অল্পক্ষণ পরেই সব শেষ হয়ে যাবার কথা। বুলেট শরীরকে বলল, থামিয়ে দিলাম। আগুন শরীরকে বলল, পুড়িয়ে দিলাম।
সব শেষ হল। আগুন নিভে গেল। বুলেটের জন্ম সার্থক। আগুনের তাপ সার্থক।
সবাই ফিরে গেল। ছাই পিছনে রেখে। কেউ অশ্রুসিক্ত নয়নে। কেউ সহাস্য বদনে। কেউ উদাস। কেউ নির্বিকার। কেউ বলল, এবার? কেউ বলল, বাঁচা গেল! কেউ বলল, এই তো হয়!
কবি বলল, বাতাসকে বলো, সুগন্ধ। বাতাসকে বলো, দুর্গন্ধ। বাতাসকে বলো, শীতল। বাতাসকে বলো, উষ্ণ। বাতাসকে বলো, সিক্ত। বাতাসকে বলো, শুষ্ক।
বাতাস নিরুত্তর। বাতাস নির্লিপ্ত। বাতাস চিরবহমান।
তুমি একদিন বলবে, বাতাস মানে জীবন। সেদিন বুলেট, আগুন, ছাই প্রাচীন। অনেকে খুঁজছে মাথা নীচু করে দেখবে। আর কেউ কেউ বলবে, শান্তি সিঁড়ি। শান্তি পথ। শান্তি গন্তব্য নয়। গন্তব্য বলে কিছু হয় না, যেমন চাকার শুরুর বিন্দু আর শেষের বিন্দু হয় না।
সত্যই জয়ী হয় অবশেষে, দেখার ধৈর্য থাকে না সকলের। ধৈর্য ধরে দাঁড়াতে পায়ের দশটা, দশটা কুড়িটা আঙুলই লাগে। অধৈর্য যার, সে বলে এতগুলো আঙুল তো বাড়তি। কেবল বুড়ো আঙুলে ভর করে দাঁড়ায় বলে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারে না। নামার একটা ছুতো খোঁজে। একটা বুলেটের শব্দ শুনেই বলে ওঠে, সব শেষ হয়ে গেল।
আসলে তো শেষ হয় না।