ভ্রম রে ভ্রমিত মন
যত্ন করে মাদুরটা পেতে বলল, বসো। মাদুরটা পাততে পাততে লতার নিজেরই মনে হল শেষ কবে এত যত্ন করে কিছু করেছে? যত্ন করতে ভুলে যাওয়া মানুষ হারিয়ে যায় হঠাৎ। লতা যেমন যাচ্ছিল।
লতার শ্বশুরবাড়ির বাজির ব্যবসা। বাড়ির সামনেই দোকান। লতা বসে, অভিজিৎ বসে, শাশুড়ী বসে। লতা কিছু সেলাইয়ের কাজ করে। সে তেমন বড়সড় কিছু নয়।
এবার আমার উমা এলে
কাঁপা হাতে চশমাটা খুলে মুছে নিলেন। তারপর কাঁপা কাঁপা হাতে চশমাটা আবার পরে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। সপ্তমীর সকাল। ভিড় নেই তেমন মণ্ডপে।
একটা অল্প বয়সী ছেলে এসে বলল, দাদু এই যে চেয়ারটা, বসো। পড়ে যাবে তো। ভোগ খেয়ে যেও।
স্বচ্ছ নদীর মত
যদি গোটা পৃথিবীটা একবার নিঃশব্দে ঘুরে আসতে পারতাম
কোথাও নিজের কোনো অবশিষ্টাংশ না রেখে
যদি সব কথা শুনে যেতে পারতাম,
সাক্ষী থাকতাম যা ঘটে যায়, সব কিছুর
কোথাও নিজের কোনো মানদণ্ড না বসিয়ে
যদি ফেরার সময়ে,
সে সময়ে হোক
কি অসময়ে
কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য
তুমি ডাকোনি
আমি নিজেই এসেছিলাম
ক্রমশ নিজেকে
তোমার অভ্যাস করে ফেললাম
আমারও অভ্যাস তৈরি হল
তোমার উপেক্ষা ছাপিয়ে
ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকার
তুমি বলোনি
আমি নিজেই ফিরে এলাম
তুমি বললে
আমি অকৃতজ্ঞ
অন্য পূজো
ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী --- এই পাঁচটা দিন নিয়েই বাঙালীর রাজকীয় উন্মাদনা, বাঙালীর শারেদাৎসব। দেবী দূর্গার আবাহন, পূজো আর বিসর্জনের মধ্যেই বাঙালীর সাবেকী আর বারোয়ারি আনন্দ, খানাপিনা, ফুর্তি আর আমোদ আহ্লাদ। কিন্তু এই পূজো কি শুধুই আনন্দের? না তো!
তাড়িয়ে দিলেও
বুড়ি কলে মুখ ধুয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, বোঁচকাটা বগলদাবা করে। পুরোহিত আটকালো। বলল, বুড়ি এই যে তুমি মন্দিরে রোজ দুপুরে আসো, ভোগ খাও, চলে যাও...
বুড়ি তাকে থামিয়ে বলল, কেন? আমি তো দশটাকা দিয়ে কুপোন কাটি। অবশ্য রোজ কাটতে হয় না। এক একদিন এমনি এমনিও ভোগ দেয়.... কিন্তু কেন জিজ্ঞাসা করছেন?
হে মহাজীবন
হে মহাজীবন
আমার ঈশ্বর, বিজ্ঞান, উন্নত সভ্যতা
সব নিয়ে নাও
শুধু বলে যাও
মানুষ তবু কেন শান্তি চায় না?
সাহিত্যিকেরা আত্মীয় হন
যিনি সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন আমি তাকে চিনতাম না। কোনোদিন নাম শুনিনি। তার জন্য আমার কোনো লজ্জাও নেই। কারণ সাহিত্য আমার কাছে সাধারণ জ্ঞান না। তৃষ্ণার জল। আমার মন শান্ত হয়েছে, ভালো হয়ে গেছে, শক্তি পেয়েছে, খুশী হয়েছে এমন অনেক অনেক লেখা পড়ে যারা কেউ নোবেল পাননি।
কেউ যদি কথা না বলে
কেউ যদি কথা না বলে
তবে দীর্ঘশ্বাসের নিম্নচাপ জমে
হঠাৎ একদিন
ওঠে ঝড়
অন্ধরা দেখতে শুরু করে
পঙ্গুরা হাঁটতে শুরু করে
বোবারা স্বরবর্ণে শ্বাস ভরে
ঠেলা দেয় ব্যঞ্জনবর্ণে
কালের চাকা ঘোরে
কেউ যদি কথা না বলে
তবে কাল সাগরে নিম্নচাপ জমে
আর্জি
রাজারাম বসে দরবারে। হঠাৎ খবর এলো একদল মানুষ এসেছে মর্ত্যলোক থেকে। রাজারাম ডেকে পাঠালেন। নতুন প্রাসা
নতুন রঙের গন্ধে ম ম করছে চারিদিক। দামী দামী পাথর এসেছে দেশ বিদেশ থেকে।