Skip to main content

ততটা অনিশ্চিত হয়ত ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নই

ততটা অনিশ্চিত হয়ত ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নই, যতটা মানুষের মনুষ্যত্ব নিয়ে হই
জানি আমি আগে বহুবার লিখেছি। আবারও লিখছি। পাকিস্তান হলেও লিখছি। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তেই ঘটুক না কেন লিখছি। কারণ আমি আর কিছু করতে পারি না। 
...

এমন হোক

এমন হোক
ফেরার তাড়া না থাকুক

অপেক্ষায় আছি
  আমার তাড়া নেই

আগাছা

গাছটার নাম জানি না। এক হাত তার দৈর্ঘ্য হবে। ফুলের বালাই নেই। কয়েকটা শ্রীহীন এবড়ো খেবড়ো সবুজ পাতা আর খয়েরি খয়েরি সরু লিকলিকে কান্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কয়েক মাস হল মাটির উপরে। মাড়িয়ে গেলেই হয়, এমনই বিপদসঙ্কুল অবস্থান তার। চোখে পড়ার মত কোনো গুণ নেই, কিন্তু পায়ে আটকাবার মত পাতার খোঁচা তার।
...

পর্ণা

পর্ণা সানন্দাটা ভাঁজ করে কোলের উপর রাখতেই চমকে উঠল, সামনের প্ল্যাটফর্মে অনিকেত। অনিকেত দেখেনি। একটা চেয়ারে বসে খবরের কাগজে ডুবে আছে। সেই পুরোনো অভ্যাস।
        পর্ণা শ্যামনগর যাবে। সেখানে একটা হাইস্কুলে ভূগোল পড়ায়। পর্ণার ডিভোর্স হয়েছে বছর নয়-দশ হল। বিয়ে অনেক কম বয়সে হয়। তখন পর্ণা সদ্য গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে। অনিকেতরাও নাগেরবাজারেই থাকত। তার থেকে বছর তিনেকের বড়, সদ্য মার্কেটিং এগজিকিউটিভের চাকরি পেয়েছিল একটা ওষুধ কম্প্যানীতে।
...

সংশয়

সন্ধ্যায় পসার সাজায়ে বসিয়াছে 
   ব্যবসায়ীকূল পথপাশে 
      মনোহারী নয়নাভিরাম সাজে
তীব্র তীক্ষ্ণ উত্তরের বাতাস নখদন্ত মেলি
   ফিরিতেছে পথেঘাটে আপন শিকার লাগি,
      ক্ষণিক অসতর্কতায় আছাড়ি পড়িছে দেহে
                    হিম-দংশন, কোনো ক্ষমা নাহি

তোমায়, না আমায়?

তোমার শরীর মাড়িয়ে রোদ নামেনি কোনোদিন
তোমার বৃষ্টিভেজা চুলের ছাঁট পড়েনি কোনোদিন বারান্দায় 
তোমার ছাদে শুকোতে দেওয়া কাপড় 
কালবৈশাখী উড়িয়ে নিয়ে প্রতিবেশীর ছাদে ফেলেনি কোনোদিন

হিন্দুরা মানুষ-পুজো করতে ভালোবাসে

অবনী কান্ত মাজি । বলুন তো কে? পারলেন না তো? বলছি, একজন আশি ঊর্ধ্ব ধনবান হৃদয়বান মানুষ। কি করেছেন জানেন? বিশাল কাজ, এক্কেবারে যাকে বলে সমাজসেবার চূড়ান্ত। তার জন্য ওনাকে সম্বর্ধনাও জানানো হয়েছে অবশ্য। কারা জানিয়েছেন বলুন দিকিনি? রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের সন্ন্যাসীরা।
...

কারোর সাথে কথা বলা মানে যেন হাঁটতে যাওয়া তার সাথে

কারোর সাথে কথা বলা মানে যেন হাঁটতে যাওয়া তার সাথে। কোনো একটা বিষয়ে কথা শুরু হওয়া মানে যেন কোনো একটা রাস্তা ধরে হাঁটা শুরু হওয়া। খানিকটা এগিয়ে এলো মোড়। অনেকগুলো বিষয়ে যাওয়ার অবকাশ। কে সিদ্ধান্ত নেবে, কোন দিকে যাওয়া হবে? কোনো কথা যাবে সমুদ্রের ধারে, কোনো কথা যাবে জঙ্গলে, কোনো কথা যাবে বাজারে, কিম্বা হেঁশেলে, কখনও বা নিষিদ্ধপল্লীতে। কেউ একজন সিদ্ধান্ত নিল, কথা চলল সেই পথে, মানে আবার হাঁটা তার সাথে। চলতে ভালো লাগল তো এগোনো গেল, নইলে খানিক এগিয়ে আবার গলি খোঁজার চেষ্টা, পথ বদলাতে হবে যে।
...

ঝাঁটা

রোজ সকালে আধঘন্টা ধরে ঝুঁকে পুরো উঠোনটা ঝাঁট দিতে হয় রুকমির মাকে। আজ পঁচিশ বছর ধরে দিয়ে আসছে। তার আগে তার শাশুড়ি দিত - অশোকের মা। 
        রুকমির মায়ের অসহ্য লাগে। শরীরখারাপের সময়টা আর শীতের সময়টা। ভেবেছিলো অশোকের মা ঘাটে উঠলে এই ঝাঁটা দেওয়ার চলটা উঠিয়ে দেবে। মাসে একবার কি দুবার দেবে। শরীরখারাপের পর আর কম শীতের সময় বাদ দিয়ে।
...
Subscribe to