Skip to main content

সাড়ে তিন মিনিট

আমার বগল ঘামছে। এসি অন। হাতের মুঠোটা শক্ত করে আছি। এটা রিফ্লেক্স অ্যাক্সন। টেনশান হলেই আমার হয়। ট্রেনটা মিস হবে। যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস। ছাড়তে আর আধঘন্টা বাকি। কিন্তু যা জ্যাম, অসম্ভব। ফোন সুইচ অফ্ করে দিয়েছি। রেড্ডী অনেকক্ষণ ঢুকে গেছে স্টেশানে, আমি তখন বেলঘরিয়া ছাড়ছি। হাওড়া স্টেশানের পাশেই একটা হোটেলে ছিল। মনে হচ্ছে না পাবো। এমন জ্যাম যে আমি দরজাটাও খুলতে পারব না কোনোদ

পেটটা যেন না কামড়ায়

সমস্যা হল মোমবাতিটা কোথায় রাখবে। কারেন্ট চলে গেছে। বাথরুমটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। এই সময়টা রোজ গা ধোয়া অভ্যাস। নইলে কে ঢোকে এই সময় এই অন্ধকারে।

পরিণতি

ছেলেটা সাইকেলটা নিয়ে সরু গলির ভিতরে ঢুকেই গেল। এ গলিটায় আসার কথা ছিল না। গলিটার শেষে গঙ্গা, পাশে ইঁটভাটা। কিন্তু বুকের মধ্যে রাক্ষস ঢুকেছে। দু’হাতে বুকের ভিতরটা খামচে ধরে তাকে নাচাচ্ছে। পাগল হয়ে যাবে এক এক সময় মনে হয়। সাইকেলের হাতলদুটো শক্ত করে চেপে ধরে আছে, যেন নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছে না। সোজা গঙ্গায় চালিয়েও ঝাঁপ দিয়ে দিতে পারে। এই এত নরকযন্ত্রণার কারণ কে?

এখন

এখন এত ভিড়
     এখন এত কথা  
          এখন সব খণ্ডিত 
                এখন শুধু আমি 
           এখন নেই দুই
       এখন নিস্তব্ধতা
   এখন অখণ্ডতা
এখন শুধু তুমি

যত্তসব

যেন কয়েক বস্তা দুঃখ শুধু তোমারই ঘরে জমেছিল

যেন এক সমুদ্র সমস্যায় 
তোমার নৌকাই শুধু হাবুডুবু খেয়েছিল

যেন সব বিশ্বাসঘাতক ষড়যন্ত্র করে
তোমারই ঘরে সিঁধ কেটেছিল

অমন কতশত বস্তা, সমুদ্র, কাটা সিঁধ 
   যে অগুনতি আছে,
      কিচ্ছুটি জানো না তুমি

শূন্য করিয়া রাখ তোর বাঁশি

ভাগবত একটা কথা বলে বসলেন, দেখো, এই যে মাটি, এই যে মাটিকে শুকিয়ে তুমি নানা বাসন বানাও, কাউকে বলো থালা, কাউকে বলো ঘটি, কাউকে গ্লাস, আদতে তো সব মাটি, তাই তো? এখন যদি বলো মাটি সত্য না বাসনগুলো সত্য? আমি বলি কি, তুমি সব কিছুকে মাটি বলে খেলাটাকে মাটি করে দিও না, মাটি যে যে রূপ ধারণ করেছে, সেই সেই রূপে না হয় ডাকলে তাকে। সেই হোক বাস্তব। 

গ্যাসলাইট ভালোবাসা

আমি তোমায় আমার প্রাণঢালা ভালোবাসা দেব। 

তুমি আমায় 
তোমার -
ভালোলাগা-খারাপলাগা, স্বাধীনতাবোধ,
ইচ্ছা-অনিচ্ছা ভাবনা-বিচার-আত্মসম্মান-আত্মবিশ্বাস 

সব দিয়ে দাও।

কারণ?

নইলে


==
আশেপাশে কেউ থাকলে
    তোমায় না ভাবার চেষ্টা করি

নইলে কৈফিয়ত দিতে হয়
     অন্যমনস্কতার 


===
আমায় অনুভব করে বোলো
   অনুভব করলে কাকে,
      আমায়
          না নিজেকে?

লাস্ট পিরিয়ডটা হবে আসবে দাদা?

আজ খবরের কাগজ জুড়ে পড়লুম, B.1.617.2 নাকি বেজায় গায়ে পড়া, ভ্যাক্সিনের কোনো বাধা মানেনিকো, আর রুগীরে একদম তেনার দুয়ার অবধি নাকি নাকানিচোবানি খাওয়াতি পারে। তেদ্রোস এমনিতেই ত্রাসবাহক। তায় আবার বলছে এ নাকি ভীষণ চিন্তার কারণ। বলি হ্যাঁ গা, ভীষ্মের শরশয্যার কথা শাস্ত্রে পড়েছিলুম, টিভিতে দেখেছিলুম। একি আমাদের জগতজোড়া সেই দশায় নিয়ে যেতে চাইছে নাকি গা?

পদ্মপাতা

শঙ্করাচার্য লিখেছিলেন, জীবন পদ্মপাতায় জলের মত চঞ্চল। 

ব্যাসদেব লিখলেন, পদ্মপাতায় জলের মত নিরাসক্তভাবে বাঁচো। 

পদ্মপাতায় বৃষ্টির জল জমেছে। 
চাঁদের প্রতিচ্ছবি টলটল করছে। 
আমি কি মুখ ফিরিয়ে নেব?
   আমি কি অপেক্ষা করব জলটা গড়িয়ে পড়ার? 

"তখন পাতায় পাতায় বিন্দু বিন্দু ঝরে জল
শ্যামল বনান্তভূমি করে ছলোছল"।

Subscribe to