পাগল ধেই ধেই করে নাচতে লাগল।
সবাই বলল,
এই পাগল কি হল?
পাগল বলল,
আমি সব বুঝে ফেলেচি...সব
সবাই বলল,
কি বুঝলে?
পাগল বলল,
সে ভারী সোজা কথা। অথচ দেখো আমি এদ্দিন বুঝিনি।
সবাই বলল,
আরে বলবে তো কি সেই সোজা কথাটা?
পাগল বলল -
রাত না পেরিয়ে সকাল হয় না।
বর্ষা না ডিঙিয়ে শরৎ আসে না।পশ্চিমে না ডুবলে সুয্যি পুবে ওঠে না।
সবাই বলল,
এতো আচ্ছা সোজা কথা। এই জন্য এত নাচ?
পাগল থতমত খেয়ে নাচ থামিয়ে বলল,
এ হে, তোমরা আগেই বুঝে গেছ না? আমি তো মুখ্যু তাই দেরিতে বুঝি।
সবাই এ ওর মুখের দিকে তাকালো। মন্দিরের পুরোহিত বলল, কেউ বোঝেনি রে পাগলা, তুই বুঝেছিস। এরা শরতের আগে শীত আনবে বলে এত্ত বড় যজ্ঞের আয়োজন করে... তুই ঠিক রে পাগলা....
পাগল চোখ পাকিয়ে বলল, তাই নাকি?
সবাই পুরোহিতের এ কথায় ক্ষুণ্ণ হল। একজন বলল, সেকি কথা...তাঁর জগত, তিনি যা ইচ্ছা করতেই পারেন...
পাগল অমনি এক পাক খেয়ে বলল, অথচ এই সোজা কথাটা তোমাদের তিনি বোঝাতে পারেন না.. হে হে হে.. যেমন তোমাদের বুদ্ধি.. তেমনি তোমাদের ঠাকুর... কে যে কাকে ঠকাও বাবা বুঝি না.. গ্রীষ্মকালেই গ্রীষ্ম আসে.... শীতেই আসে শীত.... যে বুঝেছে সে-ই বুঝেছে.. তারই হল জিত...
এই বলে পাগল নাচতে নাচতে চলে গেল।