ফেরিওয়ালা
একটা ঘোর লাগিয়ে দাও
জ্ঞানও নেশা, যদি তা মাতাল করে
LoC ভোলায়
আমি প্রেম ত্যাগী সন্ন্যাসী তো নই
ফিরে যাও
উৎসব
তুমি বড় দাম্ভিক
তুমি বড় উন্নাসিক
তুমি বড় নিষ্ঠুর
কেন্নো
মানুষটা রাতদিন অতীতের গল্প বলত
বলতে বলতে অতীতগুলোকে কেন্নোর মত ধরে
বর্তমানের গাছের শাখায় ছেড়ে দিত
অতীত হামাগুড়ি দিয়ে এ ডাল, সে ডাল
এ পাতা, সে পাতা বেড়াতো
গান্ধী - দ্য ইয়ার্স দ্যাট চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড
অষ্টমী
মণ্ডপে আমাদের দাঁড়ানোর লাইন দেখেছেন? পুরুষের লাইন দেখেছেন, মহিলার লাইন দেখেছেন। আমাদের? আমরা ওই মহিলাদের লাইনেই দাঁড়াই। আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত বুঝলেন তো। ট্রেনে, বাসে, রাস্তাঘাটে আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত।
সপ্তমী
কেটস
সাদা কেটস কিনে দিত বাবা। জুটমিলে কাজ করত। আমরা তিন বোন, এক ভাই। আমি সবার বড়, দিদি। ওই কেটসই পেতাম প্রতি বছর। স্কুলেও ওই দিয়েই হয়ে যাবে তাই।
আজ তৃতীয়া
শুচি আগরওয়াল
বয়েস পঁয়তাল্লিশ
আড়াই মাসের গর্ভ সাবধানে বাঁহাতে ধরে
অত্যাধুনিক গাড়ির দরজা খুলে,
নীচে কাদা আছে কিনা দেখে
মাটিতে পা দিল
যার বুকে সাত সমুদ্রের জল
তবু তো শোক শুদ্ধ করে
রোদে পোড়া তপ্ত একটা রেললাইন
তখন উষ্ণ ফুৎকারে
পৃথিবীকে তালুতে রেখে গড়িয়ে নিচ্ছে মহাকাল
ঝিম ধরা দুপুরে চিলের ডাক
বড়ি দেওয়া কাপড় কুঁচকে যাচ্ছে ছাদে
মিথ্যা
সেদিন
মিথ্যা মানে জানতাম প্রেম
মিথ্যা মানে জানতাম সুখ
মিথ্যা মানে জানতাম নীড়ের স্বপ্ন
যতদিন মিথ্যা ছিল আমার ঘরের দুটো শালিক
এখন মিথ্যা মানে জানি অপমান
মিথ্যা মানে জানি যন্ত্রণা
মিথ্যা মানে জানি শূন্যতা
যখন মিথ্যা আমার ঘরের ঘুণপোকা