যে জানে
যে জানে
সে শুধুই খুঁজে ফেরে জানাকে
যে বিশ্বাস করে
সে-ই আবিষ্কার করে নতুনকে
কখনো যেমন
ছেলেটা হোয়াটস অ্যাপ থেকে চোখ তুলে স্টেশানে তাকালো। অফিস থেকে ফেরার সময় রোজ এই সময়টা তার ওর সাথে কথা হয় ঘন্টাখানেক। মানে শিয়ালদহ থেকে পৌঁছাতে যতটা সময় লাগে আর কি।
স্টেশানের অন্ধকারে আলোতে তার নিজেকে দাঁড়ানো মনে হয়। আর কিছুটা দূরে ওকে। ওকে মানে, যে এখন ন'বছর হল তার স্ত্রী। প্রেমিকা ছিল চার বছর।
এসো
তুমি ডুবসাঁতার জানো?
পানকৌড়ির মত ডুব দাও
যেন গাছের ছায়াগুলোও জানতে না পারে
জলের বুকে ঢেউ না ওঠে দেখো
এ পাড়া ও পাড়া খবর যাবে
এ পারে এসো আমার বুকে মিশে
আমি গাছের ছায়ায় লুকিয়ে আছি
কালোর সাথে মিশে
আলোতে চোখ রেখে
বন্ধ দরজা
বন্ধ দরজা। স্বপ্নগুলো পায়চারি করছে। দরজার ওপাশে আলো। দরজার এপাশে জায়গা কম। স্বপ্নগুলোর ধাক্কাধাক্কিতে মাথায় ফেট্টি।
লোকটা পানশালায় বসে, ফাটা মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে, স্বপ্নগুলোকে স্বপ্ন দেখিয়ে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
সময় সারাটা দেওয়াল জুড়ে টিকটিকিগুলোর সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে।
কবে?
কানায় কানায় পাত্রটা উঠেছে ভরে
উপুড় করে নেবে কবে?
বৃষ্টি শেষে বাড়ি ফিরে গেছে ছেঁড়া মেঘ
নীলাকাশে ডুবিয়ে নেবে কবে?
সব খেলাঘর ছেড়ে এসেছি
কোণের প্রদীপ নিভিয়ে নেবে কবে?
প্রার্থনার মন্ত্র তাঁর
অফিস থেকে ফিরে লোকটা তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগল। মুখে নানা অর্থহীন শব্দমালা। বাচ্চাটা কোলে খিলখিল করে হেসে উঠতে লাগল।
পাশের ঘর থেকে লোকটার বাবা শব্দগুলো শুনছিলেন। চশমাটা খুলে বিছানায় রেখে, খবরের কাগজটা পাশে মুড়ে, বালিশে হেলান দিয়ে আধা শুলেন। চোখ বোজা।
সব পোড়ে না
কালের আগুনে পুড়ছি সবাই
আমি তুমি সে
পুড়তে পুড়তে হচ্ছি ক্ষয়
প্রতিদিন একটু করে রোজ
ভাষারা সঙ্কেত জানায় যে চোখে
ভালোবাসা একদেশি না
তোমায় ছাড়া বাঁচব না
বলেছিলেন তো
একচোখ জলে
বুকের মধ্যে হাপর সামলে
তবু চলে গেছে
জল শুকিয়েছে
হাপর থেমেছে
'হম তেরে বিন অব রহে নহি সকতে'
গানটা শুনলেও
চায়ে চিনি দিতে ভোলেন না
হিসাবের ফর্দে কাটাকুটি হয় না
রাতে ঘুমে বিচ্ছেদ ঘটে না
সুখ
পারিজাতের রেণু লাগা সুখ
চাইনি তো
তুলোয় ভাসা বাসন্তী সুখ
তাও চাইনি
মোমের মত নরম সুখের আস্তরণ
চাইনি চাইনি চাইনি