Skip to main content

অবলুপ্ত হোয়ো না

যাকে ভালোবাসো
তাকে তার কক্ষপথের থেকে সরিও না
তাকে ভালোবাসতে গিয়ে
নিজের কক্ষপথে থেকেও সরে যেও না

গতি কমিয়ে বাড়িয়ে
চলার ছন্দ মেলাও
পথ হারিও না।

হয় পাশাপাশি চলবে, না হয় দূরে দূরে
তবু, পথ হারিয়ে অবলুপ্ত হোয়ো না।

ছেঁড়া সুতো

রাতুল যেভাবে বাড়ি ফিরল সেই জানে। তুমুল কালবৈশাখী শুরু হল সন্ধ্যে থেকে। রাতুল তখন বাসে, শিয়ালদায় আসছে। রাতুল ডেলি প্যাসেঞ্জারী করছে তা প্রায় পাঁচ বছর হল। কি ঝড়, কি ঝড় রে বাবা! আগরপাড়ার কাছে ওভারহেডের তার ছিঁড়ল। তারপর হেঁটে, অটোতে, বাসে কোনরকমে যখন খড়দায় পৌঁছাল, তখন রাত সাড়ে আটটা। বাড়িতে ঢুকেই রাতুলের মা বললেন, শীগগিরি মাথায় জল ঢাল, না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে।

পরিস্থিতি ও আমরা


যে, কোনো পরিস্থিতিতেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না, সে নির্বোধ।

যে, সব পরিস্থিতিতেই দারুনভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, সে অত্যন্ত চালাক।

আমার লেখা


---

ইচ্ছা ছিল তোমার ঘরের ডাস্টবিনটা হব
ইচ্ছা ছিল তা না হোক, পাপোষখানা হব
তা না হলেও ঝাঁটা কিম্বা ন্যাতা?

হলাম কই?
নিম্নমানের কিছু কবিতাই ভরে রইল খাতা

যদি পারতাম একটা কাঁটা তুলতে
আর না হোক
সারা জীবনে একটা পা পারতে যদি
বিনা ব্যাথায় ফেলতে!

কবিতা তোমার সাথে


----
কবিতা,
তুমি আমার ঈশ্বর আর প্রেমিকার
মাঝখানে দাঁড়াও
আমি একছুটে -
হাতের কটা কাজ সেরে আসি
কিছু কথা আছে।


------
কবিতা,
তোমার গায়ের থেকে-
কিছু পারিজাতের রেণু ঝরে যাক
কিছু ধুলোবালি থাকুক গায়ে
না হলে তোমার হাত ধরতে সংকোচ হবে
আমি ময়লা মেখে যে!

সাদা-কালো

লোকটা খুব বিচার করত
মানুষগুলোকে চিরত
কেউ ঠিক না
খুব রেগে যায় লোকটা
কেউ খাঁটি না
সব বেটা স্বার্থপরের দল!
কথা কওয়ার লোক পাই কই বল?

ভিখারি আসলে ফিরিয়ে দেয়
সাহায্য চাইলে খেদিয়ে দেয়
সেলসম্যানকে ভেংচী দেয়
       সব শালা মতলববাজের দল

নিয়তি

চোখের সামনে
           এক
               এক করে
                     সব শেষ হচ্ছে
নিরুপায় সাক্ষী আমি-

পথ চেনে না আমায়
আমিও চিনি না তাকে
চলতে চলতে চিনছি তাকে
প্রতিটা বাঁকে বাঁকে

সময় চেনে না আমায়
আমিও চিনি না তাকে
পেয়ে হারিয়ে বুঝছি তাকে
আলো আঁধারের ফাঁকে

আমি চিনি না আমায়
আমায় চেনে না কে ও?
আমার বুকেই থাকে দেখি
চেনা চেনা, তবু অচেনা-ও!

অন্য বসন্তে

মনে ভাবছি কিসের এ ব্যাথা?
যে গেছে চলে, তার?
না যে আসেনি আজও তার?
নাকি যে এসেও আসেনি, তার?

ভ্রমর বলল, সে আছে
এ বসন্তে না, সে অন্য বসন্তে আছে

আমি বললাম, আছে!
তবে কি সে জানে
প্রতি বর্ষাকালে
যখন নদীর বুক ওথাল পাথাল
আমি ডুবিয়ে পা হাঁটু অবধি জলে
তীরে বসে নৌকা ভাসাই
পায় কি সে তার কূলে?

ভ্রমর বলল, পায় পায় পায়

যখন

তোমায় সবচেয়ে সুন্দর দেখায় তখন
যখন তোমার চোখে তোমায় দেখা যায়

তোমার মুখের কথা সত্যি হয় তখন
যখন প্রতিটা শব্দে তোমায় ছোঁয়া যায়

তোমায় সবচেয়ে ভালোবাসি তখন
যখন তোমার ভিতরে আমায় দেখা যায়

Subscribe to