Skip to main content

এক ছটাক ভালোবাসা পেয়েছ বলে

এক ছটাক ভালোবাসা পেয়েছ বলে
  রোদ্দুরের সাথে আড়ি কোরো না
        শ্যাওলা ধরা পথে
           ভালোবাসাও আত্মঘাতী হয়

আরেকটু

যদি জানলাটা আরেকটু খোলা থাকত
বিস্তীর্ণ মাঠ, সবুজ পুকুর, নীল আকাশ 
  জেগে থাকত আরো খানিকক্ষণ 
ভেজা মাটি, গাছ লাফানো জলবিন্দু, ব্যাঙের উল্লাস 
   হয়ত আরো বেশি প্রয়োজন ছিল 
   মসৃণ দেওয়াল বেয়ে ওঠানামা 
       সহজ হত 

তারপর

        যতটা আকুতি, আর যতটা সংযম নিয়ে ডাকত, "কেউ আছেন নাকি... ভিক্ষা পাই গো"... ততটা ভিক্ষা কোনোদিন পেত না।

অনেকের মত আমিও দৌড়েছিলাম

অনেকের মত আমিও দৌড়েছিলাম। একাই দৌড় লাগিয়েছিলাম। সবার আগে শেষ প্রান্ত পৌঁছানোর নেশা আমাকেও পেয়ে বসেছিল। ছুটতে ছুটতে আমিও সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছালাম। বালিতে অনেক পায়ের ছাপ, যারা আমার আগে এসেছিল, নানা যুগে, নানা কালে। অনেকের মত আমিও বুঝলাম, আর যাওয়ার নেই কোথাও। কেউ কেউ সব যুগের কিছু নির্বোধের মত সাঁতরাতে লাগল, কেউ ওপারে নিয়ে যাওয়ার নাবিকের অপেক্ষায় রইল। আমি ফেরার পথ ধরলাম, অনেকের মত। আমার আগে অনেক

চিরদিন মাধব মন্দিরে মোর

        চৌকির উপর দুটো পাতলা কাঁথা দিয়ে বানানো বিছানায় শুয়ে শুয়েই সুবাস বুঝতে পারল বৃষ্টিটা ধরেনি। গতকালও সারাদিন হয়েছে। এখন আন্দাজ ভোর সাড়ে পাঁচটা হবে। সুবাস উঠে বসল। দুটো শীর্ণ হাত জড়ো করে সামনের দেওয়ালে টাঙানো রাধাকৃষ্ণের ছবিতে প্রণাম করল। ফর্সা হাতদুটোতে নীলচে শিরার রেখা। মন্দিরের পিছনেই নদী। চূর্ণী নদী। সুবাস স্নান সেরে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই ফুল তুলত

বন্দর


শেষ জাহাজ কবে ছেড়ে গিয়েছে মনে নেই
এমন কোনো এক পরিত্যক্ত শ্রীহীন বন্দরে
   সেদিন পূর্ণিমার আলো এসে পড়েছিল 
     নাম না জানা কোনো এক পাখি ডেকে যাচ্ছিল অবিরাম, প্রত্যাশাহীন

কর্মনাশা!


সোঁদা গন্ধে পিছলে পড়েছ কখনও? 
আচমকা দেখলে, জানলায় বাইরে টাঙানো কালো স্লেট আকাশ? 
তোমার ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তোমারই মত আরেকটা মেঘলা তুমি? 
তাকে সামাল দিতে হাতড়াচ্ছ গীতবিতান 
   কবিতার ফেরিওয়ালাকে বলছ,
      “এই ঝাঁকা নামিয়ে বসো দেখি”
তোমার ভেজা চোখে কোনো বিগত দিনের ডুব সাঁতার

অভিসার

        অবশেষে বর্ষা এলো। আজ থেকে যাও। আমায় একবার আজ ছাদে নিয়ে যাও। সিঁড়ির ঘরের দরজার সামনে আমার হুইলচেয়ারটা রেখো। হাত বাড়িয়ে সিঁড়ির ঘরের কার্ণিশ চোঁয়ানো জল এসে পড়ুক আমার হাতের তালুতে। হাতের তালুর ভাঁজে ভাঁজে বৃষ্টির জলের নদী।

        আমি জানি আকাশটায় আজ কাল পরশু মেঘ থাকবে। আমি জানি সারা সপ্তাহ মেঘ থাকবে। আমি জানি সারা মাস মেঘ থাকবে, যতদিন না কাশ এসে বলে, এবার তোমার ছুটি। মিনতি বৌদি আবার চীৎকার শুরু করবে কাল থেকে, “কাচা জামাকাপড়গুলো কোথায় মেলব? আমার মাথায়?... কি গন্ধ হয়েছে... একটাও শুকালো না... কবে যে সুয্‌যের মুখ দেখব?”... সেই মিনতি বৌদিই দুপুরবেলা “শাঙনগগনে ঘোর ঘনঘটা” গাইবে... ছায়া ঘনাইছে বনে বনে... গাইতে গাইতে কাঁদবে... তুমি রাতে কান পাতলে শুনবে আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার..... আসলে সব মানুষই তো অভিসারে যেতে চায়... ক'জন যেতে পারে বলো?... আমার সন্দেহ হয় রাধাও কি পেরেছিল... একটা মেয়ে এত ভালোবাসা সারাজীবন কোনো পুরুষের পায়?... রাধা পেয়েছিল?... ওই মেঘ সেই পুরুষ... রাধা কি তবে ওই সবুজ মাঠ?... এই কি অভিসার!
...
Subscribe to