মেঘ নিরুদ্দেশ
মেঘ পাল্টানো মেঘের ছবি
তোমার চোখেতে চোখ
দমকা হাওয়ায় খোলা চিঠি
এবার বন্যা হলেও হোক
মেঘ ঢেকেছে তারার আলো
আলোর স্পর্শে হাত
ফুলের গন্ধ তোমাতে মিশে
শ্বাসেতে রাখল হাত
প্রবর্তন
ওই শুকনো ফুলটার দিকে তাকাও
দেখো, কোনো প্রজাপতি, কোনো মৌমাছি
ওর ধারপাশ দিয়েও ঘেঁষে না।
ভালো করে খুঁজলে কটা কীট পেলেও পেতে পারো।
১লা শ্রাবণ
প্রথম বর্ষা না তো !
দিনের বেলা ঘর অন্ধকার করে মেঘ ছেয়েছে তো বহুবার
তবে তারা কারোর দূত ছিল কি? জানি না
আমার বর্ষার মেঘ দূত হয়নি কোনোদিন,
বন্ধু হয়েছে একলা আকাশের আমার
আশা
যা গিয়েছে যাক
যেটুকু ক্ষতি হওয়ার আছে হোক
ঝড় উঠেছে উঠুক
বাঁধ ভাঙা বন্যা আসার আছে আসুক
তবু মিথ্যা অলসতার আবিলতা নয়
জয়-পরাজয় ক্ষণিক স্থায়ী
পরোয়া করো না
তুমি এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিলে
বলতে পারতে লাগছে তোমার
যে ফুলগুলো বাসি,
সেগুলো ফেলার আগে
কেউ জিজ্ঞাসা করে না - ফেলব?
নদী
কিছু ভালোবাসা দু'হাতে ধরে না
দু'হাত ছাপিয়ে নদী হয়ে যায়
সে নদী শুধু কি একলা গোপনে?
না গো না, না গো না
সে নদীর কুলে স্তব প্রার্থনা
আজান কলমা সে নদীর ঢেউয়ে
তুমি চাইলেও নামতে পারো
শুধু দু'চোখে আনো আলোর খিদে
মায়া
মিল
কোনো মিল নেই
তবু মিল তো আছেই
না হলে সব বসন্তে একই ফুল
নতুন হয়ে আসে কি করে?
সব মৃত্যুই পরিচিত করে কেন
অপরিচিতকেও
ফার্নিচার
- ওই ঘরটাকে বাবুর পড়ার ঘর করে দিই বুঝলে। ও ঘরের ফার্ণিচারগুলো বিক্রি করে দিলে হবে।
- সে কি! তুমি যে বলেছিলে ঠাকুরঘর করবে?
- সে পরে হবেখন। কি জানো বাড়িতে লোকজন এলে ওর পড়ার ভীষণ ডিস্টার্ব হয়। আর ঠাকুর যেমন শোয়ার ঘরের তাকে আছে থাক। পরে ভাবা যাবে।
****** ******* ****** *********