বলে যাও
আমি সব ভুলে যাই
ওই চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে
সরিয়ে নেবে?
নাও
তবে,
কোনদিকে তাকিয়ে
তোমার চোখ দুটো ভুলি,
বলতে পারো?
পারলে, বলে যাও
দিক
অনেক দিন
এ দিক
ও দিক
করার পর বুঝলাম
সব দিকই
এদিক
ওদিক
এখন তাই
দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে
বেশ আছি
মিথ্যা
যেদিন তোমার ভয় বাস্তবের মুখোমুখি হবে,
দেখবে বাস্তবের হাত তোমার ডান হাতে ধরা
ভয় মিলিয়ে যাচ্ছে ধোঁয়ার মত, একা।
যেদিন তোমার কল্পনা প্রেমের মুখোমুখি হবে,
দেখবে প্রেমের পাদুটো তোমার দাঁড়ানো মাটিতেই রাখা
কল্পনা মিলিয়ে যাচ্ছে কুয়াশার মত, একা।
কুহক
অনুতাপ তোমার দরজায় আনে
অহংকার দরজার সামনে এসেও
ফেলে গুলিয়ে
কুতর্ক পথের ধুলো উড়িয়ে করে অন্ধকার
দু'চোখ ভরা মোহাঞ্জনের
বিষ
যখন তাকিয়েছিলে
বলেছিলাম, সুন্দর
তুমি বিষাক্ত কপটতায়
চুমু খেয়েছিলে
সে বিষ নামল ধীরে ধীরে
আমার সর্বাঙ্গ ছেয়ে,
বাধা দিইনি
বিষে আমার অধিকার
না তোমার আদরের মোহ
না বুঝেই ভালোবেসেছি তোমায়
মাতৃভাষা ও প্রাথমিক শিক্ষা
বহুদিন আগে কোনো এক নিকটাত্মীয়া আমায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর সন্তানকে তিনি কোন মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা দেবেন?
সংকট
তুমি অচেনা হলে বলে
আমি নিজেকে গুলিয়ে ফেললাম
তোমার বাঁদিকে না ডানদিকে ছিলাম আমি?
মনে পড়ছে না তো,
তুমি আমার কোন হাতে হাত রেখেছিলে,
বাঁ হাতে কাটা দাগ, ডান হাতে আঁশটে গন্ধ
কোন হাতটা ধরেছিলে?
অবসর
সেদিন সকালে ঝুল বারান্দায় বসে আছি। মনটা পদের না। কেন পদের না, বুঝছি না, বোঝার চেষ্টাও করছি না। পাত্তা দিলে পেয়ে বসে। খুব আদুরে বেড়ালের মত মন এক্কেবারে পছন্দ না আমার। সে যা হোক সামনের বাড়ির বাঁধানো উঠানে কটা ঝরা পাতা এলোমেলো বাতাসে উড়ছে, দেখছি, বেশ লাগছে।
নীল অনন্ত সুখে
রাস্তায় খানিক বৃষ্টির জল জমে
চলতে গিয়ে থমকালাম আনমনে
সোজা পথ
লোকটা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস দেওয়ালটায় ঘুঁষি মেরে চলেছে। সে জানে দরজা আছে, তবু দরজার ছিটকিনি খুলে বাইরে যাবে না। সোজা পথে, সহজে যেতে তার নাকি লজ্জা লাগে, অহংকারে লাগে।
অবশেষে লোকটা দেওয়াল ভেঙে, হাত গুঁড়ো করে বাইরে এলো।
এসে এবার সে পড়ল বিপদে। পথ কই? পথ তো ছিল দরজার সামনে।