘিরে নীলাকাশের ছবি
ছলছল

শান্ত মন, আত্মগত প্রাণ
দূরে, বহুদূরে সব কোলাহল

আরেকটু

যদি জানলাটা আরেকটু খোলা থাকত
বিস্তীর্ণ মাঠ, সবুজ পুকুর, নীল আকাশ 
  জেগে থাকত আরো খানিকক্ষণ 
ভেজা মাটি, গাছ লাফানো জলবিন্দু, ব্যাঙের উল্লাস 
   হয়ত আরো বেশি প্রয়োজন ছিল 
   মসৃণ দেওয়াল বেয়ে ওঠানামা 
       সহজ হত 

বন্দর


শেষ জাহাজ কবে ছেড়ে গিয়েছে মনে নেই
এমন কোনো এক পরিত্যক্ত শ্রীহীন বন্দরে
   সেদিন পূর্ণিমার আলো এসে পড়েছিল 
     নাম না জানা কোনো এক পাখি ডেকে যাচ্ছিল অবিরাম, প্রত্যাশাহীন

কর্মনাশা!


সোঁদা গন্ধে পিছলে পড়েছ কখনও? 
আচমকা দেখলে, জানলায় বাইরে টাঙানো কালো স্লেট আকাশ? 
তোমার ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তোমারই মত আরেকটা মেঘলা তুমি? 
তাকে সামাল দিতে হাতড়াচ্ছ গীতবিতান 
   কবিতার ফেরিওয়ালাকে বলছ,
      “এই ঝাঁকা নামিয়ে বসো দেখি”
তোমার ভেজা চোখে কোনো বিগত দিনের ডুব সাঁতার

ছায়া


বারবার একটা ছায়া মুখের ওপর এসে পড়ছে 
বারবার সরিয়ে দিতে চাইছি
  হাতের তালুতে পাঁচ আঙুলে চেপে ধরে 
               ছুঁড়ে দিতে চাইছি আস্তাকুঁড়ে 
বারবার ছায়াটা ফিরে ফিরে এসে মুখের ওপর পড়ছে
ছায়ার সাথে কথা বলি না

মজলিশ


আজও মজলিশে একটা তাকিয়াও খালি যায়নি
আজও হাসির ফোয়ারা উঠেছিল নিঃসঙ্গ দেওয়ালের
   আত্মমগ্নতাকে ক্ষুব্ধ করে

Subscribe to কবিতা