এ বুদ্ধিকে কি বলো তুমি?
এই যে মাঝে মাঝে
যাব যাব বাই ওঠে তোমার
ভাবটা এমন
যেন ধুম করে চলে গেলেই হয়
চৌকাঠ পেরোলেই আদিগন্ত সমুদ্র
নাকি খোলা তেপান্তরের মাঠ
নাকি হিমালয়ের কোল
কারা এত ডাকে তোমায়?
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
সত্যি করে বলো তো?
হাতের নাগালে যা আছে
অন্তরে আর বাহিরে তাই..
রাধাকান্তবাবুর বহুদিনের অভ্যাস, ঘুম থেকে উঠে কখনও হাতে তালি দিয়ে, কখনও খোল বাজিয়ে, খঞ্জনি বাজিয়ে রামনাম করেন। কখনও "প্রেম মুদিত মন সে কহো রাম রাম রাম, শ্রীরাম রাম রাম"....কখনও "শ্রীরামচন্দ্র কৃপালু ভজ মন".. এইসব ভজন গান। বাড়ির লোক, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে তার সরল প্রাণের ভক্তিতে আবিষ্ট হয়ে, সাধু সাধু বলেন।
ক্ষণিকের দেখা হওয়া
সবাই সেক্যুলার
ভারতবর্ষে কে না সেক্যুলার, ধনি?
আমরা সবাই সেক্যুলার
নিজের মত করে সবাই সেক্যুলার
আমাদের মন্দির মসজিদ গীর্জা সব সেক্যুলার
স্কুলের সরস্বতীপুজো থেকে
থানায় কালীপুজো
কারখানায় বিশ্বকর্মা
সব সেক্যুলার
জানি পলাশ এসেছে
জানি পলাশ এসেছে
জানি বসন্তের বাতাস বইছে অহরহ
কিন্তু বলো তো প্রেমিক
এ বসন্তে কিসের দাহ বেশি?
হৃদয়ের, না পকেটের?
কে বেশি যাতনাময়
বসন্তের কোকিল?
নাকি সিলিণ্ডার আর পেট্রোল?
"রোদনভরা এ বসন্ত, সখী কখনও আসেনি বুঝি আগে"....
কিছু যেন তার
দূর থেকে
দূর থেকে মনে হয়
ভীষণ কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আমরা
কাছে এসে দেখো
এক একজনের মধ্যে
যোজন যোজন ফাঁক
সেখানে বিস্তর অন্ধকার
আশ্রয় দিয়েছে কিছু জোনাকিদের
দূর থেকে মনে হয় যেন তারা
শুধু তোমার কথা মনে পড়ে
আমার পুরী যেতে ভালো লাগে না
সারাদিন সমুদ্রের একটানা গর্জনে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে
আমার লাভা, লোলেগাঁও, দার্জিলিং, কালিম্পং যেতে ভালো লাগে না
কুয়াশায় ঢাকা স্থির নিশ্চল পাহাড় দেখতে দেখতে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে