হাঁটবে না আমাদের সাথে?
হাতের কাছে কিছু চেয়েছিলে
পাওনি। এই তো?
অথবা পেয়েও হারিয়েছ। তাই তো?
ওই গাছটার কাছে দাঁড়াও
জানতে চাও, শেষ বসন্তে ওর কত পাতা ঝরেছে?
জানতে চাও, ওর কত মুকুল অপরিণতিতেই
মাটির কোলে গোর নিয়েছে?
যদি সাড়া দাও
আমিও গেলাম মিলিয়ে
আলো জ্বাললাম। আলোর সমুদ্রে
আমার ক্ষুদ্র আলো গেল হারিয়ে।
আমিও গেলাম মিলিয়ে।
যাও
ধর্ম, শাস্ত্র, নীতি - তোমরা দূরে যাও
আমার লাগছে
আমার গলায় তোমাদের দশ আঙুলের দাগ
আমার দম আটকাচ্ছে, যাও -
তোমাদের নরকে আমার ঠিকানা লিখে রেখো
আমি যাব, আনন্দের সাথে যাব, স্বেচ্ছায় যাব
কোনো অভিযোগ থাকবে না আমার
শুভ জন্মদিন -মা
ছেলেটা অফিস থেকে ফিরল। মদের বোতল, গ্লাস টেবিলে সাজাতে লাগল, বন্ধুরা এসে যাবে। হঠাৎ হাতে লাগল, মদের বোতলের গায়ে সাঁটানো ছোট চিরকুট -
'শুভ জন্মদিন -মা'
চশমা
অবসেসান
নতুন বাথরুম। নতুন টাইলস। নতুন ফ্ল্যাশ, কমোড। গরম জল, ঠাণ্ডা জল আলাদা আলাদা কল। নতুন দামী শাওয়ার।
রোজ দেখতে ভাল লাগে। চাকরীর পর খুব ইচ্ছা ছিল এরকম একটা বাথরুম হবে রণিতের। হলও। নিম্ন মধ্যবিত্তের এই বড় সাধ, তার এটাই বারবার মনে হয়।
শূন্য আমি
ফুল তোলার কথা ছিল
তুলিনি
চন্দন বাটার কথা ছিল
বাটিনি
মালা গাঁথার কথা ছিল
গাঁথিনি
ভোগ রাঁধার কথা ছিল
রাঁধিনি
বেলা গেল, বেলা হল, বেলা গেল
তবু উঠিনি, উঠিনি, উঠিনি
"তুমি তো নাই, নাস্তিক আমি!"
বলে পাশ কাটালাম বাইরে
রাঙিয়ে গেল হৃদয় গগন
আপনি কি বলেন?
এবারের পূজোর ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে অজন্তা বেড়াতে গিয়েছিলাম। ফর্দাপুর বলে অজন্তা সংলগ্ন একটা জায়গায় একরাত্রি হোটেল বাস করতে হয়েছিল।
সকালবেলা হোটেলের বয় আমাদের ঘরে চা দিতে এলো। ঘরের দ্রব্যসামগ্রীর দিকে ধাঁ করে একনজরে চোখ বুলিয়েই, হঠাৎ তার মুখটা সলজ্জ দুষ্টু হাসিতে রক্তিম হয়ে উঠল। তারপর একটু সংকোচের সাথেই বলল, সাহাব, এক বাত পুছে?
বললুম, বোলো।