সব গোল্লা
গ্রীষ্মকাল। প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। হাওড়ার সালকিয়ায় থাকি তখন। ঘিঞ্জি শহর। ছাদে সবাই শুয়েছি। গরমকালে তখন তেমনই শোয়া হত। অনেক রাত। আমার ঘুম আসছে না। পাশে সবাই ঘুমাচ্ছে। মাঝে মাঝে হাওয়া দিচ্ছে আর সামনের অশ্বত্থ গাছের পাতাগুলো হাততালি দেওয়ার মত আওয়াজ করে উঠছে। আকাশে চাঁদ। ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের দল ভেসে যাচ্ছে। অল্পক্ষণের জ
হে সরীসৃপ
দেওয়াল জুড়িয়া দুইখানি টিকটিকি ঘুরিয়া ফিরিয়া বেড়ায়। ঝগড়া, ভালোবাসা লইয়া উহাদের সংসার। সারাদিন কয়েকটি পতঙ্গের খোঁজ পাইলে তাহাদের আমোদে-প্রমোদে দিন কাটিয়া যায়। আমার ঘর ভর্তি এত এত মূল্যবান বই, এত গভীর আলোচনা, কিছুতেই তাহাদের কোনো আগ্রহ দেখি না। তাহারা সুখে শান্তিতে আছে বলিয়াই বোধ হয়।
পাখিটা মরে না
পার্থক্য শুরু হয় পেন্সিল বক্স আর টিফিন বক্সের মান থেকে। তারপর টিফিন বক্সের ভিতর খাদ্যের মান, প্রকারভেদ থেকে। তারপর ইউনিফর্ম হলে কাপড়ের মান থেকে। সাইকেলের মান থেকে, বেল্টের মান থেকে।
আমার ঈশ্বর
সাময়িক বিরতি
কথা বলা দায় জানো। কথা বললেই সুর খোঁজো, চড়া না নরম। কথা বললেই রঙ খোঁজো, গেরুয়া না সবুজ না লাল। এভাবে কথা বলা যায়?
জীবনে চাই কি?
শোনো, কত মানুষের অভিযোগের উত্তর দেবে? কত? তুমি শেষ হয়ে যাবে কিন্তু মানুষের অভিযোগ শেষ হবে না। দেখো না মৃত মানুষদের নিয়েও মানুষের কত অভিযোগ। যার নাভি ভেসে গেছে কত শতাব্দী আগে জলে, যে মানুষ মাটিতে মিশতে মিশতে শত শতাব্দী পার হয়ে গেল, তাকে নিয়েও মানুষের অভিযোগ। অভিযোগ শেষ হয় না। সে যেন রক্তবীজ।
মহামানবের সাগরতীরে
কেউ ভারতকে পেতে চায়। কাউকে ভারতে পায়।
যে ভারতকে পেতে চায়, সে কড় গোনে, দাগ কাটে, এদিক ওদিক ভিন্ন ভিন্ন রং খোঁজে, চোখ রাঙায়, দল পাকায়, দল ভাঙে।
আসলে তো শেষ হয় না
অল্পক্ষণ পরেই সব শেষ হয়ে যাবার কথা। বুলেট শরীরকে বলল, থামিয়ে দিলাম। আগুন শরীরকে বলল, পুড়িয়ে দিলাম।
সব শেষ হল। আগুন নিভে গেল। বুলেটের জন্ম সার্থক। আগুনের তাপ সার্থক।
একদেশী ভাব এখানকার নয়
privileged confinement
দস্তয়েভস্কি বলছেন, সর্বোপরি নিজেকে মিথ্যা বোলো না।