তখন বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যখানে,
যখন ঝড় উঠল
যা কিছু স্পষ্ট
মুহূর্তে হল অস্পষ্ট
ধুলো ধুলোয় ঢাকল
এমন আত্মবিশ্বাসে
যেন ওরই এখন আসার কথা ছিল
আমার এখানে থাকার কথা ছিল কি?
দৌড়ে গেলাম মাঠের মধ্যে
একা দাঁড়িয়ে থাকা
বাঁশে বাঁধা টালির বাড়িটার দিকে
যাকে বাড়ি বলেই মানিনি কোনোদিন
এত অকিঞ্চিৎকর মনে হয়েছে
ঝড় ঘিরে ধরল
সাতপাকে
শতপাকে
অজস্রপাকে
দীঘির জল মাটির বাঁধনটুকু ছাড়তে পারলে যেন বাঁচে
গাছগুলো শিকড়ের থেকে মুক্তি পেলে যেন বাঁচে
সবাই যেন
ধুলো হতে চায়
ঝড় হতে চায়
ঝড়ের মেঘ হতে চায়
"কুকুরটা ক'দিন হল খাচ্ছে না দেখুন, মারা যাবে"
আরেকজন বলল
"ওর বাচ্চা মরে গেছে সবগুলো"
সামান্য নেড়িকুকুর
ধুলোর মধ্যে গা ঢেকে বসে
ওর চোখ বলল,
ও শিকড় ছাড়তে চায়
কি হবে বেঁচে?
একি আশ্রয়হীনতার হাহাকার!
বুকে এমন করে বাজেনি তো আগে কোনোদিন!
আশ্রয় কই?
না ভিতরে
না বাইরে
না কোনো ঘরে
না কোনো হৃদয়ে
না কোনো বিশ্বাসে
না কোনো স্থির অবিশ্বাসে
এমন সুনিশ্চিত আশ্রয়হীনতায়
শিকড়গুলো আঁকড়াতে চাইছি?
না চাইছি উপড়ে ফেলা একটা ঝড়!