পদ্মপাতা
শঙ্করাচার্য লিখেছিলেন, জীবন পদ্মপাতায় জলের মত চঞ্চল।
ব্যাসদেব লিখলেন, পদ্মপাতায় জলের মত নিরাসক্তভাবে বাঁচো।
পদ্মপাতায় বৃষ্টির জল জমেছে।
চাঁদের প্রতিচ্ছবি টলটল করছে।
আমি কি মুখ ফিরিয়ে নেব?
আমি কি অপেক্ষা করব জলটা গড়িয়ে পড়ার?
"তখন পাতায় পাতায় বিন্দু বিন্দু ঝরে জল
শ্যামল বনান্তভূমি করে ছলোছল"।
যদি ভালোবাসবে
যদি ভালোবাসবে
তবে একটু সরে দাঁড়াও
একটু ছেড়ে দাঁড়াও
তোমায় কে বলল
গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়ানোকেই ভালোবাসা বলে?
যদি ভালোই বাসবে
তবে ভালোবাসার মধ্যে
একটা নীলাকাশ বৈরাগ্য রেখো
দেখবে
ভালোবাসা ফাঁস হবে না
কথা হয় না
কথা হয় না
দেখা হয় না
মন ঘুরে ফিরে তাকায়
বলে,
কথা হয়নি
দেখা হয়নি
আশা উন্মুখ হয়ে বলে,
হবে, হবে।
অভিমান বলে,
না হলেই বা কি!
ব্যথা বলে
এখন এ সব কথা না হয় থাক
কখন মিলিয়ে গেছে রাজা!
সমস্ত আয়োজন সারা
একশো আটটি স্বর্ণদীপে
জ্বলজ্বল করছে কম্পিত শিখা
ঘন্টাবাদক, শঙ্খবাদক প্রস্তুত
নববেশে,
তরুণ অঙ্গের কি শোভা!
স্নিগ্ধ দিব্য
ভাবগম্ভীর পরিবেশ হল সৃষ্টি
পায়ের ছন্দ
কে বলল
সে শুধু আকাশ বেয়ে
অদৃশ্য রাস্তায় আসে?
খিড়কির দরজা দিয়েও আসে
পায়ে কাদা লেগে থাকে
চিনতে পারো না তাই
ফিরিয়ে দাও
অবিশ্বাসে
যদি পারো
জীবন তো পোষ্য নয় বলো
যে তাকে দরজার কাছে বেঁধে রাখবে
একটা বিস্কুট কি মিষ্টি ছুঁড়ে দিলে
তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে
লেজ নাড়বে
আমি কি তোমাকে বলেছি
আমি কি তোমাকে বলেছি
আমার ভীষণ ভয় করছে
আমি কি তোমাকে বলেছি
আমি তোমাকে হারাতে চাই না
আমি কি তোমাকে বলেছি
আমি হারিয়ে গেলে
সামলে নিও নিজেকে
যদি অনবরত
দিশা
ইহাই রামের জয়
রামকৃষ্ণ হাসি কয়
ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদি
এ মাটিতে নয় নয়
জয় রাম, মহাবীর
চিদাকাশে রহো স্থির
ক্ষমতালোলুপ চিত্ত
নহেরে রামেতে ধীর
রাজা এবে মন দাও
প্রজা ভুলি কেন ধাও ইতিউতি
হরিল গরব রামে
এবে ধরো ধর্ম হালে
আসুক ফিরিয়া শুভমতি