Skip to main content

দেখেছি

আমি দেখেছি
একবার না, বহুবার দেখেছি

যে অন্যকে ব্যর্থ করার সঙ্কল্পে
এক বুক ষড়যন্ত্র নিয়ে
বাড়ি থেকে বেরোলো ভোরবেলা

তাকে দেখেছি
একবার না, বহুবার দেখেছি
মাথা নীচু করে, নিজেকে ব্যর্থ করে
গোপনে ফিরছে সে চোরের মত, সন্ধ্যাবেলা

তবু তুমি

তোমায় দেখে বুঝেছিলাম
বিধাতা কাউকে নিজের হাতে সাজান

তোমার চোখের ওপর চোখ রেখে বুঝলাম
চোরাবালি শুধু পায়ের তলায় না
বুকের তলায়ও আছে

পলাশ ও জাল

ছিন্ন পরিত্যক্ত মাকড়সার জাল। কুয়াশা ঘেরা বসন্তের সকালে সে চোখ মেলে চেয়ে দেখে, তার পাশে ফুটেছে পলাশ। কি তার রূপ, কি তার রঙ! ছিন্ন জাল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ পলাশের দিকে। সম্মোহিত তার দৃষ্টি। হঠাৎ ভ্রমরের গুঞ্জনে তার ঘোর ভাঙল। ভ্রমর এসেছে পলাশের ঘুম ভাঙাতে। 

ভুল পথে

যৌথ পরিবারে কোনো বড় মানুষ যখন কোনো অবিবেচক বা আলপটকা মন্তব্য করে ফেলেন, অমনি অন্যান্য বিবেচক মানুষেরা সেটা নিয়ে কথা না বাড়িয়ে বিষয়টাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। যাতে পরিবারে শান্তি বজায় থাকে। এ অভিজ্ঞতা কম বেশি সব মানুষেরই থাকবে যাঁরা যৌথ পরিবারে মানুষ।

কালবৈশাখী

বুকে হাত রাখল
আমার হৃৎপিন্ড ছুঁয়ে বলল-
     এত তাড়াতাড়ি ছোটে?

আমি বেগ কমালাম

আবার এল
হাত রেখে বলল, এত ধীরে?

বেগ বাড়ালাম

সেবার বলল
হয় নি এখনও

এমন কেন?


এমন কেন?
সব সময় নদীর ওপারেই দাঁড়াবে?
তুমি জানো না
আমি সাঁতার জানি না?
নৌকা থাকে না, তাও জানো না?
কান পেতে শোনো
আমার হৃৎপিন্ডের স্পন্দনে ওপারে গাছের পাতাগুলো
কেঁপে কেঁপে উঠছে থরথর করে
চাঁদের আলো তোমার রক্তিম
ঠোঁট ছুঁয়ে ঠিকরে পড়ছে জলে
মুক্তোর মত


আর না-
হয় তুমি এপারে এসো
না হয় আমায় সাঁতার শেখাও

নিঃস্ব রাজার চেলা

মাথাটা যখন খুব ভারী
চোখটা যখন ঝাপসা
যখন পায়ে অদৃশ্য শিকল
বুক নিরুৎসাহে ভ্যাপসা

তখন বাইরে এসে দাঁড়া
নীচুর দিকে তাকা
জলের মত হ
তুই যে নিঃস্ব রাজার চেলা

বিজয়িনী

বাগানে নানান ফুলগাছ। হঠাৎ করে কোথা থেকে একটা ক্যাকটাস গাছ জন্মালো। অন্য গাছেদের ভুরু কোঁচকাল, নাক উঁচু হল। বেশ কিছুদিন কাটল। সব গাছে ফুল ফুটল। গোলাপ, রজনীগন্ধা, জুঁই, জবা আরো কত কি। শুধু ক্যাকটাস থাকল ফুলহীন। অন্য ফুলগাছেরা ক্যাকটাসের দিকে তাচ্ছিল্যভরে তাকালো। বলল, শুধুই কাঁটা? আহা বাছা থাকো কি করে! ক্যাকটাস হাসল শুধু।

উপলব্ধি

প্রশ্ন কোরো না
আমি উত্তর জানি না

আমার হাতে অনেক রেখা
কোনো জ্যোতিষীর হাতে হাত রেখে
উত্তর পায় নি ওরা

আমার মাথার মধ্যে জিজ্ঞাসাগুলো
এলোমেলো তারার মত সাজানো
আমি অন্ধকারে ডুবে আছি

তবু ভোরের আকাশের দিকে
চেয়ে থাকতে থাকতে মনে হয়
আমার প্রশ্নগুলোর দরকার নেই
উপলব্ধির কোনো প্রশ্ন থাকে না
প্রশ্ন থাকে না ছুঁতে পারা তারার

কাসন্দী


-শুধু ঠকলাম
-কে ঠকালো
-তার চাইতে জানতে চাও কে ঠকালো না
-বেশ। তাতে কি হয়েছে? খুব ক্ষতি হয়ে গেছে কি?
-তা হয় নি! আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না এখন
-কি মনে হয়?
-মনে হয় মুখোশ সব
-ছিঁড়ে ফেললেই হয়!
-একটা আলপটকা কথা বললেই হয়! কে ছিঁড়বে? আর কত ছিঁড়বে?
-তা হলে উপায়?

Subscribe to