প্যাণ্ডেল
পুজোর প্যাণ্ডেলে বাঁধা বাঁশগুলো বিয়েবাড়ি হয়ে যখন গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে বাঁধা হচ্ছে, বাচ্চাটা চীৎকার করে বলে উঠল, বাবা এই সেই বাঁশটা দেখে যাও, যেটায় আমি আমার নাম লিখেছিলাম অষ্টমীর দিন, বুম্বা, এক রকম আছে।
তার ডাক কেউ শুনল না। ছেলেটা আবার নাম লিখল তিনবার, বুম্বা বুম্বা বুম্বা। কেউ দেখল না।
যারা গেছেন
যারা গেছেন
তারা নাকি সবাই ঈশ্বরের কাছে আছেন
ঈশ্বরের দমবন্ধ লাগে না
এত এত
অনিচ্ছুকভাবে আসা
মানুষের দীর্ঘশ্বাসে?
রঙচটা দেবী
রাস্তা
যে রাস্তা কোথাও নিয়ে যায়নি
তার কাছে হতে চাইলাম বাধ্য
যে রাস্তা
নিজেকে ফুরিয়ে
আমায় পৌঁছে দিল
তার কাছে হলাম অকৃতজ্ঞ
পরিচর্যা
দিল্লী থেকে ফিরছি, ট্রেনে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লাম। বেড়াতে গিয়েছিলাম বন্ধুরা সবাই, সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুর পরিবারের লোকেরাও ছিলেন। দুরন্ত এক্সপ্রেস। থামার জায়গা কম। বন্ধুরা বেশ একটু উদ্বিগ্ন, কি হবে আমার এই নিয়ে। যা হোক রাতের দিকে সুস্থ হতে শুরু করলাম।
ভালো
যে ভালো শুধু তোমার ভালো বলেই ভালো,
সে আদৌ নয় ভালো।
যে ভালো কেবল তোমার আমার ভালো বলেই ভালো।
সে হয় তো অল্প অল্প ভালো।
যে ভালোতে হয় অনেক মানুষের ভালো,
সে বটে তবে বেশ কিছুটা ভালো।
তুমি অস্থির হও
তোমার সাবধানতা
তোমার হৃদয় আগলে দাঁড়িয়ে থাকে অহর্নিশি
কখনও হৃদয় ঘুমিয়ে পড়ে অসময়ে
কখনও বা সে ছেলেমানুষী বায়নায়
উত্যক্ত করে
হিসেবী-বুদ্ধি প্রহরীকে
তুমি অস্থির হও
হবেই তো
The cycle
Pain is real
Because attachment is real
Attachment is real
Because life is real
Life is real
Because pain is real
সাড়ে তিন মিনিট
আমার বগল ঘামছে। এসি অন। হাতের মুঠোটা শক্ত করে আছি। এটা রিফ্লেক্স অ্যাক্সন। টেনশান হলেই আমার হয়। ট্রেনটা মিস হবে। যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস। ছাড়তে আর আধঘন্টা বাকি। কিন্তু যা জ্যাম, অসম্ভব। ফোন সুইচ অফ্ করে দিয়েছি। রেড্ডী অনেকক্ষণ ঢুকে গেছে স্টেশানে, আমি তখন বেলঘরিয়া ছাড়ছি। হাওড়া স্টেশানের পাশেই একটা হোটেলে ছিল। মনে হচ্ছে না পাবো। এমন জ্যাম যে আমি দরজাটাও খুলতে পারব না কোনোদ
পেটটা যেন না কামড়ায়
সমস্যা হল মোমবাতিটা কোথায় রাখবে। কারেন্ট চলে গেছে। বাথরুমটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। এই সময়টা রোজ গা ধোয়া অভ্যাস। নইলে কে ঢোকে এই সময় এই অন্ধকারে।