Skip to main content

তর্পণ


যেদিনই তোমার জন্মদিন থাকত
আমি বলতাম-
ধুর্, মায়ের আবার জন্মদিন হয় নাকি!
যেমন আকাশের কোনো জন্মদিন নেই
মাটির কোনো জন্মদিন নেই
খুশীর কোনো জন্মদিন নেই
তেমন তোমারও কোনো জন্মদিন নেই।

তুমি হাসতে

দুই বিন্দু জল

দুই বিন্দু জল
এক বিন্দু পদ্ম পাতায়
এক বিন্দু চোখের কোণায়
         করছে ছলছল

(ছবিঃ সুমন দাস)

বিকার ও সম্পর্ক

মন আর শরীর। এ দুটোই অস্তিত্ব। ভাগাভাগি করে নেই, বেশ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে।

     কিন্তু এই দুটোতেই তো পরিচয় শেষ হয় না আমার। পরিচয় হয় সম্পর্কের সূত্রে। সম্পর্ক মনের সাথে, শরীরের সাথে। শুধু আমার না, আমার চারপাশের সাথেও। শুধু জীবন না, জড়ের সাথেও। বিভিন্ন সম্পর্কের সূত্রে পরতে পরতে গড়ে ওঠে আমার এই পরিচয়।

সেই ভাল


সব হাসি কি প্রসন্নতার?
কত হাসি মতলবেরও

সব খবর কি ঘটেছিল?
কত খবর কল্পনারও

যা কিছু ভাই এদিক ওদিক
বুঝবি যে সব, তার নেই ঠিক

তার চেয়ে ভাই আশমানেতে
ঠ্যাঙ তুলে শো, চিৎপাতেতে

মারুক ধরুক কাড়ুক নাড়ুক
ফুল চন্দন কি পোকাই পড়ুক

তোর কি কাজ সেদিক পানে
মন মজা তোর মাঠের গানে

রামধনু


একবিন্দু জল,
মেঘের বুক থেকে
      সাগরের বুকে পড়ল

বলল, আমি এখানে কেন?

সাগর বলল, বুঝবে মেঘ হলে, 
         এই বলে সে 
  একরাশ বাস্প উড়িয়ে হাসল

সূর্যের কিরণ পড়ল সে মেঘে
   রামধনু দিয়ে আকাশ সাগরকে বাঁধল

যেখানে সেখানে

মাথা যদি শ্রদ্ধায় আপনি নীচু হয়, সে ভাল। তেমন শ্রদ্ধার স্থান সংসারে কদাচিৎ মেলে। কিন্তু যদি সে অভ্যাসের বশে যেখানে সেখানে নীচু হয়ে পড়ে, তবে সে মাথায় জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। 

আবছা


কয়েক পশলা বৃষ্টি
    মন খারাপের ঝিরঝিরে কথা
হঠাৎ আসা আবছা আঁধারে
  ফেলে আসা দিনের ছেঁড়া পাতা

বিশ্বাস


বিশ্বাস চোখ রাঙিয়ে আনা যায় না, বিশ্বাস বাক চাতুরীতে টেকে না, বিশ্বাস বড় অঙ্কের সংখ্যা জন্ম দেয় না। 

বিশ্বাস জন্মায় আরেকটা শুদ্ধ বিশ্বাস থেকে। যেমন প্রাণ থেকে প্রাণ, শিখা থেকে শিখা, তেমন বিশ্বাস থেকে বিশ্বাস। 

পর্দা


ঘরের অন্ধকার
    মেঘের অন্ধকারের চেয়ে 
                     ছিল বেশি

বন্ধ জানলার পর্দাটা
পাখার হাওয়ায় উড়ে বলছিল -
'জানলাটা খোলো
         আমি খোলা হাওয়ায় ভাসি'

ফিরে এলো


দরজা খুললে
রাস্তার আলো 
পথ দেখালো
        তোমায়

দমকা হাওয়া দিল
তুমি রাস্তায় নামলে
    ফিরে তাকালে

আমি নিঃশব্দে বললাম, 
              যেও না

Subscribe to