বাড়াবাড়ি
মানুষটা চাইত তার ঘরের দেওয়াল জুড়ে থাকবে হালকা সবুজ একটা রঙ। ঘরের চারদিকে দুটো জানলা থাকবে, গুমোট গন্ধ হবে না ঘরে। সকাল-সন্ধ্যে হালকা একটা ধুপের গন্ধ ঈশ্বরের চরণের মত ধীরে ধীরে পা ফেলে তার এ ঘর সে ঘর ঘুরে যাবে। তার বাথরুমে থাকবে হালকা সাবানের গন্ধ, মেঝে থাকবে শুকনো। খাবার আয়োজন হবে না এলাহি। থাকবে স্বাদ, থাকবে মাত্রামত আয়োজন। খেতে খেতে শব্দ করবে না,
গ্যাসলাইট ভালোবাসা
আমি তোমায় আমার প্রাণঢালা ভালোবাসা দেব।
তুমি আমায়
তোমার -
ভালোলাগা-খারাপলাগা, স্বাধীনতাবোধ,
ইচ্ছা-অনিচ্ছা ভাবনা-বিচার-আত্মসম্মান-আত্মবিশ্বাস
সব দিয়ে দাও।
কারণ?
পার্ফেক্ট
তুমিও জানো আমি পার্ফেক্ট নই। আমিও জানি তুমি পারফেক্ট নও।
তবু আমি ভয় পাই যদি তুমি পার্ফেক্ট হয়ে থাকো। তুমি ভয় পাও আমি যদি পার্ফেক্ট হয়ে থাকি।
অগত্যা তর্ক করে আমি আমার ভয় আর তোমার ভান ভাঙাতে চাই।
তোমাকে
কে যেন বলল,
এই যে পাথরটা, সমুদ্রের ঢেউয়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে এমন ক্ষীণ হয়ে গেছে, এমন মসৃণ হয়েছে যে জ্যোৎস্নার আলোয় মনে হয় যেন বিশাল এক মণি।
আমি পাথরটার পাশে বসলাম। সত্যিই জ্যোৎস্না ঠিকরে বেরোচ্ছে ওর গা ফেটে।
শব্দ সুখ
শব্দ সে কথা বুঝতে পারে। তাই কখনও কখনও একটা শব্দ তার পাশে বসা শব্দকে দেখে লজ্জায় দূরত্ব তৈরি করে। তার পাশে তার বসার কথা ছিল না তো! সে লজ্জা পাবে না! সেই অস্বস্তিকর দূরত্বকে অনুভব করতে পারে মন।
যে যে... সে সে...
যে মানুষটা অনেক কিছু চাইত, কিন্তু অনেক কিছু পারত না, মানে অনেক কিছু পাওয়ার মত সাধ্য ছিল না, সে ঠাকুরকে ডাকত মই বলে, কিম্বা লুকানো সোজা রাস্তা বলে।
শান্তিকে পায় না
মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আপেক্ষিকবাদের তত্ত্বকে ভয় পায় না।
ডারউইনের তত্ত্ব অনায়াসে সংশ্লেষবাদ কি জিনতত্ত্বকে জায়গা দিয়ে দেয়।
ফ্রয়েডকেও কোথাও কোথাও অস্বীকার করে উত্তরসূরীরা।
কিন্তু কেউ কোথাও মুখ ভার করে বসে থাকে না,
অথবা "দেখে নেব" বলে অস্ত্র শাণায় না।
আলোচনা চলছে
যে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতেই চাইল না, তাকে পাহাড়ের শ্বেতশুভ্র চূড়া সুখ দেয়।
যে সেখানে নিজের পদচিহ্ন রাখতে চেয়েছিল, অথচ পারল না, তাকে সে যন্ত্রণা দেয়।
এক সমুদ্র চোখের জল
এইভাবেই তার অহং সারাটা জীবন বেঁচে গেল।
...
ভোরের আহ্বান
...