নিজের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করতে পারে!
কজন মানুষ আত্মহত্যার প্রাক্কালে এত স্থির, দৃঢ় সঙ্কল্পের সাথে নিজের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করতে পারে! যদি নিরপেক্ষ আর প্রাক ধ্যান-ধারণা মুক্ত হয়ে শুনি, তবে শেষের কথাগুলো ভাবিয়ে তুলবার। সত্যিই বেঁচে থাকার অর্থ কি?
সসপ্যান
রীতার মাথাটায় একটা ঝাঁকুনি লাগছিল। মাথার ভিতরটা এখনো ঝিমঝিম করছে। চোখ খুলতে ইচ্ছা করছে না। গা'টা পাক দিচ্ছে। আশেপাশে রিকশা, স্কুটার, সাইকেলের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বুঝতে পারল। ধীরে ধীরে চোখ মেলতেই বুঝল, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। স্ট্রীটলাইটগুলোর আলোগুলো কেমন তেরছা হয়ে তার চোখে লাগছে। তাকে ধরে কে বসে আছে?
গুরু নানক কলকাতায় এসেছিলেন
যুগাবতার
পদা আজন্ম শুনিয়া আসিতেছে একটি তৃণও ঈশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া নড়ে না। একটি পিপীলিকার চরণে বাঁধা নূপুরের ধ্বনিও ঈশ্বর শুনেন।
পদা যত বড় হইতে লাগিল তত বিস্মিত হইতে লাগিল। এত নৃশংসতা, এত অমানবিকতা, এত বুভুক্ষা কেন তবে?
দুটো কোর্ট
একটা দাগ
দুটো দাগ
নীল দাগ
typing....
দুটো কোর্ট।
ঠকাস। ঠকাস।
উদ্বিগ্ন চোখ, স্ক্রিণের কোনায়।
ফুরিয়ে আসা ব্যাটারির লাল নিশান।
typing....
দুঃখ মানে কি?
দুঃখ মানে কি?
দুঃখ মানে ভালোবাসা
মৃত্যু মানে কি?
শ্মশান অবধি কাঁধে নিয়ে
বুকে করে ফিরে আসা
দুঃখ মানে কি?
দুঃখ মানে ভালোবাসা
পুনরাবৃত্তি না সংশয়?
তবে কি আমি প্রতিষ্ঠান বিরোধী? কিন্তু তা তো মোটেও নয়। জন্মালাম একটা হাসপাতালে, পড়াশোনা করলাম স্কুল-কলেজে, টাকা রাখতে ব্যাঙ্কে গেলাম, চিঠি পোস্ট করতে পোস্ট-অফিসে... এ সবই তো প্রতিষ্ঠান। সমাজের পক্ষে অপরিহার্য। এছাড়াও বিধানসভা লোকসভা থেকে শুরু করে আরো নানান প্রতিষ্ঠানের সাথে জীবনযাত্রা তো প্রতিপদে জড়িয়ে। তবে? ক'দিন ধরে একটাই কথা মাথায় ঘুরছে, তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ কি, প্রয়োজন কি?
কে সে?
কোনোদিন শুনিনি কেউ অক্ষরেখা দ্রাঘিমারেখা চাপা পড়ে মারা গেছে। কিম্বা এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে আকাশের সীমারেখা পেরোতে গিয়ে কোনো উড়োজাহাজ সীমারেখা জড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ওসব মাথার মধ্যেই থাকে। ভূতই বলো আর ভগবানই বলো।
জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন
আমি তো জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন। ফিরে আসবেন কয়েক দিন কি মাসের মধ্যেই। ও বাবা! এ তো দেখতে দেখতে বছর ঘুরল। তাঁর তো দেখাই নেই। কেউ বলে, উনি নাকি জলে ডুবেছেন, কোন সমুদ্দুরে তা তিনি-ই জানবেন। কেউ বলে নাকি জঙ্গলে পথ হারিয়েছেন, কেউ বলে জঙ্গলে না তো, মরুভূমিতে! কেউ বলে হিমালয়ের ওদিকে নাকি কি কলোনি আছে, ওখানে ঘর ভাড়া নিয়েছেন। তা শুনে নিন্দুকের দল বলে, "কই?
ঘটনাটা মর্মান্তিক
ঘটনাটা মর্মান্তিক। তবে এককালে মঠে যাতায়াত আমিও বেশ কিছু বছর করেছি বলে এ দৃশ্য অদেখা নয়। একজন বয়স্ক ভদ্রলোক যিনি বয়সের ভারে প্রায় অথর্ব, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এক একটা ধাপ উঠছেন ঠাকুরের প্রণামী দেবেন বলে, আরেকজন স্থূলকায় যুবক সন্ন্যাসী বসে আছেন চেয়ারে, দেখছেন, তবু উঠবেন না। কারণ "ওরকম নিয়ম নেই"।