কিশোরি আমোনকার
বড্ড নিঃশব্দে চলে গেলেন। গতকাল। কিশোরি আমোনকার। যাঁর সুরে মল্লারকে চিনেছিলাম। একটা ঘটনা মনে পড়ছে, ওর কণ্ঠে, 'মন শিব শিব কা শরণ হো' শুনে মা মুগ্ধ হয়েছিলেন। মা তখন ভীষণ অসুস্থ। গানটা কোথাতেও পাচ্ছি না। কিন্তু মায়ের এই ইচ্ছাটাও অপূর্ণ রাখতে চাইছি না। বুঝতে পারছি তাঁর সময় হয়ে
ভুল শব্দেরা
কয়েকটা না বলা শব্দ
বহু আলোকবর্ষ দূরত্ব তৈরি করতে পারে
বহুবার ভুল শব্দেরা সাঁকো ঝাঁকিয়ে
অথবা মাঝপথে লুঠ করে নিয়ে গেছে তা-
হ্যাঁ রে মেয়ে
এত অভিমানী চোখ কেন গো?
মেঘ জমেছে, না লাভা ফুটছে বুকে?
ছাদের উপর তিনটে শালিক
না দরজার আগলে দশটা চড়াই?
কি হারালো? বল না রে মেয়ে?
কি হারালো, বেরিলি বাজারে ঝুমকা?
দুর্বল
অনেকদিন পর মাটিটায় হালকা সবুজ ঘাস এলো
কদিন হেঁটো না তুমি মাঠের ওদিকটায়
আবর্জনা ফেলতে এসেছো, এসো, ফেরাব না
তুমি জানো আমি মহান নই, দুর্বল
আটকে
জোয়ারের জলে কোথা থেকে রাশ রাশ কচুরিপানা ভেসে এলো গঙ্গার বুকে
ভাঁটায় ফিরে গেল না ওরা
পাড়ে পাড়ে বেধে থেকে গেল
ফিরে গেল জোয়ারের জল
পারতে না?
না হয় দাঁড়াতে আরেকটু
আমার চলার তো কোনো সময়সারণি নেই
নেই জোয়ার ভাঁটার মত আসা-যাওয়াও
না তো আছে উদয় অস্ত যাওয়ার মত আহ্নিক গতি
কি এত খোঁজে?
ব্যস্ত পাঁচমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে,
একা দুপুরে কোনো মাঠে বসে
শ্মশানের বাইরে বসে দাহ পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায়
কিম্বা মন্দির থেকে বেরিয়ে
অথবা সমুদ্রের ধারে
বোকা
...
প্রেমকে ফানুস করে
প্রেমকে ফানুস করে আকাশে উড়িয়ে শান্তিতে আছি
পোড়ালে পোড়াক আকাশ
পুড়ে মরুক নিজে
আমার ঘরদোরে আগুন না লাগালেই বাঁচি