সৌরভ ভট্টাচার্য
30 March 2018
আমি মোহনার সামনে দাঁড়িয়ে। মোহনা দিগন্তলীন হয়ে আমার সামনে শুয়ে। সুদূর অতীতের গুহা থেকে হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে বেরিয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ খণ্ড খণ্ড আমি। আমার উপর দিয়ে উড়ে চলে গেল তারা গোধূলির আলোছায়া মাখা আলোয় বাদুড়ের মত। কেউ কেউ মোহনার জলে ডুবে গেল। কেউ কেউ দিগন্তে গেল মিলিয়ে। যেন একটা শুকনো পাতা ভরা গাছ, এক দমকা হাওয়ায় সব পাতা হারিয়ে, শূন্য ডালগুলো আকাশের দিকে মেলে স্থির উদাস হয়ে দাঁড়িয়ে। আমার কোথাও যাবার নেই। কিছুর অপেক্ষা নেই। কারোর কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই। প্রতিটা শ্বাসে আমি আমার অস্তিত্বকে খুঁজছি। যারা হারিয়ে গেল কিম্বা সে অন্ধকার গুহায় - আমি নই। আমার গভীরে, আরো গভীরে, সমস্ত অপেক্ষা, সমস্ত অভিযোগ, সমস্ত উদ্বিগ্নতাকে শান্ত করে, ক্ষমা করে, আমার চেতনার গভীরের আরেক মোহনায় স্নানে চলেছি। বাইরের মোহনা ভিতরের মোহনাকে চেনে। তাদের মধ্যে অসীম দূরত্ব, তারা দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে। এক মোহনায় সূর্যাস্ত হলে আরেক মোহনায় সূর্যোদয়। আমার পিঠে সূর্যাস্তের আলো, আমার মুখে আলো সূর্যোদয়ের।