Skip to main content
আবরণ


  ভারী বাতাস। জলে ভারী। কালো মেঘের বুকে জমে থাকা বিদ্যুতের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে অবাক হয়! এত আলো! এত তেজ! তবু সে মেঘের বুকে মিলিয়ে থাকে কি করে? কেন সে থাকে?

সে বৃষ্টি হয়ে নীচে পড়ে। কত রঙের ফুল পৃথিবীর বুকে ফুটে। তার অবাক লাগে। এত রঙ! এত রূপ! তবু এই একরঙা সবুজ গাছগুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকে কি করে? কেন তারা থাকে?

সে নদীর বুকে ভেসে ভেসে সমুদ্রে যায়। সমুদ্রের বুকে ডুবে দেখে ঝিনুকের মাঝে মুক্ত। কি তার রূপ! কি তার আভিজাত্য! তবু সে এই সাদামাটা ঝিনুকের খোলে লুকিয়ে থাকে কি করে? কেন সে থাকে?

সুর্য্য আসে তার কিরণের তাপ নিয়ে। সূর্য্যের আলোর কাছে যায় সমুদ্র থেকে উড়ে। দেখে কি অদ্ভুত সাতটা রঙ। কি তাদের রূপ! কি তাদের ঔজ্জ্বল্য! সে ভাবে কেন তারা এই সাদা চাদরে নিজেদের ঢেকে রাখে? কেন তারা থাকে?

সে আবার মেঘ হয়। ধ্যানে বসে। প্রেম তার সব অবগুণ্ঠন সরিয়ে, মেঘের সামনে এসে দাঁড়ায়। বলে, চোখ মেলো। মেঘের চোখ ঝলসে যায় তেজে। কি এক অব্যক্ত যন্ত্রণায় মেঘের বুকে আগুন জ্বলে ওঠে। সে বলে ওঠে, আঃ, সরে যাও...সরে যাও.... সরে যাও.....
প্রেম হাসে। বলে, তাই তো লুকিয়ে থাকি বিরহে।


(ছবিঃ সুমন দাস)