সূর্য ওঠে ভেসে
মৃত্যু নয়
মৃত্যুশোক বারবার ফিরে আসে
যে নেই
সে যে আমারও খানিকটা নিয়ে নেই
এ সত্যটা জলে ডোবা সিঁড়ির মত ভাসে
পুরোনো মুখের পাশে বসে নতুন মুখ
কুমোরপাড়ায় কি বিসর্জিত প্রতিমা ফিরে আসে?
সমে এসে মেলে
ফিরে আসার পর কি কি মনে থাকে?
মোড় আর গলি
গোছানো কিম্বা অগোছালো ঘর
সদ্য রান্না শেষ হওয়া রান্নাঘর
বাজারদোকান, যানজট
কিছু হাসি, কিছু ছলছল চোখ
কিছু উদাসীন গাল, কিছু অত্যুৎসাহী ঠোঁট
পাহাড়, নদী, সমুদ্র?
নাকি ঘর হারালাম?
বাইশে শ্রাবণ
বাইশে শ্রাবণ মানে
নিভু নিভু মনুষ্যত্বের শিখাকে
আরেকবার দু'হাতে
আগলে রাখতে চেষ্টা করা
সব তাপ সহ্য করেও
আদিম কৃতজ্ঞতায়
তুমি এতদিনেও বুঝলে না
কেউ ভালো নেই
ঘাসফুল
স্মৃতি।
সব রাস্তায় হেঁটো না।
কয়েকটা রাস্তা নির্ভার হয়ে হাঁটি,
সব ঘাসে বাসি ফুল রেখে যেও না
কিছু ঘাসে তাজা ঘাসফুল নিয়ে বাঁচি!
নীলকন্ঠ যখন নটরাজ হয়
বরং জনগণকেই বলো নীলকণ্ঠ
কৈলাসে নয়
বরং তাকিয়ে দেখো
আশেপাশে
দুর্নীতিতে, ভ্রষ্টাচারে
ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে
যে ছেলেটা মেয়েটা
তবু রাস্তায় নামছে
ছুটছে,
স্বপ্নগুলোকে
নতুন
ভালোবাসো
তবে সবটুকু মন দিয়ে নয়
কিছুটা থাক
নিজের জন্য
সে মনেও সে-ও আসুক
বন্ধু হয়ে
প্রেম হয়ে নয়
যদি তা পারো
ভালোবাসা কোনোদিন দমবন্ধ ঘর হবে না
খোলামেলা বাতাসে
পরিচয় হবে নিত্যনতুন
নতুন নামে
নতুন ডাক নিয়ে
দাম
মানুষটাকে ঘরে রাখা গেল না
কারণ প্রায় উপার্জনহীন
অথর্ব, জীর্ণ শরীর
সরকারি হাস্পাতালও রাখতে চাইল না
কারণ বেখেয়ালি মানুষটা
হুস করে
একমাত্র সম্বল
প্রাণবায়ুটা ফেলল হারিয়ে
আগুন নিল
দাহ করার দাম নিয়ে,
আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব
দিল সে মূল্য
নীরবতায়
যেদিন তোমার ভাষায়
আমার ভাবনাকে পেলাম
সেদিন জেনেছিলাম
তুমি আমার আপন
যেদিন তোমার নীরবতায়
আমার নীরবতাকে পেলাম
সেদিন বুঝলাম
আমি তুমিই