শঙ্কা
রমজানের হাতে কড়া। তাও মাথায় বিলি কেটে দিলে ভালোই লাগে পরাশরবাবুর। রমজান বছর দশেক আগে পরাশরবাবুর বাগানের কাঁঠাল গাছে গলায় দড়ি দিয়েছিল। কেন দিয়েছিল কেউ জানে না। সে অকৃতদার ছিল। গরীব মানুষ, পরাশরবাবুদের বাড়িতেই ফাইফরমাশ খেটে দিন চলে যেত। তাকে অবশ্য হাসতে দেখেনি কেউ কোনোদিন। গায়ের রঙ তামাটে, রোগা-বেঁটেখাটো শরীর, তবে খাটতে পারত। পরাশরবাবুর স্ত্রী বেঁচে
আমি এক হাতে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে
হল কি, আমি এক হাতে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে, খাবার টেবিলে বসে, আরেক হাতে তারিয়ে তারিয়ে আমের আঁটি চুষছিলাম। পুরো সাদা হয়ে আঁটিটার রঙ প্রায় আমার মোবাইলটার মতই হয়ে এসেছে। এমন সময় বাবা জিজ্ঞাসা করলেন, "হ্যাঁরে আজ পাম্প চালানো হয়েছিল?" আমি খানিক অন্যমনস্ক হয়ে পড়লাম, চালিয়ে ছিলাম কি? ভাবতে ভাবতে আঁটিটা কিরকম বিস্বাদ ঠেকল...ওমা! তাকিয়ে দেখি আমি তো আঁটি না, মোবাইলটা চুষে দিয়েছি...
সীতা
...
মার্কেজ- রবীন্দ্রনাথ
...
বুঝতে পারলাম না
বৃন্ত থেকে ঝরে যেতে যেতে
ফুলটা কি যেন বলে গেল
বুঝতে পারলাম না
ভাবতে ভাবতে ক্রমশ গাছ হলাম
কুঁড়ি ধরল। ফুল হল। ঝরে পড়ল।
বিনাবাক্যে ঝরে পড়ল
কেন,
কিছু বুঝতে পারলাম না
রিলে রেস
...
মেজো ছেলে
পনেরো হাজারের মধ্যে স্মার্টফোনের সেটটা ভালোই লাগল। বললাম এটাই দিন।
প্রচণ্ড গরম। দরদর করে ঘাম হচ্ছে। দোকান ভিড়ে ঠাসা। রবিবারের ভিড়। সকাল সাড়ে বারোটা হবে। দোকানে পাঁচজন হিমসিম খাচ্ছে খদ্দের সামলাতে।
গভীরতা
যে বাতাসে ভেসে থাকতে চাও, সে বাতাসে ঝড়ও ওঠে। সে ঝড়ের তালে দিতে পারবে তাল? পাগল নারকেল গাছটার মত?
তুমি গভীরতা ছুঁতে চাও? কতটা জল জমেছে বুকে? কাঁদার শেষে তাকাতে শেখে চোখ। টইটুম্বুর কান্না বাঁধ দিলে, জীবন হ্রদ স্থির। কি ভেবেছিলে কেঁদেই জীবন পার হবে?
অপেক্ষায় থাকছি
আমি কখনও ত্রিভুজ
কখনও চতুর্ভুজ
কখনও বৃত্তের
ভিতর দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছি
প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা
...